বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

দেশের বৈজ্ঞানিক সাফল্যের বিষয় এবং মহিমা উদযাপনে ভারতব্যাপী আয়োজিত ‘বিজ্ঞান সর্বত্র পুজ্যতে’ অনুষ্ঠানের সূচনা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ জিতেন্দ্র সিং ও শ্রী জি কিষাণ রেড্ডি

Posted On: 22 FEB 2022 6:50PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত, প্রধানমন্ত্রীর দফতর, কর্মীবর্গ, গণ অভিযোগ, পেনশন, আণবিক শক্তি এবং মহাকাশ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, বৈজ্ঞানিক সরঞ্জামের সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য সাংস্কৃতিক নীতি অপরিহার্য। ডাঃ সিং এবং দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন, সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী শ্রী জি কিষাণ রেড্ডি আজ যৌথভাবে ‘বিজ্ঞান সর্বত্র পুজ্যতে’ অনুষ্ঠানের সূচনা করেছেন। দেশের বৈজ্ঞানিক সাফল্যের বিষয় এবং মহিমা উদযাপনে ভারতব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 

অনুষ্ঠানের সূচনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ জিতেন্দ্র সিং জানান, দেশের ৭৫টি স্থানে এই ‘বিজ্ঞান সর্বত্র পুজ্যতে’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, “উদাহরণ স্বরূপ যদি কোনো শিশুকে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন সহ একটি স্মার্ট ফোন দেওয়া হয়, তাহলে সে হয়তো তার সুবিধার জন্য কোন্ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করবে, তা বুঝে উঠতে পারবে না। এমনকি প্রতি মুহূর্তে ওই শিশুর পিতা-মাতার পক্ষে তাকে পরিচালনা করা সম্ভব নাও হতে পারে। তবে যদি তাকে সভ্যতামূলক ‘সংস্কার’ এবং নীতি শিক্ষা দেওয়া হয়, সে নিজে থেকেই স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে পারবে।” তিনি জানান, এই শিক্ষা থাকলে শিশুদেরকে এমন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখবে, যা তাদের বিপথে নিয়ে যেতে পারে। 

ডাঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন, ‘বিজ্ঞান সর্বত্র পুজ্যতে’ দেশের সাংস্কৃতিক নীতিতে বিজ্ঞান এবং বৈজ্ঞানিক সাফল্যগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করবে। এর মূল লক্ষ্যই হল বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারাকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এতে বৈজ্ঞানিক তথ্য ও উদ্ভাবন বিষয়বস্তুগুলি সাধারণ মানুষ খুব সহজেই আত্মস্থ করতে পারবেন। ফলে তাদের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্ক ভাবধারা গড়ে উঠবে। গত ৭৫ বছরে বৈজ্ঞানিক কৃতিত্বের সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন শ্রী সিং। 

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে এখন প্রযুক্তি প্রতি ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে লক্ষ্য অর্জনে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির ভূমিকার কথা বারংবার তুলে ধরেছেন। এমনকি, প্রধানমন্ত্রী মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চাকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, দেশের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগারের পাশাপাশি বিজ্ঞানীরাও এখন বিশ্ব সেরাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে চলেছে। তিনি বলেন, অ্যালফাবেট (গুগলের মূল কোম্পানি), মাইক্রোসফট, আইবিএম, ট্যুইটারের মত বিশ্বের সেরা সংস্থাগুলিতে এখন নেতৃ্ত্ব দিচ্ছেন ভারতীয় বা ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তিরা। 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি থেকে সর্বাধিক সুবিধা এবং সুফললাভে সকলকে একটি বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাভাবনা তৈরি করতে হবে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী এবং কচ্ছ থেকে কামরূপ পর্যন্ত, জাতীয় বিজ্ঞান সপ্তাহ (২২-২৮ ফেব্রুয়ারি) উপলক্ষে সারা দেশের ৭৫টি শহরে ‘বিজ্ঞান সর্বত্র পুজ্যতে’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার বিজ্ঞান এবং উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার মাধ্যমে গ্রাম ও শহরে স্বাস্থ্য, পরিকাঠামো, প্রতিরক্ষা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে দেশের শত শত বিজ্ঞানী লড়াইয়ে দিনরাত কাজ করে চলেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। শ্রী সিং জানান, দেশে শুধুমাত্র ১০০ শতাংশ সাক্ষরতার হার নয়, বরং ১০০ শতাংশ বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতা হারের লক্ষ্য অর্জনে কাজ করতে হবে। সংস্কৃত, বাংলা, তামিল, তেলেগু সহ বিভিন্ন ভাষায় বিজ্ঞানের প্রসারে ‘বিজ্ঞান ভাষা’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এদিন, একটি ইউনিফায়েড সায়েন্স মিডিয়া সেন্টার তৈরির কথাও ঘোষণা করেন তিনি। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্য বিজ্ঞান উপদেষ্টা ডঃ কে বিজয় রাঘবন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব ডঃ এস চন্দ্রশেখর সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। 

 

CG/SS/SKD/


(Release ID: 1800464) Visitor Counter : 450