সংখ্যালঘুবিষয়কমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী মুখতার আব্বাস নাকভি ২০২২-এ হজ যাত্রার কথা ঘোষণা করেছেন


তীর্থযাত্রীদের হজ যাত্রায় রওনা হওয়ার আগে সম্পূর্ণ দেশীয় জিনিসপত্র দেওয়া হবে

Posted On: 01 NOV 2021 3:00PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০১ নভেম্বর, ২০২১

 

২০২২ সালে হজে যাওয়ার অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া আজ  শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী মুখতার আব্বাস নাকভি মুম্বাইয়ে আজ হজ হাউসে একথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, এবারের হজে একাধিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে এবং সমগ্র হজ যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হচ্ছে। 

তীর্থযাত্রার কথা ঘোষণা করে শ্রী নাকভি বলেন, সমগ্র হজ এবার ১০০ শতাংশ অনলাইন প্রক্রিয়ায় পরিচালিত হবে। হজ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে হজে যাওয়ার আবেদন জানানো যাবে। আবেদন জানানোর শেষ তারিখ আগামী ৩১ জানুয়ারি। হজ মোবাইল অ্যাপে নতুন একটি ট্যাগলাইন ‘হজ অ্যাপ ইন ইয়োর হ্যান্ড’ চালু করা হয়েছে। এর ফলে, হজ অ্যাপটি আরও একাধিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হয়ে উঠেছে। অ্যাপ ব্যবহারকারীরা আবেদনপত্র জমা, হজ যাত্রার বিষয়ে যে কোনও তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। অত্যন্ত সহজ উপায়ে হজযাত্রার জন্য আবেদন জমা ও প্রয়োজনীয় এই অ্যাপ থেকে পাওয়া যাবে। 

শ্রী নাকভি আরও জানান, ভারতীয় হজ তীর্থযাত্রীদের ‘ভোকাল ফর লোকাল’ উদ্যোগের প্রসারে উৎসাহিত করা হবে। এই লক্ষ্যে হজ যাত্রীদের দেশীয় পণ্য সামগ্রী দেওয়া হবে। আগে হজ যাত্রীদের সৌদি আরবে গিয়ে বিদেশি মুদ্রায় প্রয়োজনীয় সামগ্রী, যেমন – বিছানার চাদর, বালিশ, তোয়ালে, ছাতা প্রভৃতি সংগ্রহ করতে হ’ত। এখন থেকে এই সমস্ত সামগ্রী ভারতীয় মুদ্রায় দেশ থেকেই সংগ্রহ করা যাবে। এমনকি, সৌদি আরবের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম দামে ব্যবহারকারীরা এগুলি সংগ্রহ করতে পারবেন। এর ফলে, স্বদেশী পণ্যের ব্যবহার আরও বৃদ্ধি পাবে। দেশের যে সমস্ত শহর থেকে তীর্থযাত্রীরা হজের উদ্দেশে রওনা দেবেন, সেখানে এই সমস্ত সামগ্রীগুলি দেওয়া হবে। 

সংখ্যা বিষয়ক মন্ত্রী আরও জানান, হজ তীর্থযাত্রীদের এইসব সামগ্রী সৌদি আরবে গিয়ে সংগ্রহ করতে হলেও প্রকৃতপক্ষে সেগুলি সবই ভারতে তৈরি। কিন্তু, আগে এগুলি তাঁদের বিদেশি মুদ্রার বিনিময়ে সৌদি আরবে গিয়ে সংগ্রহ করতে হ’ত। এর ফলে, এই সমস্ত সামগ্রীর দাম দ্বিগুণ বা তিনগুণ বেড়ে যেত। এবার থেকে এই সমস্ত সামগ্রী দেশ থেকে সংগ্রহ করার ফলে হজ তীর্থযাত্রীদের কয়েক কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। উল্লেখ করা যেতে পারে, ভারত থেকে প্রতি বছর প্রায় ২ লক্ষ তীর্থ যাত্রী হজে যান। 

শ্রী নাকভি জানান, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে যাঁরা কোভিড টিকার দুটি ডোজ পেয়েছেন, তার ভিত্তিতে তীর্থযাত্রীদের হজে যাওয়ার বিষয়টি নির্ধারিত হবে। একই সঙ্গে, ভারত ও সৌদি আরব সরকার যে সমস্ত নীতি-নির্দেশিকা ও শর্তাবলী চূড়ান্ত করবে, তা হজ যাত্রায় মেনে চলতে হবে। তিনি জানান, মহামারীজনিত যাবতীয় চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় রেখে এবারের সমগ্র হজ যাত্রার পন্থা-পদ্ধতি চূড়ান্ত হয়েছে। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক পন্থা-পদ্ধতি চূড়ান্ত করার আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রক, বিদেশ মন্ত্রক, অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক, ভারতীয় হজ কমিটি, সৌদি আরবে ভারতের দূতাবাস এবং জেড্ডায় ভারতীয় বাণিজ্যিক দূতাবাসের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছে। 

২০২২ সালের হজে রওনা হওয়ার জন্য যাত্রা শুরুর শহর ২১ থেকে কমিয়ে ১০ করা হয়েছে। দেশের ১০টি শহর থেকে এবার হজে রওনা হওয়া যাবে। এই শহরগুলির মধ্যে কলকাতা সহ দিল্লি, মুম্বাই, আমেদাবাদ, হায়দরাবাদ, শ্রীনগর, গুয়াহাটি ও বেঙ্গালুরু রয়েছে। কলকাতা থেকে পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা, ত্রিপুরা, ঝাড়খন্ড ও বিহারের তীর্থযাত্রীরা হজে যেতে পারবেন। এবার ৩ হাজারেরও বেশি মহিলা পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই হজ যাত্রায় আবেদন জানিয়েছেন। পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই যাঁরা যাওয়ায় আবেদন করবেন, তাঁদের হজ তীর্থযাত্রী নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে ছাড় দেওয়া হবে। 

মুম্বাইয়ে এই অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের উপ-কনসাল জেনারেল মহম্মদ আব্দুল করিম আল-এনাজি, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের যুগ্মসচিব শ্রীমতী নিজার ফতিমা, ভারতীয় হজ কমিটির কার্যনির্বাহী আধিকারিক মহম্মদ ইয়াকুব শেখ সহ মন্ত্রকের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। 

 

CG/BD/SB



(Release ID: 1768564) Visitor Counter : 179