বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ জিতেন্দ্র সিং ‘টেক নীভ @75’ উদ্বোধন করেছেন


জনজাতীয় গৌরব দিবস উদযাপন উপলক্ষে আদিবাসী সম্প্রদায় সহ সফল স্টার্ট আপগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন

Posted On: 15 NOV 2021 1:36PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৫ নভেম্বর, ২০২১

 

কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ডাঃ জিতেন্দ্র সিং আজ আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসাবে ‘টেক নীভ @75’ উদ্বোধন করেছেন। জনজাতীয় গৌরব দিবস উদযাপন উপলক্ষে তিনি আদিবাসী সম্প্রদায় সহ সফল স্টার্টআপগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। 

ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকী ১৫ নভেম্বর ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ হিসাবে উদযাপনের যে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন, সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, আদিবাসী মানুষের মধ্যে বিজ্ঞান মনস্কতার প্রসারে এবং তাঁদের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০২২ সালের শেষ নাগাদ দেশের বিভিন্ন অংশে ৩০টি বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত এ ধরনের ৭৫টি কেন্দ্রের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর ইতিমধ্যেই ২০টি কেন্দ্র গড়ে তুলেছে এবং এর ফলে ২০ হাজার মানুষ কৃষি ও অ-কৃষি সহ জীবন-জীবিকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হবেন।

বিশ্ব উদ্ভাবন সূচকে ভারতের ক্রমাগত উন্নতির কথা পুনরায় উল্লেখ করে ডাঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন, কোভিড-১৯ জনিত প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও এই সূচকে ভারত ৪৬তম স্থানে অবস্থান করছে। 

২০১৪’তে শ্রী মোদী কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিশ্ব উদ্ভাবন সূচকে ভারতের স্থান ২০১৫’র ৮১ থেকে ২০২১-এর ৪৬ হয়েছে বলেও ডাঃ সিং জানান। সূচকে ভারতের ক্রমাগত এই উন্নতির জন্য তিনি মহাকাশ দপ্তর, আণবিক শক্তি দপ্তর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর সহ জৈব প্রযুক্তি দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের কথা উল্লেখ করেন।

সুসংহত ও সামঞ্জস্যপূর্ণ আর্থিক বিকাশের লক্ষ্যে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের প্রভাব জনসমক্ষে তুলে ধরতে সারা বছর ধরে ‘টেক নীভ @75’ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। সুদীর্ঘ ৭৫ ঘণ্টা ধরে এই অনুষ্ঠানে আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের অগ্রগতিতে ৭৫টি উল্লেখযোগ্য ঘটনা নিয়ে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের মতামত প্রকাশ করবেন। দেশে জীবন-জীবিকার মানোন্নয়নে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ব্যাপক প্রভাবকে তুলে ধরতেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 

নতুন ভারত গঠনে প্রধানমন্ত্রীর ‘জয় জওয়ান, জয় কিষাণ, জয় বিজ্ঞান’ শ্লোগানের কথা উল্লেখ করে ডাঃ সিং বলেন, দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাই এ থেকে প্রতিফলিত হয়। রূপান্তরের লক্ষ্যে গতি এবং সংস্কারের পরিধি গত ৭ বছরে ভারতকে বিশ্বের দ্রুততম বিকাশশীল বৃহৎ অর্থনীতি করে তুলেছে বলেও ডাঃ সিং অভিমত প্রকাশ করেন। এই প্রেক্ষিতে, দীর্ঘস্থায়ীভাবে উদ্ভাবনের জন্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সম্ভাবনাকে সদ্ব্যবহারে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে দক্ষতা ও সক্ষমতা গড়ে তোলার আশু চাহিদা দেখা দিয়েছে বলেও ডাঃ সিং জানান। 

 

CG/BD/SB


(Release ID: 1771952) Visitor Counter : 203