প্রতিরক্ষামন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

‘মেক ইন্ডিয়া, মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ লক্ষ্য অর্জনের জন্য মার্কিন সংস্থাগুলিকে ভারতে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন, উৎপাদন এবং রক্ষণাবেক্ষণে আমন্ত্রণ জানালেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী


ক্রেতা-বিক্রেতা সম্পর্ক থেকে অংশীদারিত্বের সম্পর্কে উন্নীত হওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিলেন শ্রী রাজনাথ সিং

ভারত-মার্কিন সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব আন্তর্জাতিক শান্তি, সুস্থিতি ও সমৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : প্রতিরক্ষা মন্ত্রী

Posted On: 21 APR 2022 12:50PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২১ এপ্রিল, ২০২২

 

‘মেক ইন্ডিয়া, মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের গৃহীত নীতির সুবিধা নিয়ে মার্কিন সংস্থাগুলিকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন, উৎপাদন এবং রক্ষণাবেক্ষণের আহ্বান জানালেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আজ আমেরিকান চেম্বার অফ ইন্ডিয়া (এএমসিএইচএম ইন্ডিয়া)-এর ৩০ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে বক্তব্য রাখছিলেন। তিনি মার্কিন সংস্থাগুলিকে ভারতে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের যৌথ উৎপাদন, যৌথ উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতিতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। 

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, “সম্প্রতি কিছু মার্কিন সংস্থা ভারতীয় শিল্প মহলের সঙ্গে অংশীদারিত্বে, ভারতে স্থানীয় স্তরে তাদের উপস্থিতি প্রসারিত করেছে। ‘মেক ইন্ডিয়া, মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’-এর লক্ষ্য অর্জনে এটি সহায়ক। আমরা মনে করি, এটি সূচনা মাত্র। ব্যবসা যত বাড়তে থাকবে মার্কিন সংস্থাগুলি ভারতে তত বেশি করে বিনিয়োগ করবে বলে আমাদের ধারণা। শিল্প নিরাপত্তা চুক্তির পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে, আমাদের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির সহযোগিতা ও স্বদেশীকরণ আরও বাড়াতে হবে। মার্কিন ও ভারতীয় সংস্থাগুলি একে অপরের প্রতিরক্ষা সরবরাহ শৃঙ্খলে আরও বেশি করে অংশগ্রহণ করবে। মার্কিন সংস্থাগুলিকে ভারতে উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনে স্বাগত।”

মূল সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক এবং ভারতীয় সংস্থাগুলির মধ্যে অংশীদারিত্বকে সহজ করতে সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তার বিশদ বিবরণ দেন। তিনি বলেন, বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের উর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি এবং আইডেক্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে  উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা থেকে শুরু করে ভারতে উৎপাদন বাড়াতে বর্ধিত ইতিবাচক তালিকা প্রস্তুত – এই সব উদ্যোগের মধ্য দিয়ে সরকার ভারতে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের উৎপাদন এবং ভারতীয় সংস্থাগুলির রপ্তানি বৃদ্ধি ও যৌথ উদ্যোগের লক্ষ্যে সর্বতো প্রয়াস চালাচ্ছে।

শ্রী রাজনাথ সিং বলেন, মার্কিন সংস্থাগুলি কেবল ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানেরই উৎস নয়, ভারতের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানিতেও এদের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। গত ৫ বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আড়াই বিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রতিরক্ষা সামগ্রী রপ্তানি করা হয়েছে, যা মোট রপ্তানির ৩৫ শতাংশ। ভারতের সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের সঙ্গে মার্কিন সংস্থাগুলির যৌথ গবেষণা ও শিল্প সহযোগিতা ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গঠন এবং ভারত-মার্কিন সম্পর্ক সুদৃঢ় করার পক্ষে বিশেষ সহায়ক বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সম্প্রতি ওয়াশিংটনে আয়োজিত, ভারত-মার্কিন ২+২ মন্ত্রী পর্যায়ের বার্তালাপকে ইতিবাচক ও ফলপ্রসূ আখ্যা দিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এক শক্তিশালী স্তম্ভ। মূলগত চুক্তি, দুদেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে কার্যক্রম, প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা বাণিজ্য ও প্রযুক্তিগত সহায়তা, সরবরাহ ক্ষেত্রে পারস্পরিক বিনিময় এবং বর্তমানে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের যৌথ উন্নয়ন ও যৌথ উৎপাদন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করছে। তিনি বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতা সম্পর্ক থেকে অংশীদারিত্বের সম্পর্কে উন্নীত হওয়া এখন বিশেষ প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য পারস্পরিকভাবে একে অপরের শক্তিকে কাজে লাগাতে পারবে। 

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, কৌশলগত অভিন্নতার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে দেখা যাবে, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশই গণতন্ত্র, বহুত্ববাদ এবং আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। দুই দেশই এমন এক নমনীয় নিয়ম ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা চায় যা সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রসার এবং শান্তি ও সমৃদ্ধি অক্ষুণ্ণ রাখতে সহায়ক। দুই দেশই ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মুক্ত, সুশৃঙ্খল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ সৃষ্টিতে বিশ্বাসী। ভারত-মার্কিন সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব আন্তর্জাতিক শান্তি, সুস্থিতি ও সমৃদ্ধির পক্ষে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। 

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অর্থনৈতিক বিকাশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং দুদেশের সমৃদ্ধির জন্য বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভারত-মার্কিন অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। ভারত-মার্কিন অর্থনৈতিক সম্পর্ককে তিনি একবিংশ শতকের অন্যতম নির্ণায়ক ব্যবসায়িক সম্পর্ক বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গত বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য অনেকটা বেড়ে ১১৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এই একই সময়ে, প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভরতার স্বপ্নের দিকে যাত্রায় ভারত সাফল্য পেতে শুরু করেছে। বিশ্বব্যাপী সরবরাহশৃঙ্খলে ভারতের অবদান বাড়ছে, এই প্রথম ভারত ৪০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের পণ্য রপ্তানি করতে পেরেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগগত সম্পর্কের উন্নতি এই সাফল্যেরই অন্যতম উপাদান। 

শ্রী রাজনাথ সিং বলেন, ২+২ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উন্নত যোগাযোগ প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম বিজ্ঞান, স্টেম, সেমি-কন্ডাক্টর এবং জৈব প্রযুক্তির মতো জটিল ও বিকাশশীল প্রযুক্তিগুলিতে একে অপরকে সহযোগিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। বেসরকারি ক্ষেত্রকেও তিনি যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন, অর্থের যোগান, প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং কারিগরি সহযোগিতা বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। 

এএমসিএইচএম ইন্ডিয়া হল ভারতে কাজ করা মার্কিন ব্যবসায়িক সংস্থাগুলির একটি সংগঠন। ১৯৯২ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ৪০০টিরও বেশি মার্কিন সংস্থা এর সদস্য। এর প্রধান উদ্দেশ্য হল ভারতে মার্কিন সংস্থাগুলির বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া। 

 

CG/SD/SKD/


(Release ID: 1818911) Visitor Counter : 547