ক্রেতা, খাদ্যএবংগণবন্টনমন্ত্রক

২০২৫-এর মধ্যে ইথানল শোধন ক্ষমতা বাড়িয়ে দ্বিগুণ এবং ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রণের লক্ষ্য স্থির হয়েছে - খাদ্য ও গণবন্টন দপ্তরের সচিব

Posted On: 15 JUN 2021 3:18PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি,  ১৫ জুন, ২০২১

 

কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবন্টন দপ্তরের সচিব শ্রী সুধাংশু পান্ডে আজ, পেট্রলের সঙ্গে ইথানল মিশ্রণ কর্মসূচি সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। উল্লেখ করা যেতে পারে, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ২০২৫ পর্যন্ত ইথানল মিশ্রণ কর্মসূচির রূপরেখা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে ২০২৩-এর এপ্রিল থেকে ই-২০ জ্বালানীর যোগান সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ভারতীয় মানক ব্যুরো (বিআইএস) ইতিমধ্যেই ই-১২ এবং ই-১৫ মিশ্রণ ব্যবহারের বিষয়ে গত ২ জুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

দপ্তরের সচিব সাংবাদিকদের জানান, চাহিদা ও সরবরাহের ঘাটতি মেটাতে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে ২০২৫-এর মধ্যে দেশে ইথানল শোধন ক্ষমতা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার এবং ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রণের লক্ষ্য স্থির হয়েছে। শ্রী পান্ডে আরও বলেন, ইথানল মিশ্রণ কর্মসূচির ফলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। জ্বালানী হিসেবে ইথানলের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে দূষণ সমস্যা কমবে এবং পরিবেশ বান্ধব জ্বালানী হিসেবে পরিবেশের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। উল্লেখ করা যেতে পারে, ই-২০ শ্রেণীর জ্বালানী ব্যবহার করে কার্বন মনোক্সাইড নির্গমনের পরিমাণ ৩০-৫০ শতাংশ এবং হাইড্রোকার্বন নির্গমণের পরিমাণ ২০ শতাংশ হ্রাস করা সম্ভব হবে।

পেট্রোলে ইথানল মিশ্রণের পরিমাণ বাড়িয়ে ধার্য লক্ষ্য পূরণে সরকার চিনিকল এবং ইথানল উৎপাদন ইউনিটগুলির শোধন ক্ষমতা আরও বাড়াতে উৎসাহিত করছে। এজন্য ব্যাঙ্ক থেকে ৬ শতাংশ পর্যন্ত সুদ ছাড়ের সুবিধা দিয়ে ঋণ নিতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। 

শ্রী পান্ডে আরও জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন সংস্থাগুলিতে জ্বালানী হিসেবে ইথানলের উৎপাদন এবং যোগানের পরিমাণ ২০১৩-১৪ থেকে ২০১৮-১৯ পর্যন্ত সময়ে ৫ গুণ বেড়েছে। চলতি ইথানল সরবরাহ বর্ষ ২০২০-২১-এ তেল বিপণন সংস্থাগুলিকে ৩০০ কোটি লিটারের বেশি ইথানল সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। এমনকি ২০২২-এর মধ্যে ইথানল মিশ্রণের পরিমাণ ১০ শতাংশ করার লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার সম্পর্কে শ্রী পান্ডে সাংবাদিকদের জানান, কোভিড-১৯ পূর্ববর্তী সময়ে দেশে হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনের বার্ষিক পরিমাণ ছিল প্রায় ১০ লক্ষ লিটার এবং হাসপাতালগুলিতে প্রধানত স্যানিটাইজারের ব্যবহার হত। কিন্তু, কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্যানিটাইজারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে গ্রাহক বিষয়ক, খাদ্য ও গণবন্টন দপ্তর আরও বেশি পরিমাণে স্যানিটাইজার উৎপাদনে শিল্প সংস্থাগুলিকে উৎসাহিত করতে উৎপাদক সংস্থা ও রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছে। তিনি আরও জানান, গত ৩১ মে পর্যন্ত দেশে প্রায় ৩ কোটি ৯০ লক্ষ লিটার হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদিত হয়েছে। দেশে স্যানিটাইজারের অতিরিক্ত পরিমাণে উৎপাদনের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে স্যানিটাইজার রপ্তানিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

 

CG/BD/AS/


(Release ID: 1727292) Visitor Counter : 227