প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

গবেষণার নানাবিধ ব্যবহার এবং উদ্ভাবনের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

Posted On: 04 JAN 2021 2:37PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ০৪ জানুয়ারি, ২০২১
 
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গবেষণাকে মানবাত্মার মতো চিরন্তন কর্মপ্রয়াস  বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, সরকার গবেষণার নানাবিধ ব্যবহার এবং উদ্ভাবনকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। জাতীয় পরিমাপ বিজ্ঞান সম্মেলন বা ন্যাশনাল মেট্রোলজি কনক্লেভ ২০২১-এ ভাষণে একথা জানান তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় আনবিক টাইমস্কেল বা ন্যাশনাল অ্যাটমিক টাইমস্কেল এবং ভারতীয় নির্দেশক দ্রব্য প্রণালী জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতীয় পরিবেশগত গুণমান পরীক্ষাগার বা ন্যাশনাল ইনভারনমেন্টাল স্ট্যান্ডার্ডস ল্যাবরেটরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
 
প্রধানমন্ত্রী তথ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণার গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, যে কোনো প্রগতিশীল সমাজে গবেষণা কেবলমাত্র একটি স্বাভাবিক রীতি  নয়, একটি স্বাভাবিক  প্রক্রিয়াও বটে। তিনি বলেন, গবেষণার প্রভাব বাণিজ্যিক ক্ষেত্র বা সমাজের ওপরে পড়তে পারে এবং গবেষণা আমাদের জ্ঞান ও বোঝার ক্ষমতাকে প্রসারিত করে। তবে, ভবিষ্যতের দিক নির্দেশ এবং গবেষণার ব্যবহার সম্পর্কে অনুমান করা সর্বদা সম্ভব নয়। কিন্তু একটা জিনিস নিশ্চিত যে, গবেষণা জ্ঞানের এক নতুন অধ্যায়ের দিকে পরিচালিত হয়  এবং এটি কখনই ব্যর্থ হয় না। প্রধানমন্ত্রী জেনেটিস্কের জনক মেন্ডেল এবং নিকোলাস টেসলার উদাহরণ উল্লেখ করে জানান, এঁদের কর্মকাণ্ডগুলি অনেক পরে স্বীকৃতি লাভ করেছিল। 
 
অনেক সময় গবেষণা তাৎক্ষণিক লক্ষ্যপূরণ নাও করতে পারে। তবে, একই গবেষণা অন্য কয়েকটি ক্ষেত্রে পথ দেখাতে পারে। প্রধানমন্ত্রী জগদীশচন্দ্র বসুর উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, যাঁর বেতার তরঙ্গ বা মাইক্রোওয়েভ  তত্ত্বটি সে সময়ে বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক  হয়নি, কিন্তু আজ সমগ্র রেডিও যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা সেই ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছে। তিনি বিশ্ব যুদ্ধের সময় পরিচালিত গবেষণার উদাহরণও তুলে ধরেন এবং বলেন,  যা পরবর্তীকালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়েছিল। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, যুদ্ধের জন্য ড্রোন  প্রস্তুত করা হয়েছিল, আজ তার সাহায্যে ফটো শ্যুট করা হচ্ছে এবং তা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই কারণে আমাদের বিজ্ঞানীদের, বিশেষত তরুণ বিজ্ঞানীদের গবেষণার অন্তঃসারের সম্ভাবনা নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে যাওয়া উচিত। তাঁদের নিজস্ব ক্ষেত্রের বাইরে বেড়িয়ে এসে গবেষণা ব্যবহারের সম্ভাবনাকে সর্বদা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত । 
 
পরিবহণ, যোগাযোগ, শিল্প বা দৈনন্দিন জীবনে যাই হোক না কেন আজকের সমস্ত কিছুই পরিচালিত হচ্ছে বিদ্যুতের সাহায্যে, সেই উদাহরণের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিভাবে কোনো ছোট গবেষণাও বিশ্বের চেহারা বদলে দিতে পারে। একইভাবে সেমি কন্ডাকটরের মতো আবিষ্কার আমাদের জীবনে ডিজিটাল বিপ্লব নিয়ে এসেছে, সে কথাও জানান তিনি। এই ধরণের অনেক সম্ভাবনা আমাদের তরুণ গবেষকদের সামনে রয়েছে, যাঁরা তাঁদের গবেষণা এবং আবিষ্কারগুলি দিয়ে একেবারে ভিন্ন ভবিষ্যতের পথ তৈরি করতে পারেন বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান।
 
শ্রী মোদী  ভবিষ্যতের জন্য  ইকো-সিস্টেম বা ইকো-ব্যবস্থাপনা তৈরির প্রচেষ্টার কথাও উল্লেখ করেন। ভারত বিশ্ব উদ্ভাবন ক্রমতালিকায় প্রথম ৫০টি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। প্রাথমিক গবেষণার ওপর বিশেষ জোর দিয়ে ভারত পর্যালোচিত বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকাশনা ক্ষেত্রেও তৃতীয় স্থান দখল করেছে। শিল্প ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করা হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় সংস্থা ভারতে তাঁদের গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে। সম্প্রতি এই ধরণের সুবিধা কেন্দ্রের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। 
 
প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী আরও বলেন, ভারতীয় যুবদের কাছে সীমাহীন গবেষণা এবং উদ্ভাবনের সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং উদ্ভাবনের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ উদ্ভাবনের মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ । আমাদের যুবদের বুঝতে হবে কিভাবে মেধাসত্ত্ব রক্ষা করা যায়। আমাদের মনে রাখতে হবে যে নিজেদের পেটেন্ট যত বেশি থাকবে ততই আমাদের লাভ হবে। আমাদের গবষণা ক্ষেত্রগুলিকে শক্তিশালী এবং সমৃদ্ধশালী করে তুলতে পারলে আমাদের পরিচয় আরও দৃঢ় হয়ে উঠবে। এর ফলে ব্র্যান্ড ইন্ডিয়া আরও শক্তিশালী হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।
 
বিজ্ঞানীদের কর্মযোগী বলে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁরা পরীক্ষাগারে যেভাবে মহান জ্ঞানী ব্যক্তির মতো কাজ করে চলেছেন তা প্রশংসনীয় এবং তাঁরা ১৩০ কোটি ভারতবাসীর আশা-আকাঙ্খা পূরণ করবেন।
 
***
 
 
 
CG/SS


(Release ID: 1688277) Visitor Counter : 270