কর্মী, জন-অভিযোগএবংপেনশনমন্ত্রক
কাউন্সিল অফ সাইন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইন্টিগ্রেটিভ মেডিসিনের সুগন্ধি মূলক অ্যারোমা মিশন প্রকল্পে রামবানে বেগুনি বিপ্লবের অঙ্গ হিসেবে ল্যাভেন্ডার চাষ শুরু হতে চলেছে
प्रविष्टि तिथि:
20 FEB 2022 7:25PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও কর্মী, জন- অভিযোগ ও পেনশন বিভাগের প্রতিমন্ত্রী ডক্টর জীতেন্দ্র সিং আজ বলেছেন যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের এলাকার উন্নয়নের জন্য অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করার মূল কারিগর। তিনি বলেন যে, শুধুমাত্র স্থানীয়ভাবে উন্নয়নমূলক উদ্যোগের জন্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকেন না। বরং বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নের ত্রুটি গুলি ধরতেও তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয়। এভাবেই তাঁরা জনগণ এবং প্রশাসনের মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করে থাকেন। ডক্টর সিং আজ জম্মুর কনভেনশন সেন্টারে রামবান জেলার জন্য জেলা উন্নয়ন সমন্বয় ও পর্যবেক্ষণ কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন।
আজকের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত ছিল ডোডা এবং রিয়াসি জেলার আদলে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে কাউন্সিল অফ সাইন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ বা সি এস আই আর এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইন্টিগ্রেটিভ মেডিসিন বা আই আই আই এম-এর সুগন্ধি মূলক অ্যারোমা মিশন প্রকল্পে রামবানে বেগুনি বিপ্লবের অঙ্গ হিসেবে ল্যাভেন্ডার চাষ শুরু করা।
ডক্টর সিং উল্লেখ করেন যে, ডোডো এবং রামবানে একই রকম জলবায়ু এবং ভৌগলিক অবস্থান রয়েছে। তাই পার্পেল রিভলিউশন বা বেগুনি বিপ্লবের মাধ্যমে ওই স্থানে ল্যাভেন্ডার চাষ করা। সেক্ষেত্রে রামবান জেলার যুবকদের আয়ের উৎস বাড়ানো সম্ভব। এ প্রসঙ্গে তিনি ডোডা জেলার বাদেরওয়াহ খিলানির উদাহরণ এবং রেসির উপর দিকের কিছু অঞ্চলের উদাহরণ দেন।
ডক্টর সিং উল্লেখ করেন যে, পাঁচশরও বেশি যুবক বেগুনি বিপ্লব থেকে উপকৃত হয়েছেন। তাঁদের আয়ও বহু গুণ বেড়েছে। এই ধরনের চাষের সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি একটি কাহিনীর কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে, এমন কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক যুবক রয়েছেন, যারা তাঁদের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ল্যাভেন্ডার চাষে যুক্ত হয়ে উপার্জন বহুলাংশে বাড়িয়েছেন। তাঁদের এই উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনে রামবানে ল্যাভেন্ডার চাষের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। তাই কৃষি উদ্যোগীদের তাঁদের জীবিকা নির্বাহ সহজ করতে এই চাষের সাথে যুক্ত করতে তিনি উৎসাহিত করেন। এতে শিল্পোদ্যোগ ভারতের প্রচারকে উৎসাহিত করবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কার্যকারিতা সম্পর্কে পর্যালোচনা করার সময় উল্লেখ করেন যে, দিশা প্লাটফর্মের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং নির্বাহীদের বৃহত্তর জনস্বার্থে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বিষয়ে একসাথে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। ডক্টর সিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী অত্যন্ত কার্যকরী এবং সুচিন্তিত মূলক বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প শুরু করেছেন। যেখানে সাধারন মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। এই প্রকল্পগুলির সম্পূর্ণ সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে সাধারণ মানুষের সমস্যা না হয় সে জন্য সচেষ্ট হতে হবে। এর পাশাপাশি প্রকল্পগুলি নির্দিষ্ট সময়সীমা অনুযায়ী যেতে শেষ হয় তাও দেখভাল করতে হবে।
এদিন বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ শোনার সময়, বিশেষ করে রামবান জেলার দুর্গম পঞ্চায়েত ও ব্লকগুলির জনপ্রতিনিধিদের, তিনি বলেন যে, দুর্গম এলাকায় প্রতিকূল আবহাওয়া এবং পরিস্থিতির জন্য সমস্ত মানুষের কাছে পৌঁছনোর কাজটি খুব কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে সরকার বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বা প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা কিংবা মহাত্মা গান্ধী জাতীয় কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত অ্যাক্ট বা এম জি এন আর ই জি এ-এর মতো প্রকল্প গুলি বাস্তবায়িত করতে বিশেষত, দুর্গম পঞ্চায়েত এলাকায়, সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ডক্টর সিং প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধির মতো গ্রামীণ উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ায় এবং ভালো কাজ হওয়ায় জেলা প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
CG/ SB
(रिलीज़ आईडी: 1800058)
आगंतुक पटल : 260