সড়কপরিবহণওমহাসড়কমন্ত্রক
প্রধানমন্ত্রী আসামে ২টি সেতুর শিলান্যাস করেছেন
গড়করি বলেছেন, এই প্রকল্পগুলি স্থানীয় মানুষের এক দশক পুরনো দাবি পূরণ করবে
Posted On:
18 FEB 2021 3:18PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লী, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ব্রহ্মপুত্র নদে দুটি বৃহদায়তন সেতু নির্মাণ প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন। এই সেতু দুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে তা আসাম ও মেঘালয়ের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করবে।
সেতু দুটির শিলান্যাস উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রী শ্রী নীতিন গড়করি বলেছেন, আসামে সড়ক ও পরিকাঠামো সম্পর্কিত ১ লক্ষ কোটি টাকার একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গত ৬ বছরে আসামে ৮ হাজার কোটি টাকা খরচে ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। অন্যদিকে আরও ২০ হাজার কোটি টাকার সড়ক নির্মাণের কাজ ২০২২এর মধ্যেই শেষ হবে।
শ্রী গড়করি বলেন, চলতি বছরের মধ্যেই ৩০ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে আরও একগুচ্ছ প্রকল্পের বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি হয়ে যাবে।
শ্রী গড়করি বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর আসামের ধুবড়ি এবং মেঘালয়ের ফুলবাড়ির মধ্যে সেতু নির্মাণের দাবি এক দশকের বেশি পুরনো। এই সেতুর ফলে ধুবড়ি ও ফুলবাড়ির মধ্যে দূরত্ব ২০৩ কিলোমিটার হ্রাস পাবে। এমনকি, এই সেতুর মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেও আসাম ও মেঘালয়ের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। পশ্চিমবঙ্গের শ্রীরামপুর থেকে আসামের ধুবড়ি পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণের কাজ আগামী অক্টোবর মাসে শুরু হবে বলেও মন্ত্রী জানান। এই সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ হলে ভুটান ও বাংলাদেশ যাতায়াতের ক্ষেত্রে দূরত্ব ও সময় উভয়ই সাশ্রয় হবে।
ব্রহ্মপুত্র নদে গড়ে ওঠা মাজুলি দ্বীপের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের জন্য মাজুলি ও জোড়হাটের মধ্যে ৬.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ২ লেন বিশিষ্ট সংযোগকারী সড়কটি জাতীয় মহাসড়ক ৭১৫কে -এর সঙ্গে যুক্ত হবে। এর নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ৯২৫ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা। মাজুলি ও জোড়হাটের মধ্যে সড়কের পাশাপাশি সেতু নির্মিত হলে মাজুলির সঙ্গে অবশিষ্ট আসামের সব মরশুমে উপযোগী যোগাযোগের মাধ্যম গড়ে উঠবে। এরফলে সেখানকার মানুষের দৈনন্দিন কর্মকান্ড আরও প্রসারিত হবে।
একইভাবে ব্রহ্মপুত্র নদের দক্ষিণ পাড়ে অবস্থিত মেঘালয়ের ফুলবাড়ি এবং উত্তর পাড়ে অবস্থিত আসামের ধুবড়ির মধ্যে সেতু নির্মিত হলে তা এই দুই শহরের মধ্যে যাতায়াতের দূরত্ব হ্রাস করবে এবং দৈনন্দিন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের আরও প্রসার ঘটাবে। ধুবড়ি ও ফুলবাড়ির মধ্যে চার লেন বিশিষ্ট এই সেতুটি নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা। এমনকি, এই দুই রাজ্যের দুই শহরের মধ্যে সেতু সংযোগ স্থাপিত হলে দূরত্ব ২০৫ কিলোমিটার থেকে কমে হবে কেবল ১৯ কিলোমিটার এবং যাত্রার সময় ৬ ঘন্টা থেকে কমে দাঁড়াবে ২০ মিনিট।
***
CG/BD/NS
(Release ID: 1699107)
Visitor Counter : 270