বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক

গ্লোবাল বায়ো ইন্ডিয়া : আত্মনির্ভর ভারত সম্মেলন : ভারত ও বিশ্বের জন্য

Posted On: 02 MAR 2021 12:01PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০২ মার্চ ২০২১
 
বিশ্বের বৃহত্তম জৈব প্রযুক্তি সম্মেলন, গ্লোবাল বায়ো ইন্ডিয়া ২০২১ – এর উদ্বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ভূবিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধন। গতকাল এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি। এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন। তিন দিনের এই সম্মেলনে জৈব প্রযুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা চলছে। গ্লোবাল বায়ো ইন্ডিয়া সম্মেলনের প্রথম পর্বে ভারতের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রচারাভিযান কিভাবে ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’ – এ রূপান্তরিত করা যায় এবং দেশের আত্মনির্ভরতা কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় – তা নিয়ে আলোচনা চলে। এর পাশাপাশি, জাতীয় স্বার্থের দিকগুলিতেও আলোচনায় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। কোভিড মহামারী মোকাবিলা ক্ষেত্রে ভারতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে বিশ্বের এই সঙ্কটময় মুহূর্তকে সুযোগে রূপান্তরিত করে অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে উন্নতিসাধন সম্ভব হয়েছে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। সঙ্কটের মুহূর্তে ভারত প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে রেখে টিকা, ওষুধ, চিকিৎসা, পিপিই কিট তৈরি, ভেন্টিলেটর, থার্মাল স্ক্যানার, মাস্ক ইত্যাদি দেশেই তৈরি করেছে।
 
ইনভেস্ট ইন্ডিয়ার সিইও ডঃ দীপক বাগলা ভারত ও বিশ্বের জন্য আত্মনির্ভর ভারতের দৃষ্টিভঙ্গী ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ভারত পৃথিবীর অন্যতম উন্মুক্ত অর্থনীতির দেশ। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও এদেশের অর্থনীতির দ্রুত বিকাশ সম্ভব হয়েছে। নেদাল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতরা এই আলোচনায় অংশ নেন। এই সম্মেলনে কিভাবে ভারতের অর্থনীতিকে আত্মনির্ভর রূপে প্রতিষ্ঠা করা যায় এবং উদ্ভাবন ক্ষেত্রে কিভাবে বিকাশ সম্ভব হয়, তা নিয়েও আলোচনা চলে।
 
নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ডঃ বিনোদ পল বিজ্ঞানী মহলের ভুয়সী প্রশংসা করেন এবং তিনি বলেন, মহামারী পরিস্থিতিতে বিজ্ঞানীরা যেভাবে কাজ চালিয়ে গেছেন, তা অনস্বীকার্য। কোভিড-১৯ টিকা তৈরি ভারতের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বের দরবারে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে। দ্রুত টিকাকরণের বিষয়ে যথাযথ প্রয়াস চালানো হচ্ছে বলেও তিনি জানান। নীতি আয়োগের আরেক সদস্য ডঃ ভি কে সারস্বত বলেন, পৃথিবীর প্রাচীনতম পেশা হিসাবে পরিচিত জৈব প্রযুক্তি। কিন্তু আজ বিভিন্ন উপায়ে প্রযুক্তিগতভাবে জৈব প্রযুক্তির চাহিদা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। 
 
হু’র মুখ্য বিজ্ঞানী ডঃ সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, কোভিড-১৯ এর সঙ্কটময় পরিস্থিতির সাক্ষী রয়েছে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশ। এই ভাইরাসের বিভিন্ন ধরণ নানা সমস্যার সৃষ্টি করছে। তবে, ভারত এই সংক্রমণ মোকাবিলায় যেভাবে টিকা তৈরি করেছে, তা প্রশংসার দাবি রাখে। তিন দিনের এই আলোচনায় উন্নতমানের টিকা উৎপাদন, টিকাকরণ প্রক্রিয়াকে জোরদার করে তোলার মতো বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা চলছে। 
 
***
 
 
 
 
CG/SS/SB


(Release ID: 1701942) Visitor Counter : 190