কৃষিমন্ত্রক

প্রধানমন্ত্রী পিএম কিষাণ সম্মান নিধির আওতায় সুবিধাভোগীদের সপ্তম কিস্তির টাকা পাঠিয়েছেন

Posted On: 25 DEC 2020 6:13PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পিএম কিষাণ সম্মান নিধির সপ্তম কিস্তির অর্থ প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে অরুণাচলপ্রদেশ, ওড়িশা, হরিয়ানা, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশের কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। নতুন কৃষি আইন চালু হওয়ার পর কিভাবে তাঁরা উপকৃত হচ্ছেন, কৃষকরা সেই অভিজ্ঞতার কথা অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন।

এই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন মাত্র একটি বোতামের ক্লিকে দেশে ৯ কোটির বেশি কৃষক পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১৮ হাজার কোটি টাকা পাঠানো হল। এই প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ পাঠানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের ৭০ লক্ষের বেশি কৃষক এই সুবিধা পাচ্ছেন না। পশ্চিমবঙ্গে ২৩ লক্ষের বেশি কৃষক এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু রাজ্য সরকার দীর্ঘদিন ধরে তথ্য যাচাই করছেনা। তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের স্বার্থের কথা যে দলগুলি বলেনা তারাই দিল্লীতে এসে কৃষকদের নিয়ে কথা বলে। তিনি বলেছেন এই দলগুলি এখন এপিএমসি কৃষক বাজারের অনুপস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে অথচ এদের খেয়ালও থাকে না যে কেরালায় এপিএমসি-র কৃষক বাজার নেই এবং এইসব লোকেরা কেরালায় কোনও আন্দোলনও করেন না।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কৃষকদের কৃষি কাজের খরচ কমাতে সরকার উদ্যোগী হয়েছে। তিনি সয়েল হেল্থ কার্ড, নিমের আস্তরণ যুক্ত ইউরিয়া, সৌরশক্তি চালিত পাম্প বন্টন প্রকল্পের মতো কৃষকদের কল্যাণে নেওয়া কিছু উদ্যোগের কথা বলেছেন যেগুলি কৃষকদের কৃষিকাজের ব্যয় কমাতে সাহায্য করে। তিনি আরও বলেছেন সরকার কৃষকদের জন্য আরও ভালো শস্য বীমা নিশ্চিত করতে সবসময়ই চেষ্টা চালাচ্ছে। আজ দেশের কোটি কোটি কৃষক প্রধানমন্ত্রী শস্য বীমা প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের কৃষকরা যাতে ফসলের ভালো দাম পান সরকার সেটি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেছেন সরকার কৃষকদের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাবদ কৃষিকাজে ব্যয় হওয়া অর্থের দেড়গুন টাকা নির্ধারণ করেছে, যেটি আসলে স্বামীনাথন কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, সরকার আরও বেশি ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কৃষকরা যাতে তাঁদের ফসল ভালোভাবে বিক্রি করতে পারেন তার জন্য নতুন নতুন বাজার তৈরি করা হচ্ছে। অনলাইনের মাধ্যমে দেশে ১ হাজার কৃষি বাজারকে যুক্ত করা হয়েছে। এই বাজারগুলিতে ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা-বাণিজ্য হয়েছে। শ্রী মোদী বলেছেন, সরকার ক্ষুদ্র চাষিদের নিয়ে গোষ্ঠী তৈরি করছে যাতে এইসব চাষিরা একসঙ্গে তাঁদের এলাকায় কাজ করতে পারেন। আজ ১০ হাজারের বেশি কৃষি পণ্য উৎপাদক সংগঠন (ফার্মার্স প্রোডিউসার অর্গানাইজেশেন-এফপিও) তৈরি করা হচ্ছে, এই সব সংগঠনগুলি আর্থিক সাহায্য পাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কৃষকরা পাকা বাড়ি, শৌচাগার এবং নলবাহিত স্বচ্ছ পানীয় জল পাচ্ছেন। বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, গ্যাসের সংযোগের ফলে তাঁদের প্রচুর লাভ হচ্ছে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে তাঁদের ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে কৃষকরা চিন্তামুক্ত হচ্ছেন।

শ্রী মোদী বলেছেন, কৃষিক্ষেত্রে এইসব সংস্কারের ফলে কৃষকরা উপকৃত হচ্ছেন। কৃষি আইনগুলির কারণে তাঁরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল যাকে চাইবেন তার কাছেই বিক্রি করতে পারবেন। তাঁরা যেখানে ফসলের ভালো দাম পাবেন সেখানে তা বিক্রি করবেন। নতুন কৃষি আইনের ফলে কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত শস্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যেও বিক্রি করতে পারেন আবার বাজারে বিক্রি করতে পারেন, বিদেশে রপ্তানী করতে পারেন, অন্য রাজ্যে বিক্রি করতে পারেন, এফপিও-র মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন কিংবা বিস্কুট, চিপস, জ্যাম, অন্যান্য বিভিন্ন সামগ্রী উৎপাদক সংস্থার কাছে বিক্রি করতে পারেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অন্যান্য ক্ষেত্রগুলিতে বিনিয়োগ ও উদ্ভাবন বৃদ্ধি পেয়েছে, আর তার ফলে রোজগার বেড়েছে। এইসব ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড ইন্ডিয়াকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আর এখন সময় এসেছে সম-মানের কৃষি বাজার আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গড়ে তোলা।

দেশ জুড়ে সমস্ত কৃষক কৃষি সংস্কারের বিষয়ে সমর্থন জানানোয় প্রধানমন্ত্রী তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাঁদের আশাকে ধুলিস্মাৎ করা হবেনা বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন। শ্রী মোদী বলেছেন, সম্প্রতি আসাম, রাজস্থান, জম্মু-কাশ্মীরের মতো জায়গায় গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় পর্যায়ে যে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে, যেসব দলগুলি কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছে তাদের থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।

কৃষি মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেছেন, সুপ্রশাসন এবং কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কারের যে ভিত্তি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী স্থাপন করেছিলেন মোদী সরকার সেগুলিকেই বাস্তবায়িত করছে। ২০১৪ সাল থেকে বিভিন্ন সংস্কার এবং উদ্যোগ কৃষি ও গ্রামীণ ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে। শ্রী মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার কৃষি ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, শস্য সংগ্রহের পরিমাণ বৃদ্ধি করছে এবং ১০ হাজার কৃষি পণ্য উৎপাদক সংগঠন তৈরির প্রক্রিয়াও চলছে।

শ্রী তোমর জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বাকি সব রাজ্য পিএম কিষাণ সম্মান নিধির আওতাভুক্ত। কোভিড মহামারীর কারণে লকডাউনের সময়েও কৃষকরা তাঁদের অর্থ পেয়েছেন। তিনি বলেছেন পাঞ্জাবের কৃষকদের মধ্যে নতুন কৃষি আইনগুলির বিষয়ে কিছু সংশয় রয়েছে। সরকার সেগুলি দূর করতে ইচ্ছুক আর তাই তাঁদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানান হয়েছে।

***

 

CG/CB/NS


(Release ID: 1683726) Visitor Counter : 193