বস্ত্রমন্ত্রক

বস্ত্র মন্ত্রকের ২০২০-র বার্ষিক প্রতিবেদন

Posted On: 30 DEC 2020 6:08PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০
 
ভারতে বস্ত্রশিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে। এই শিল্প সারা বিশ্বের মধ্যে রপ্তানির ক্ষেত্রে ষষ্ঠ স্থান দখল করে রয়েছে। কৃষিক্ষেত্রের পর বস্ত্র শিল্প কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সারাদেশে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে রয়েছে। এই মন্ত্রকের ২০২০-র বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
 
 
হস্তচালিত তাঁত ক্ষেত্র-
 
কেন্দ্রীয় সরকার তন্তুজীবী, কারিগর এবং উৎপাদনকারী সংস্থার জন্য বহুবিধ ও প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ পর্যন্ত ১.৭৫ লক্ষ তন্তুজীবী ও কারিগর সংশ্লিষ্ট পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। হস্তচালিত তাঁত বস্ত্রের বহুল প্রচারের জন্য স্থানীয়ভাবে তৈরী চারটি তাঁত বস্ত্র জাতীয় তাঁতবস্ত্র দিবসে উদ্বোধন করা হয়েছে।
 
কোভিড জনিত অতিমারি পরিস্থিতির সামাল দিতে গত ৭ থেকে ১১ ই আগস্ট সারা দেশজুড়ে হস্তচালিত তাঁত বস্ত্র মেলা করা হয়েছে।
 
মন্ত্রকে পক্ষ থেকে দিল্লি বেনারস আমেদাবাদ গুয়াহাটি ভুবনেশ্বর মুম্বাই এবং জয়পুরে নকশা তৈরির জন্য ডিজাইন রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বস্ত্র মন্ত্র দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা কারুশিল্পের গ্রামগুলিকে নিয়ে পর্যটন কেন্দ্র বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।
 
 
হস্তশিল্প ক্ষেত্র-
 
দেশে হস্ত শিল্পের জন্য সুবিদিত ১২টি গ্রামকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে কারুশিল্পের পাশাপাশি হস্তচালিত তাঁত শিল্প রয়েছে।এই গ্রামগুলিকে কেন্দ্র করে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
 
দিওয়ালি সহ বিভিন্ন উৎসবের মরসুমেতাঁত বস্ত্র ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সামাজিক মাধ্যমগুলিতে লাগাতার প্রচার চালানো হয়েছে।
 
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের লক্ষ্যে ভারতীয় খেলনার প্রসারের ওপর গুরুত্ব দেন। কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে দেশে খেলনা শিল্পের উন্নয়নের জন্য হাতের কাজের উপর তৈরি ১৩টি ক্লাস্টার নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়ার পাশাপাশি আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ০৩ মার্চ পর্যন্ত জাতীয় খেলনা উৎসব উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
 
 
রেশম শিল্প-
 
দেশের রেশম শিল্পের উন্নয়নের জন্য একটি প্যাকেজ গঠন করা হয়েছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যে ৫৮ টি গবেষণামূলক প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া ৫১ টি প্রযুক্তি প্যাকেজের মাধ্যমে ১৩৪৯৮ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ভারতের রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটস অফ সেন্ট্রাল সিল্ক বোর্ড এই কাজ করেছে।
 
এর পাশাপাশি দেশে রেশম উৎপাদনের পরিমাণও ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশজুড়ে রেশম মান্ডি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
 
 
চট-
 
খাদ্যশস্য বহন করার জন্য বিভিন্ন রাজ্য সরকার এবং ভারতের খাদ্য নিগমকে চটের তৈরি ব্যাগ সরবরাহ করা হচ্ছে। ২০২০- র জানুয়ারি থেকে ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে মোট ২৮.৮৮ লক্ষ্য বেল চটের তৈরি ব্যাগের বরাত পাওয়া গেছে। যার মূল্য ৮৩০৩ কোটি টাকা।
 
তুলো-
 
২০২০- সালে ভারত সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ১৫১ লক্ষ বেল তুলো সংগ্রহ করেছে। যা বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। সিসিআই ৩০ লক্ষ তুলো চাষির কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য তুলো কিনে ৩৯৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।
 
উল-
কর্নাটকের রানেবেনুরে একটি উল প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
 
এছাড়াও মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সুসংগত টেক্সটাইল পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
 
 
***
 
 
 
 
CG/SB


(Release ID: 1686563) Visitor Counter : 212