উপ-রাষ্ট্রপতিরসচিবালয়

উপরাষ্ট্রপতি বলেছেন বিধানসভায় জন প্রতিনিধিরা পূর্ণ সময়ের জন্য কাজ করে থাকেন

Posted On: 09 JAN 2021 6:56PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ০৯ জানুয়ারি, ২০২১
 
বিধানসভার গুরুত্বের কথা তুলে ধরে উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান শ্রী এম. ভেঙ্কাইয়া নাইডু বলেছেন, বিধায়ক এবং আইন প্রণয়নকারী সংস্থা সংসদীয় গণতন্ত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে, যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা এবং বিশ্বাস বজায় থাকে। বিচারবিভাগীয় এবং প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা ক্ষেত্রে বিধানসভা সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
 
পানাজিতে আজ ‘বিধায়ক দিবস’ উপলক্ষে গোয়া বিধানসভার বর্তমান ও প্রাক্তন বিধায়কদের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শ্রী নাইডু জনপ্রতিনিধিদের আইনশৃঙ্খলা মেনে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিধায়কদের সভাকক্ষের ভেতরে ও বাইরে আদর্শ আচরণ বিধি মেনে চলা উচিত এবং কার্যকরি ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন। তিনি বিধায়কদের ৬টি বিশেষ আদর্শ মেনে চলার পরামর্শ দেন। 
 
উপরাষ্ট্রপতি বলেন, বিধানসভা পরিচালন এবং আইন প্রণয়মকারী সংস্থাগুলির এমন কাজ করা উচিত যাতে গণতন্ত্রের ভিত আরও বেশি শক্তিশালী হয়। তিনি বলেন, বিধায়কদের কার্যকরি ভূমিকা সংসদীয় প্রতিষ্ঠানে প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস জাগিয়ে তোলে। তিনি আরও জানান, দুর্ভাগ্যক্রমে বেশ কিছু বিধায়ককে বিধানসভার ভেতরে এমন আচরণ করতে দেখা যায় তাতে জনপ্রতিনিধিদের  সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক নেতিবাচক ধারণা গড়ে ওঠে। এই ধরণের সমস্যা দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। 
 
বিধায়কদের ব্যক্তিগত স্বার্থ ও ক্ষমতার উর্ধে উঠে সাধারণ মানুষের মঙ্গল ও কল্যাণের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান শ্রী নাইডু। তিনি বলেন, জনগণের প্রতিনিধি বিধায়কদের কাজ কখনোই একটি সীমার মধ্যে আবদ্ধ নয় এবং আংশিক সময়ের জন্যও নয়। যাঁদের মানুষের জন্য সময় দেওয়ার নেই তাঁদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিধানসভায় না যাওয়াই ভালো বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। 
 
আইন প্রণেতাদের ইতিবাচক ভাবধারা থাকা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করে শ্রী নাইডু বলেন, জনপ্রতিনিধিদের অবশ্যই সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্খা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। এর জন্য সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ আরও দৃঢ় করা দরকার রয়েছে। এর পাশাপাশি বিধানসভার ভেরতে ও বাইরে জনপ্রতিনিধিদের সঠিক আচরণ অব্যাহত রাখা, নৈতিক অখণ্ডতার ওপর ভিত্তি করে চরিত্র গঠন, সাধারণ মানুষ এবং অন্যান্য সকল পক্ষের সঙ্গে কার্যকরি যোগাযোগ বজায় রাখা প্রয়োজন বলে তিনি জানান। 
 
উপরাষ্ট্রপতি বলেন, বিধায়কদের অবশ্যই বিধানসভার আলোচনা, বিতর্ক এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নিতে হবে। তবে কোনো সিদ্ধান্ত পছন্দ নাও হতে পারে, তাই বলে সেক্ষেত্রে কখনই বাধা দেওয়া উচিত নয়। বিধানসভার কাজ সব সময় এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন বলেও তিনি মন্তব্য করেন। শ্রী নাইডু বলেন, যে কোনো বিধায়কেরই সরকারকে সমর্থন বা বিরোধিতা করার সুযোগ রয়েছে। বিধানসভায় বিরোধীদের সব কিছু অবহিত করা সরকারের কাজ। সেক্ষেত্রে সব কাজেই বরোধিতা করলে সরকার এবং দেশের ক্ষতি। 
 
উপরাষ্ট্রপতি গোয়া সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্য এবং উদীয়মান রাজ্য হিসেবে দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান করে নেওয়ার জন্য ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থা থেকে মুক্ত হওয়ার পর গোয়া উল্লেখযোগ্য সাফল্যলাভ করেছে। এখানে মাথাপিছু আয় এবং সাধারণ মানুষের উন্নতি সূচকে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। শ্রী নাইডু গোয়ার সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরেন। এই রাজ্য শত বাঁধা পেরিয়ে সুস্থায়ী অর্থনীতির পথে হেটে চলেছে। তথ্য প্রযুক্তি, জৈব প্রযুক্তি, স্টার্ট আপ উদ্যোগ ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ সুবিধা তৈরি হয়েছে বলেও উপরাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন। 
 
এদিন অনুষ্ঠানে গোয়ার রাজ্যপাল শ্রী ভগৎ সিং কোশিয়ারি, মুখ্যমন্ত্রী ডঃ প্রমোদ সাওয়ান্ত, গোয়া বিধানসভার অধ্যক্ষ শ্রী রাজেশ পাটনেকর, উপ অধ্যক্ষ সহ বিধানসভার একাধিক বিধায়ক ও আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন।
 
 
***
 
 
 
 
CG/SS/SKD

(Release ID: 1687402) Visitor Counter : 119