জাহাজচলাচলমন্ত্রক

ভারত – বাংলাদেশ প্রটোকল রুটে (আইবিপিআর) হলদিয়া থেকে পণ্য নিয়ে পান্ডু বন্দরে নোঙর করল ব্রহ্মপুত্রের উপর দিয়ে চলাচলকারী দীর্ঘতম জাহাজ


টিএমটি বার বহনকারী ৯০ মিটার দীর্ঘ এই জাহাজ এমভি রাম প্রসাদ বিসমিলের সঙ্গে রয়েছে ডিবি কল্পনা চাওলা ও ডিবি এপিজে আব্দুল কালাম

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল হলদিয়ার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর থেকে এই জাহাজগুলির যাত্রার সূচনা করেন

অন্তর্দেশীয় জলপথ কর্তৃপক্ষ (ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া – আইডাব্লুউএআই) বাংলাদেশ হয়ে কলকাতা থেকে গুয়াহাটির মধ্যে বার্জের মাধ্যমে নিয়মিত পণ্য পরিবহণ চালু করবে

Posted On: 15 MAR 2022 1:02PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১৫ মার্চ, ২০২২

 

এমভি রাম প্রসাদ বিসমিল ব্রহ্মপুত্রের উপর দিয়ে যাত্রা করায় বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রক এক নতুন মাইলফলক অর্জন করল। এর আগে এত বড় জাহাজ ব্রহ্মপুত্রের উপর দিয়ে যায়নি। জাহাজটি লম্বায় ৯০ মিটার, চওড়ায় ২৬ মিটার। এর ফলে কলকাতার হলদিয়া ডক থেকে ভারী পণ্য পরিবহণের যে পরীক্ষামূলক প্রয়াস নেওয়া হয়েছিল, তা সফল হলো। জাহাজটি এখন গুয়াহাটির পান্ডু বন্দরে নোঙর করেছে। এই জাহাজের সঙ্গে দুটি বার্জ রয়েছে - ডিবি কল্পনা চাওলা ও ডিবি এপিজে আব্দুল কালাম। ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে, হলদিয়ার শ্যামা প্রসাদ মুখার্জী বন্দর থেকে এগুলির যাত্রার সূচনা করেছিলেন কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ ও জলপথ এবং আয়ুষ মন্ত্রী শ্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। 

ভারত – বাংলাদেশ প্রটোকল রুট দিয়ে কলকাতা ও গুয়াহাটির মধ্যে বার্জ পরিবহণের সম্ভাব্যতা এই যাত্রার মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখা হলো। এই পরীক্ষামূলক যাত্রায় জামশেদপুরের টাটা স্টিল থেকে ১ হাজার ৭৯৩ টন ইস্পাতের রড নেওয়া হয়েছিল। এই পরিবহণের জন্য অন্তত ২ মিটার নাব্যতা থাকা প্রয়োজন। ইঞ্জিনিয়াররা তা সম্ভব করে দেখিয়েছেন। ভারত সরকার এবং বাংলাদেশ সরকার এই নদী পথে ড্রেজিং-এর খরচ বহন করে। ৮০ শতাংশ দেয় ভারত, ২০ শতাংশ বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক এই যাত্রা যাতে সফল হতে পারে সেজন্য ভারতের অন্তর্দেশীয় জলপথ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া – আইডাব্লুউএআই) এবং বাংলাদেশের অন্তর্দেশীয় জলপথ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বাংলাদেশ ইনল্যান্ড ওয়াটারট্রান্সপোর্ট অথরিটি – বিআইডাব্লুউটিএ) হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছে। এই কাজের মাধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘পরিবহণের মাধ্যমে রূপান্তর’ দৃষ্টিভঙ্গির সফল রূপায়ন সম্ভব হয়েছে। 

দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী সোনওয়াল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তর–পূর্বাঞ্চলকে ভারতের বিকাশের চালিকা শক্তিতে পরিণত করার এবং পরিবহণের মাধ্যমে রূপান্তরের যে স্বপ্ন দেখেছেন তা সফল করতে নিরলস প্রয়াসের মাধ্যমে এই অঞ্চলের জলপথের পুনরুজ্জীবন সম্ভব হয়েছে। এটি শুধু যে ব্যয়সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব পরিবহণ মাধ্যম তাই নয়, এর সুবাদে জলপথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে বাকি বিশ্বের ব্যবসায়িক সংযোগ স্থাপন করা যেতে পারে। আজ যখন ব্রহ্মপুত্রের উপর দিয়ে চলা দীর্ঘতম জাহাজটি পান্ডু বন্দরে নোঙর করেছে, তখন যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই জলপথের নাব্যতা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে তাদের অবদান স্বীকার করতেই হবে। জলপথের মাধ্যমে অসমের বাণিজ্যিক সম্ভাবনার পুনরুদ্ধার এবং ব্রহ্মপুত্রের প্রাণশক্তির পুনরুজ্জীবনের মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটাতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। 

২০১৯-২০২০ এবং ২০২০-২০২১ এই দুটি অর্থ বছরে ব্রহ্মপুত্রে ধুবড়ি ও পান্ডুর মধ্যে গভীরতা ছিল ২.২ মিটার। সাম্প্রতিক এলএডি রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২২ সালের জানুয়ারিতে চিলমারী থেকে দইখাওয়া-র মধ্যে গভীরতা কমে দেড় মিটারে নেমে আসে। এর পর ড্রেজিং-এর মাধ্যমে এই গভীরতা আবার ২.২ মিটারে নিয়ে যাওয়া হয়।

শ্রী সোনওয়াল বলেন, অসমের মানুষের কাছে ব্রহ্মপুত্র হলো জীবনরেখা। তা বুঝেই প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক সম্ভাবনাপূর্ণ ও পরিবেশ বান্ধব জলপথ পরিবহণের পুনরুজ্জীবনের কথা ভেবেছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান শ্রী সোনওয়াল। বাংলাদেশ সরকার এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হেমন্ত বিশ্বশর্মা, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং বিহার সরকারকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে যেসব ইঞ্জিনিয়ার ও কারিগরি বিশেষজ্ঞ ও কর্মী এই প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন তাদের কাজের প্রশংসা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

এর আগে, এমভি লাল বাহাদুর শাস্ত্রী নামের একটি জাহাজ ভারতীয় খাদ্য নিগমের ২০০ টন খাদ্যশস্য নিয়ে পাটনা থেকে পান্ডু পর্যন্ত গিয়েছিল। জাহাজটি জাতীয় জলপথ ১ গঙ্গা এবং জাতীয় জলপথ ২ ব্রহ্মপুত্রের উপর দিয়ে যায়। এছাড়া ভারত – বাংলাদেশ প্রটোকল রুটে নুমালিগড় শোধনাগারের জন্য ব্রহ্মপুত্রের উপর দিয়ে একটি পণ্যবাহী জাহাজও এর আগে গিয়েছিল। 

 

CG/SD/SKD/



(Release ID: 1806668) Visitor Counter : 149