কৃষিমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী খরিফ অভিযান ২০২২-এ কৃষি কাজ সম্পর্কিত জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন


২০২১-২২ এ দেশে রেকর্ড পরিমাণ খাদ্যশস্য, ডালশস্য ও তৈল বীজ উৎপাদিত হবে

Posted On: 19 APR 2022 4:33PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৯ এপ্রিল, ২০২২

 
কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর আজ নতুন দিল্লিতে এনএএসসি কমপ্লেক্সে খরিফ অভিযান ২০২২-২৩ এ কৃষি কাজ সম্পর্কিত জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেন। দ্বিতীয় আগাম হিসাব (২০২১-২২) অনুযায়ী, দেশে মোট খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ ৩ হাজার ১৬০ লক্ষ টন হবে বলে অনুমান করা হয়েছে, যা সর্বকালীন রেকর্ড হতে চলেছে। আলোচ্য সময়ে ডালশস্যের উৎপাদন ২৬৯.৫০ লক্ষ টন এবং তৈলবীজ উৎপাদন ৩৭১.৫০ লক্ষ টন হবে বলে অনুমান করা হয়েছে। ২০২০-২১ এ তৃতীয় আগাম হিসাব অনুযায়ী, উদ্যানজাত ফসলের উৎপাদন পরিমাণ দাঁড়াবে ৩৩১০.৫০ লক্ষ টন, যা সর্বকালীন রেকর্ড হতে চলেছে। কৃষকদের উৎপাদন খাতে খরচ কমাতে কীটনাশক ও সারের যোগান সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে একযোগে কাজ করার পরামর্শ দেন। তিনি ইউরিয়ার পরিবর্তে ন্যানো-ইউরিয়ার ব্যবহার বাড়াতে কৌশল প্রণয়নের কথা বলেন। প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষি কাজে সরকারের অগ্রাধিকার অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান। রপ্তানি প্রসঙ্গে শ্রী তোমর বলেন, কৃষিজ পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। তবে, গুণগতমানের কৃষিজ পণ্য রপ্তানিতে গুরুত্ব দিতে হবে, যাতে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে। পক্ষান্তরে, রপ্তানিকারী ও কৃষক উভয়পক্ষই লাভবান হবেন।
 
আসন্ন শস্য মরশুমে বিভিন্ন শস্যের চাষ ও উৎপাদন পর্যালোচনা করতেই এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। কৃষিজ পণ্যের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে অভিনব প্রযুক্তি গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় কাঁচামালের যোগান অব্যাহত রাখতে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। শস্য চাষের পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে সরকার অ্যাগ্রো-ইকোলজিকাল বা কৃষি বাস্তুতন্ত্রের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, যাতে তৈলবীজ ও ডালশস্যের ঘাটতি মেটানো যায়। একইভাবে, রপ্তানি বাবদ আয় বাড়ানো যায়। তৈলবীজ ও ডালশস্য উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনে সরকার কৃষিজ ফসলে আরও বৈচিত্র্য আনার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। একইভাবে, পামতেল উৎপাদনে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। শস্য বৈচিত্র্যকরণ কর্মসূচির জন্য জাতীয় নীতি-কাঠামো প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত করতে বিভিন্ন রাজ্য, গবেষক, শিল্প সংস্থা ও নীতি প্রণেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে। কৃষি কাজকে আরও লাভজনক করে তুলতে এবং বিভিন্ন ধরনের কৃষিজ পণ্যের ঘাটতি দূর করে স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য সমস্ত রাজ্যকে একযোগে কাজ করতে হবে বলেও কৃষি অভিমত প্রকাশ করেন। 
 
জাতীয় স্তরের এই সম্মেলনে ২০২২-২৩ এ ৩ হাজার ২৮০ লক্ষ টন খাদ্যশস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে। একইভাবে, আলোচ্য বছরে ২৯৫.৫০ লক্ষ টন ডালশস্য ও ৪১৩.৪০ লক্ষ টন তৈলবীজ উৎপাদনের লক্ষ্য স্থির হয়েছে। পুষ্টিকর দানাশস্যের উৎপাদন পরিমাণ ২০২১-২২ এর ১১৫.৩০ লক্ষ টন থেকে বাড়িয়ে ২০২২-২৩ এ ২০৫ লক্ষ টন করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। 
 
সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব শ্রী মনোজ আহুজা বলেন, দেশে ২০১৫-১৬ থেকেই খাদ্যশস্য উৎপাদনে ক্রমবর্ধমান অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রয়েছে। এমনকি, গত ছ’বছরে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ২৫১.৫৪ মিলিয়ন টন থেকে ২৫ শতাংশ বেড়ে ৩১৬.০১ মিলিয়ন টন হয়েছে। এমনকি, তৈলবীজ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও ক্রমবর্ধমান অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রয়েছে। ২০১৫-১৬’তে তৈলবীজ উৎপাদনের পরিমাণ ২৫.২৫ মিলিয়ন টন থেকে ৪২ শতাংশ বেড়ে ২০২১-২২ এ ৩৭.১৫ মিলিয়ন টন হয়েছে। একইভাবে, ভারত থেকে কৃষিজ পণ্য সামগ্রী রপ্তানির পরিমাণ ২০২১-২২ এ ১৯.৯২ শতাংশ বেড়ে ভারতীয় মুদ্রায় ৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে গম, বিভিন্ন ধরনের দানাশস্য, চাল (বাসমতি বাদে), কাঁচা তুলো, টাটকা শাক-সব্জি এবং প্রক্রিয়াজাত শাক-সব্জির রপ্তানিতে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। 
 
CG/BD/SB


(Release ID: 1818342) Visitor Counter : 262