প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

নতুন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে শিখ প্রতিনিধিদলের আপ্যায়ন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ

Posted On: 29 APR 2022 8:46PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৯ এপ্রিল, ২০২২

 

এনআইডি ফাউন্ডেশনের মুখ্য সংরক্ষক এবং চণ্ডীগড় ইউনিভার্সিটির আচার্য, আমার বন্ধু শ্রী সতনাম সিং সান্ধুজি, এনআইডি ফাউন্ডেশনের সকল সদস্যগণ আর সকল সম্মানিত বন্ধুগণ! আপনাদের মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে আমার পূর্ববর্তী পরিচয়ের সৌভাগ্য হয়েছে, দেখা-সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছে। বিভিন্ন গুরুদ্বারে যাওয়া, সেবা কর্মে সময় অতিবাহিত করা, লঙ্গরে খাদ্য পরিবেশন ও খাওয়া, অনেক শিখ পরিবারের বাড়িতে থাকা – এ সবকিছু আমার জীবনের একটি অনেক বড় স্বাভাবিক অঙ্গ। এখানে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেও নানা সময়ে শিখ সাধু-সন্ন্যাসীদের চরণধূলি পড়েছে আর এটা আমার অনেক বড় সৌভাগ্য। তাঁদের সঙ্গতের সৌভাগ্য আমি প্রায়ই পেয়ে থাকি।

ভাই ও বোনেরা,

যখন আমি কোনও বিদেশ যাত্রায় যাই, তখন সেখানেও যখন শিখ সমাজের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়, তখন আমার মন গর্বে ভরে ওঠে। ২০১৫ সালে আমার কানাডা যাত্রার কথা আপনাদের মধ্যে অনেকেরই হয়তো মনে আছে আর দলাইজিকে তো আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে থেকে জানি। আমার সেই কানাডা সফর তার আগের চার দশকে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের উদ্দেশ্যে যাওয়া সফর ছিল। আর আমি সেবার শুধুই অটোয়া এবং টরেন্টোই যায়নি, আমার মনে আছে, আমি তখন বলেছিলাম যে আমি ভ্যাঙ্কুভার যাব আর আমি সেখানে যেতে চাই। আমি সেখানে গিয়েছিলাম। গুরুদ্বার খালসা দিওয়ানে আমার কপাল ঠেকানোর সৌভাগ্যও হয়েছে। সেখানকার সঙ্গত-এর সদস্যদের সঙ্গে খুব ভালো কথাবার্তা হয়েছে। একইরকমভাবে, ২০১৬ সালে যখন আমি ইরান গিয়েছিলাম, সেখানেও তেহরানে ভাই গঙ্গা সিং সভা গুরুদ্বার যাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। আমার জীবনের আরও একটি অবিস্মরণীয় ক্ষণ ছিল ফ্রান্সে নবশ্যাপেল ইন্ডিয়ান মেমোরিয়াল ঘুরে দেখাও। এই মেমোরিয়াল বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ভারতীয় সৈনিকদের আত্মবলিদানের জন্য তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে তৈরি করা হয়েছে আর সেই শহীদদের মধ্যে একটি বড় সংখ্যায় আমাদের শিখ ভাই ও বোনেরা রয়েছেন। এই অভিজ্ঞতাকে আমি একটি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরতে চাই যে কিভাবে আমাদের শিখ সমাজ ভারত এবং অন্যান্য দেশের সম্পর্কের একটি শক্তিশালী পর্যায় হয়ে ওঠার কাজ করেছে। আমার সৌভাগ্য যে আজ আমি এই পর্যায়কে আরও শক্তিশালী করার সুযোগ পেয়েছি আর আমি সেজন্য যথাসম্ভব, যত ভাবে সম্ভব চেষ্টা করতে থাকি।

বন্ধুগণ,

আমাদের গুরুরা আমাদের সাহস এবং সেবার শিক্ষা দিয়ে গেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে আমাদের ভারতের মানুষ কোনরকম সম্পদ ছাড়াই গিয়েছেন আর নিজেদের শ্রমের মাধ্যমে চূড়ান্ত সাফল্য অর্জন করেছেন। এই প্রাণশক্তি আজ নতুন ভারতের আত্মায় পরিণত হয়েছে। নতুন ভারত নতুন মাত্রাকে স্পর্শ করছে। গোটা বিশ্বে নিজের ছাপ রেখে যাচ্ছে। করোনা মহামারীর এই কঠিন সময়টি হল এর সবচাইতে বড় উদাহরণ। এই বিশ্বব্যাপী মহামারীর শুরুর দিকে পুরনো ভাবধারার ধারক ও বাহক যাঁরা, তাঁরাই ভারতকে নিয়ে নানা রকম দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছিলেন। প্রত্যেকেই কিছু না কিছু বলছিলেন। কিন্তু, এখন মানুষ ভারতের উদাহরণ দিতে বিশ্বকে বলছে যে দেখুন, ভারত এভাবে প্রতিরোধ করেছে। আগে বলা হচ্ছিল যে ভারতের এত বড় জনসংখ্যা, ভারত কোথা থেকে এত মানুষের জন্য টিকা পাবে, কিভাবে এত মানুষের জীবন বাঁচাবে, কিন্তু আজ ভারত টিকার সবচাইতে বড় সুরক্ষাকবচ তৈরি করা দেশ হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে। আমাদের দেশে কোটি কোটি টিকার ডোজ ইতিমধ্যেই জনগণকে দেওয়া হয়েছে। আপনারাও শুনে গর্বিত হবেন যে এর মধ্যে ৯৯ শতাংশ টিকাকরণ আমাদের ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ টিকাগুলির মাধ্যমে হয়েছে। এই কঠিন সময়ে আমরা বিশ্বের সবচাইতে বড় স্টার্ট-আপ ইকো-সিস্টেমগুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছি। আমাদের ইউনিকর্নগুলির সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতের এই ক্রমবর্ধমান উচ্চতা, এই ক্রমবর্ধমান বন্ধুর সংখ্যা – এর ফলে আমাদের দেশের যে ডায়াসপোরা বা প্রবাসী ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূতরাই সবচাইতে বেশি মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারছেন কারণ, যেখন দেশের সম্মান বাড়ে, তখন লক্ষ কোটি ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং প্রবাসী ভারতীয়দেরও ততটাই সম্মান বৃদ্ধি পায়। তাঁদের প্রতি বিশ্ববাসীর দৃষ্টিকোণ বদলে যায়। এই সম্মানের পাশাপাশি তাঁদের সামনে অনেক নতুন নতুন সুযোগও খুলে যায়, নতুন নতুন অংশীদারিত্বের হাত তাঁদের দিকে অনেকেই বাড়িয়ে দেয়, আর এভাবে তাঁদের মনে সুরক্ষার ভাবনাও শক্তিশালী হয়। সেজন্যই আমি সর্বদাই প্রত্যেক ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং প্রবাসী ভারতীয়দের ভারতের রাষ্ট্রদূত বলে মনে করি। সরকার যাঁদের অন্য দেশে প্রতিনিধিত্ব করতে পাঠায় তাঁরা হলেন রাজদূত কিন্তু আপনারা হলেন প্রকৃত রাষ্ট্রদূত। আপনারা সবাই ভারতের বাইরে ভারতমাতার জোড়ালো কন্ঠের আওয়াজ, ভারতমাতার প্রবল উপস্থিতির পরিচয়। ভারতের প্রগতি দেখে আপনাদেরও বুক চওড়া হয়, আপনাদের মাথা গর্বে উঁচু হয়। বিদেশে বসবাসকালে আপনারা নিজেদের দেশের কথাও ভাবতে থাকেন। সেজন্য বিদেশে বসবাস করেও ভারতের সফলতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিতে ভারতের ছবিকে আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রেও আপনাদের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। আমরা বিশ্বে যেখানেই থাকি না কেন ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’, ভারত সর্বাগ্রে, রাষ্ট্র প্রথম, দেশ সবার আগে – এটাই আমাদের প্রথম আস্থা হওয়া উচিৎ।

বন্ধুগণ,

আমাদের দশজন গুরুর প্রত্যেকেই রাষ্ট্রকে সবার ওপরে রেখে ভারতকে একটি সুতো মালা গেঁথেছেন। গুরু নানকদেবজি গোটা ভারতের রাষ্ট্রের চেতনাকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। গোটা রাষ্ট্রকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর পথ দেখিয়েছেন। আমাদের গুরুরা পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ – গোটা ভারতে সফর করেছেন। প্রত্যেকেই যেখানেই যান না কেন, তাঁদের স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে, তাঁদের প্রেরণা রয়েছে, তাঁদের জন্য মানুষের মনে ভক্তি, শ্রদ্ধা, আস্থা রয়েছে। পাঞ্জাবে গুরুদ্বার হরমন্দির সাহিব বা স্বর্ণ মন্দির থেকে শুরু করে উত্তরাখণ্ডে গুরুদ্বার শ্রী হমকুণ্ড সাহিব পর্যন্ত, মহারাষ্ট্রের গুরুদ্বার হুজুর সাহিব থেকে শুরু করে হিমাচলের গুরুদ্বার পোটা সাহিব পর্যন্ত, বিহারে তখত (সিংহাসন) শ্রী পাটনা সাহিব থেকে শুরু করে গুজরাটের কচ্ছ-এ গুরুদ্বার লাখপত সাহিব পর্যন্ত আমাদের গুরুরা মানুষকে প্রেরণা যুগিয়েছেন, তাঁদের চরণের ধূলি দিয়ে এই ভূমিকে পবিত্র করেছেন। সেজন্য শিখ পরম্পরা বাস্তবে ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এরই জীবন্ত পরম্পরা।

ভাই ও বোনেরা,

স্বাধীনতার যুদ্ধে আর স্বাধীনতার পরও শিখ সমাজের দেশের জন্য যে অবদান রয়েছে, সেজন্য গোটা ভারত কৃতজ্ঞতা অনভুব করে। মহারাজা রঞ্জিত সিং-এর অবদান থেকে শুরু করে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই হোক অথবা জালিয়ানওয়ালা বাগ হোক – তাঁদেরকে ছাড়া ভারতের ইতিহাস সম্পূর্ণ হয় না, ভারতও সম্পূর্ণ হয় না। আজও সীমান্তে মোতায়েন শিখ সৈনিকদের শৌর্য থেকে শুরু করে দেশের অর্থ ব্যবস্থার জন্য শিখ সমাজের অংশীদারিত্ব এবং শিখ প্রবাসী ভারতীয়দের অবদান পর্যন্ত, শিখ সমাজ দেশের সাহস, দেশের সামর্থ্য এবং দেশের শ্রমের বর্তমান পর্যায়ে উঠে এসেছে।

বন্ধুগণ,

স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পাশাপাশি আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে সেলিব্রেট করারও একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ কারণ স্বাধীনতার জন্য ভারতের সংঘর্ষ শুধুই একটি সীমিত কালখণ্ডের ঘটনা নয়, এর পেছনে হাজার হাজার বছরের চেতনা এবং আদর্শ যুক্ত হয়েছিল। এর পেছনে আধ্যাত্মিক মূল্য আর অসংখ্য তপস্যা, ত্যাগ যুক্ত হয়েছিল। সেজন্য আজ দেশ যখন একদিকে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করে তার পাশাপাশি লালকেল্লায় গুরু তেগ বাহাদুরজির ৪০০তম প্রকাশ পর্বও পালন করা হয়েছে। গুরু তেগ বাহাদুরজির ৪০০তম জন্মদিন উপলক্ষে আগে আমরা গুরু নানকদেবজির ৫৫০তম প্রকাশ পর্ব সম্পূর্ণ শ্রদ্ধার সঙ্গে দেশ ও বিদেশে পালন করতাম। দশম গুরু গোবিন্দ সিংহজির ৩৫০তম প্রকাশ পর্ব আয়োজনের সৌভাগ্য আমাদের হয়েছে।

বন্ধুগণ,

এর পাশাপাশি এই করোনার কঠিন সময়ে কর্তারপুর সাহিব করিডরেরও নির্মাণ হয়েছে। আজ লক্ষ লক্ষ ভক্তদের সেখানে মাথা ঠেকানোর সৌভাগ্য হচ্ছে। লঙ্গরকে করমুক্ত করা থেকে শুরু করে হরমিন্দর সাহিবকে এফসিআরএ-এর অনুমতি দেওয়া পর্যন্ত গুরুদ্বারগুলির চারপাশে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা থেকে শুরু করে সেগুলিকে উন্নত পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত করা পর্যন্ত দেশ আজ প্রত্যেক সম্ভাব্য প্রচেষ্টা করছে, আর আমি সতনমজির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি যেভাবে ভিডিওটিকে সঙ্কলিত করে দেখিয়েছেন এ থেকে জানা যেতে পারে যে সম্পূর্ণ শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রত্যেক ক্ষেত্রে কোনও না কোনও ধরনের কাজ হয়েছে। আপনাদের থেকে বিভিন্ন সময়ে যে পরামর্শ পাওয়া যায়, আজও আপনারা আমাকে যথেষ্ট পরামর্শ দেন, এমনকি আজকের দিনেও আপনারা আমাকে অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। আমার চেষ্টা থাকে যে সেগুলির ভিত্তিতে যেন আমি দেশসেবার কাজে এগিয়ে যেতে পারি।

বন্ধুগণ,

আমাদের গুরুদের জীবন থেকে সবচাইতে বড় যে প্রেরণা আমরা পাই, তা হল আমাদের কর্তব্যের মনোভাব। স্বাধীনতার অমৃতকালে দেশও আজ কর্তব্যগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলছে। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস অউর সবকা প্রয়াস’ – এই মন্ত্র আমাদের সকলের সামনে ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎকে সুনিশ্চিত করছে। এই কর্তব্য কেবল আমাদের বর্তমানের জন্য নয়, এই কর্তব্য আমাদের এবং আমাদের দেশের ভবিষ্যতের জন্যও। এই কর্তব্য আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্যও। উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি, আজ দেশ ও বিশ্বের সামনে পরিবেশ একটি অনেক বড় সঙ্কটে পরিণত হয়েছে। এর সমাধান ভারতের সংস্কৃতি এবং শিষ্টাচারগুলির মধ্যে রয়েছে। শিখ সমাজ এর জলজ্যান্ত উদাহরণ। শিখ সমাজে আমরা যতটা ভাবনা ও চিন্তা নিজেদের গ্রামের জন্য করি, ততটাই আমরা পরিবেশ এবং এই পৃথিবী গ্রহের জন্যও করি। দূষণের বিরুদ্ধে নানা প্রচেষ্টা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ, অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াই কিংবা নিজেদের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধগুলির সুরক্ষা – এই সকল ক্ষেত্রে যত প্রচেষ্টা চলছে সেগুলির সঙ্গে আপনাদেরকে যুক্ত থাকতে দেখা যায়। এই সেবার শৃঙ্খলায় আপনাদের প্রতি আমার আরও একটি অনুরোধ রয়েছে। আপনারা জানেন যে, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে আমরা দেশের প্রত্যেক জেলায় ৭৫টি করে ‘অমৃত সরোবর’ খননের সঙ্কল্প নিয়েছি। আপনারাও প্রত্যেকেই নিজের নিজের গ্রামে ‘অমৃত সরোবর’ খননের অভিযান শুরু করতে পারেন।

বন্ধুগণ,

আমাদের গুরুরা আমাদেরকে আত্মসম্মান এবং মানব জীবনের গৌরবের যে শিক্ষা দিয়ে গেছেন তারও প্রভাব আমাদের প্রত্যেক শিখের জীবনে, প্রত্যেক শিষ্যের জীবনে দেখা যায়। স্বাধীনতার অমৃতকালে এটাই আজ এই দেশেরও সঙ্কল্প। আমাদের আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে হবে, দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর ব্যক্তির জীবনকে উন্নত করতে হবে – এই সকল প্রচেষ্টা আপনাদের সকলের সক্রিয় অংশীদারিত্ব থাকা এবং আপনাদের সকলের সক্রিয় অবদান অত্যন্ত অনিবার্য এবং প্রয়োজনীয়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, গুরুদের আশীর্বাদে আমরা সফল হব আর দ্রুত একটি নতুন ভারতের লক্ষ্য পর্যন্ত পৌঁছব। এই সঙ্কল্প নিয়ে আপনাদের সবাইকে আমি অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। আপনারা যে এখানে এসেছেন সেটা আমার জন্য সঙ্গত থেকে অনেক বেশি কিছু, আর সেজন্য আমার প্রতি আপনাদের কৃপা যেন বজায় থাকে আর আমি সবসময়েই বলি যে প্রধানমন্ত্রী নিবাস স্থান, এটা মোদীর বাড়ি নয়, এটা আপনাদের অধিকারের জায়গা, এটা আপনাদের বাড়ি। এই মনোভাব নিয়ে, এই আপনত্বের সঙ্গে সর্বদাই আমরা যেন মিলেমিশে ভারতমাতার জন্য, আমাদের দেশের গরীবদের, আমাদের দেশের প্রত্যেক সমাজের উত্থানের জন্য, আমরা নিজেদের কাজ করে যাব। গুরুদের আশীর্বাদ যেন আমাদের ওপর বজায় থাকে। এই একটি মনোভাব নিয়ে আরও একবার আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। ওয়াহে গুরুকা খালসা, ওয়াহে গুরুকা ফতহ!

 

CG/SB/DM/



(Release ID: 1822182) Visitor Counter : 183