স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ গুজরাটের গান্ধীনগরে জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়টি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে ভাষণ দিয়েছেন
জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ অংশগ্রহণ করেছেন
प्रविष्टि तिथि:
12 MAR 2022 6:08PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১২ই মার্চ, ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। গুজরাটের গান্ধীনগরে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে তিনি ভাষণও দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ, গুজরাটের রাজ্যপাল শ্রী আচার্য্য দেবব্রত, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ২০০২ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সময়ে তিনি আইন শৃঙ্খলার বিষয়ে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরেই শ্রী মোদী পুলিশ বাহিনীর আধুনিকীকরণের কাজ শুরু করেন। তাঁর নেতৃত্বে ভারতে গুজরাটই প্রথম রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, যেখানে প্রতিটি থানায় কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্য সঞ্চয় করে রাখার ব্য়বস্থা করা হয়। শ্রী মোদী সেই সময়ে থানাগুলির মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তোলার জন্য অত্যাধুনিক সফ্টওয়্যারের ব্যবস্থা করেন। এ ছাড়াও তখন থেকে কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে কম্পিউটার সম্পর্কে ধারণা থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়। চাকুরীরত কনস্টেবল সহ পুলিশ বাহিনীর সকলকে কম্পিউটারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তদানিন্তন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শ্রী মোদী সেই সময় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এগুলি হল – দেশে সর্বশ্রেষ্ঠ আইন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা, জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা করা এবং আন্তর্জাতিকমানের ফরেন্সিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা। শ্রী মোদী গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকার সময় বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন, যা আজ দেশের কাছে আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হয়। কোনো ছাত্র যদি একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকে, তাহলে পরবর্তীতে সে ঐ এলাকায় অন্যদেরও প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন। গবেষণা ও উন্নয়ন, সরকারী কর্মীদের বিশেষভাবে দক্ষ করে তোলা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শ্রী শাহ বলেছেন, ২০১৪ সালে জনসাধারণ যখন শ্রী মোদীকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিয়েছিলেন, সেই সময় তিনি প্রতিটি ক্ষেত্রে যুগের চাহিদা মেনে পরিবর্তন আনার চেষ্টা শুরু করেন। শ্রী শাহ বলেন, জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলিকে নিয়ে নানা ধরণের কাজ করছে, যা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী কর্মযোগী তৈরি করা হচ্ছে, যারা কনস্টেবল, পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর এবং ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশের কাজ পেশাদারিত্বের সঙ্গে করতে পারবেন। যখন পেশাদারিত্ব এবং কর্মযোগী এক যোগে কাজ করে তখন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। শ্রী শাহ আরো বলেন, আজ ছাত্রছাত্রীরা তাদের ডিগ্রী এমন এক জনের কাছ থেকে পেতে চলেছে, যাকে শুধু জাতিই নয়, সারা বিশ্বের মানুষ নেতা হিসেবে বিবেচনা করেন এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর মতামত জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। শ্রী শাহ ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা এখান থেকে পড়াশোনা করলেন, তারা যাতে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথাযথভাবে বজায় রাখেন এবং অন্তবর্তী নিরাপত্তা শক্তিশালী করেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম তৈরি করা হয়েছে। যখন জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সারা দেশের ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে, তখন এখানকার প্রশিক্ষিত ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন অঞ্চলে পুলিশ বাহিনীতে কাজ করবেন। এছাড়াও পুলিশ বাহিনীর ব্যবস্থাপনাকে সাহায্য করার জন্য বিশেষজ্ঞ হিসেবেও এই সব ছাত্রছাত্রীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। একই সঙ্গে জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের মধ্যে ঐক্যের একটি ভাবনা গড়ে তুলতে সাহায্য করা হবে।
CG/CB/SFS
(रिलीज़ आईडी: 1805506)
आगंतुक पटल : 231