স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ মণিপুরে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা করেছেন


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সুদক্ষ নেতৃত্বে মণিপুরের উন্নয়নের যাত্রাপথে আজকের দিনটি এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক : শ্রী শাহ

Posted On: 27 DEC 2020 6:07PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০
 
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ আজ মণিপুরে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। শ্রী শাহ ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে ইম্ফলে একটি ই-কার্যালয় এবং থৌবল মাল্টি-পারপাস প্রোজেক্ট (থৌবল বাঁধ)-এর উদ্বোধন করেন। এছাড়াও তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন যার মধ্যে রয়েছে, চূড়াচাঁদপুর মেডিকেল কলেজ, মন্ত্রীপুখরিতে আইটি-এসইজেড বা তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, নতুন দিল্লির দ্বারকায় মণিপুর ভবন এবং ইম্ফলে ইন্টিগ্রেটেড কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার। প্রকল্পগুলির উদ্বোধন ও শিলান্যাস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় উতর-পূর্বাঞ্চল মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী এন বীরেন সিং, রাজ্যের বিধানসভার অধ্যক্ষ ছাড়াও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। 
 
এই উপলক্ষে শ্রী শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সুদক্ষ নেতৃত্বে মণিপুরের উন্নয়নমূলক যাত্রাপথে আজকের দিনটি এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আজ একদিনেই রাজ্যে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা হয়েছে। এর মধ্যে চূড়াচাঁদপুরে মেডিকেল, মন্ত্রীপুখরিতে আইআইআইটি এবং আইটি-এসইজেড। এই প্রতিষ্ঠানটি সমগ্র উত্তর-পূর্বের একটি মাপকাঠি হিসেবে কাজ করবে। শ্রী শাহ বলেন, ইম্ফলে গড়ে ওঠা রাজ্য পুলিশের সদর দপ্তর এবং স্মার্ট সিটি ইন্টিগ্রেটেড সেন্টারটি প্রশাসনিক ব্যবস্থার আধুনিকীকরণে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। আজ শিলান্যাস হওয়া আইআইআইটি এবং আইটি-এসইজেড প্রকল্প মণিপুরের যুব সম্প্রদায়কে বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত হতে সাহায্য করবে। আইটি-এসইজেড প্রকল্প গড়ে ওঠার পর রাজ্যের জিডিপি বার্ষিক বেড়ে দাঁড়াবে ৪,৬০০ কোটি টাকা এবং কর্মসংস্থান হবে ৪৪ হাজার ব্যক্তির। মেডিকেল কলেজ স্থাপনের ফলে রাজ্যের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে চিকিৎসকের সংখ্যা আরও বাড়বে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও আরও মজবুত হবে। 
 
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদীর নেতৃত্বে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের পথে রাজ্যকে চালিত করেছেন। বিগত তিন বছরে রাজ্যে কোনও হরতাল বা বিক্ষোভ হয়নি। মোদীজি সমগ্র উত্তর-পূর্বের উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই, এই অঞ্চলের মানুষের আস্থার সঙ্গে কোনও আপোস করা হবে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বীরেন সিং-এর ভূমিকার কথা উল্লেখ করে শ্রী শাহ বলেন, রাজ্যে গত তিন বছরে একদিনের জন্যও প্রশাসনিক কাজকর্ম বন্ধ হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের পথে গত তিন বছরে রাজ্যকে এক নতুন পরিচিতি দিয়েছেন। 
 
সমগ্র উত্তর-পূর্ব প্রধানমন্ত্রীর হৃদয়ের অত্যন্ত নিকটে থাকে বলে মন্তব্য করে শ্রী শাহ বলেন,  ভারতের পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চল দুটি বাহু। পশ্চিম ভারত অনেক আগেই উন্নয়নের সওয়ার হয়েছে। কিন্তু পূর্ব ভারতের উন্নয়ন ছাড়া ভারতের সার্বিক উন্নতি সম্ভব নয়। ২০১৪-র পর সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদীর নেতৃত্বে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। আগে সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং হিংসাত্মক ঘটনার জন্য পরিচিত ছিল। কিন্তু, বিগত সাড়ে ছয় বছরে একের পর এক সংগঠন অস্ত্র পরিত্যাগ করে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে এসেছে। শ্রী শাহ আশা প্রকাশ করেন, বাকি বিক্ষুব্ধ সংগঠনগুলিও মোদীজি নেতৃত্বে আস্থা রেখে শীঘ্রই অস্ত্র সমর্পণ করে মূলস্রোতে যুক্ত হবে। 
 
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরও বলেন, সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারত এর আগে কখনও এতটা অগ্রাধিকার পায়নি। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী গত সাড়ে ছয় বছরে ৪০ বারের বেশি উত্তর-পূর্ব সফরে এসেছেন এবং সমস্ত রাজ্যে সফর করেছেন। এথেকেই প্রমাণিত হয় মোদীজি উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে কতখানি অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। মোদীজি রাজ্যের প্রকৃত বাসিন্দাদের সুবিচার পৌঁছে দিতে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা ইনারলাইন পারমিট কার্যকর করতে অনুমতি দেন, যার ফলে রাজ্যের প্রকৃত বাসিন্দারা এখন কোনও হয়রানি ছাড়াই নিজ ভূমিতে ফিরতে পারছেন। 
 
ছৌবল মাল্টি-পারপাস প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে শ্রী শাহ বলেন, ২০০৪ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলজির সময় এই প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল। কিন্তু, ২০১৪ পর্যন্ত প্রকল্পটির কোনও অগ্রগতিই হয়নি। সমগ্র বিষয়টি কেবল কাগজে-কলমেই থেকে গেছে। ২০১৬-তে মোদীজি প্রকল্পটি পুনরায় শুরু করেন। আজ এই প্রকল্পটির রূপায়ণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার ফলে ৩৫ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে কৃষিসেচের সুবিধা পৌঁছে যাবে। শ্রী শাহ আরও জানান, আগের প্রকল্পগুলি শিলান্যাস হওয়ার পরেও পরিত্যক্ত হয়েছে। কিন্তু এখন এই প্রকল্পগুলি মোদীজির নেতৃত্বে পুনরায় শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যে একাধিক প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস করছে। 
 
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরও বলেন, আগে রাজ্যের কেবল ৬ শতাংশ মানুষ বিশুদ্ধ পানীয় জলের সুবিধা পেতেন। এখন জল জীবন মিশনের আওতায় গত তিন বছরে পাইপবাহিত জলের সুবিধা ৩৩ শতাংশ পরিবারে পৌঁছেছে। এমনকি, আন্তর্জাতিক পর্যটক আগমনের সংখ্যাতেও ২২২ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। পক্ষান্তরে রাজ্যের পর্যটন শিল্পই লাভবান হয়েছে। শ্রী শাহ বলেন, চতুর্দশ অর্থ কমিশনের তুলনায় পঞ্চদশ অর্থ কমিশন প্রস্তাব অনুযায়ী রাজ্যের বরাদ্দ ২৫১ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। সমগ্র উত্তর-পূর্বের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ৮৯,১৬৮ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লক্ষ ১৩ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা করেছে। রাজ্যে একটি ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়ে শ্রী শাহ বলেন, জাতীয় ফরেন্সিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শাখা রাজ্যে চালু করার প্রস্তাব করা হয়েছে, যাতে উত্তর-পূর্বের যুব সম্প্রদায়কে ফরেন্সিক সায়েন্সের প্রতি আরও বেশি আকৃষ্ট করা যায়। 
 
***
 
 
 
CG/BD/DM


(Release ID: 1684109) Visitor Counter : 211