রেলমন্ত্রক
ভারতীয় রেলের জাতীয় রেল পরিকল্পনা খসড়া প্রকাশ
Posted On:
18 DEC 2020 4:27PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০
ভারতীয় রেল বিভিন্ন ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা ও অপ্রতুলতা দূর করতে এবং দেশের মালবাহী ট্রেন পরিষেবায় সার্বিক আধুনিকীকরণের জন্য জাতীয় রেল পরিকল্পনা খসড়া প্রকাশ করেছে।
ভারতীয় রেল ‘জাতীয় রেল পরিকল্পনা’ শীর্ষক দীর্ঘমেয়াদী এই কৌশলগত পরিকল্পনাটি তৈরি করেছে, যেখানে রেলের অংশিদারিত্ব বৃদ্ধির দিকগুলির পাশাপাশি পরিকাঠামোগত ক্ষমতা বৃদ্ধির পরিকল্পনাও করা হয়েছে। জাতীয় রেল পরিকল্পনা হলো ভবিষ্যতের সকল পরিকাঠামোগত, ব্যবসায়িক এবং রেলের আর্থিক পরিকল্পনার একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্ম। পরিকল্পনাটিকে বিভিন্ন মন্ত্রকের কাছে তাদের মতামত জানার জন্য পাঠানো হয়েছে । রেল ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত পরিকল্পনা তৈরি করার লক্ষ্য নিয়েছে ।
এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য হলো :
• ২০৩০ সালের মধ্যে চাহিদার তুলনায় ভারতীয় রেলকে আরও বেশি দক্ষ করে তোলা, যাতে এই বর্ধিত দক্ষতা ২০৫০ সাল পর্যন্ত প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করতে পারে। কার্বন নিঃসরণ কমানোর ক্ষেত্রে দেশের প্রতিশ্রুতি মতো ২০৩০ সালের মধ্যে পণ্য পরিবহণে রেলের অংশীদারিত্বকে ২৭ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৪৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
• মালবাহী এবং যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা ক্ষেত্রে প্রকৃত চাহিদা মূল্যায়ণ করার জন্য এক বছর ধরে ১০০ সদস্যের প্রতিনিধি দল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পর্যবেক্ষক চালায়।
• ২০৩০ সাল পর্যন্ত মাববাহী এবং ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা বছরে কত বাড়তে পারে ও ২০৫০ সাল পর্যন্ত প্রতি দশকের হিসেব অনুযায়ী এই সংখ্যা কত বাড়বে তার পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
• ২০৩০ সালের মধ্যে পণ্য পরিবহণে রেলের অংশিদারিত্ব ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করার জন্য পরিচালন ক্ষমতা এবং বাণিজ্যিক নীতিমূলক উদ্যোগের ভিত্তিতে কৌশল নির্ধারণ করা।
• পণ্য পরিবহণে সময় কমিয়ে আনার পাশাপাশি পণ্যবাহী ট্রেনের গতি বর্তমানে প্রতি ঘন্টায় ২২ কিলোমিটার থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ কিলোমিটারে উন্নীত করা।
• রেল পরিবহণের খরচ প্রায় ৩০ শতাংশের কাছাকাছি কমিয়ে নিয়ে আসা এবং গ্রাহকদের কাছে তার সুফল পৌঁছে দেওয়া।
• ভারতীয় রেলের যাত্রা পথের চাহিদা কোথায় কোথায় বাড়তে পারে সেটি চিহ্নিত করা এবং ভবিষ্যতে নেটওয়ার্কের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
• ভবিষ্যতে চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরিকাঠামোগত সমস্যাগুলি শনাক্ত করা।
• এই সমস্যাগুলিকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ট্র্যাক সিগন্যালিং এবং রোলিং স্টক ক্ষেত্রে যথাযথ প্রযুক্তির ব্যবহার।
জাতীয় রেল পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে ২০২৪ সালের মধ্যে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে যেমন ১০০ শতাংশ বিদ্যুতায়ন, যে সব রুটে ট্রেন চলাচল বেশী, সেখানে একাধিক ট্র্যাকিং-এর ব্যবস্থা, দিল্লি-হাওড়া এবং দিল্লি-মুম্বাই রুটে ট্রেনের গতি ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটারে উন্নীত করা, অন্যান্য সকল সোনালী চতুর্ভুজ – সোনালী তির্যক রুটে ট্রেনের গতিবেগ ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটারে বাড়ানো এবং সংশ্লিষ্ট রুটে সমস্ত লেভেল ক্রসিং তুলে দেওয়া।
• ২০২৪ সালের পরে ট্র্যাক এবং সিগন্যালিং ক্ষেত্রে নির্ধারিত প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের জন্য সময়সীমা স্থির করা হয়েছে।
• সময়সীমার মধ্যে পূর্ব উপকূল, পূর্ব-পশ্চিম এবং উত্তর-দক্ষিণ নামে তিনটি পণ্যবাহী করিডর জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করা হয়েছে। পিইটিএস সমীক্ষার কাজ চলছে।
• বেশ কয়েকটি নতুন উচ্চ গতির রেল করিডর চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দিল্লি-বারাণসীর উচ্চ গতির ট্রেনের জন্য সমীক্ষার কাজ শুরু করা হয়েছে।
• পণ্য পরিবহণের জন্য রোলিং স্টকের প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি পণ্যবাহী মাল সরবরাহে ওয়াগনের প্রয়োজনীয়তা মূ্ল্যায়ণ করা হয়েছে।
• ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ১০০ শতাংশ বিদ্যুতায়ণ (গ্রীণ এনার্জি) এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ট্রেনের চাহিদার হিসেব করে, যা ২০৫০ সাল পর্যন্ত চাহিদা পূর্ণ করবে, তার ভিত্তিতে লোকমোটিভ ট্রেনের প্রয়োজনীয়তা মূল্যায়ণ করা হয়েছে।
• প্রয়োজনীয় মূলধনে মোট বিনিয়োগের পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ণ করা হয়েছে।
• পিপিপি সহ আর্থিক মডেলে বিনিয়োগে নতুন ধারা চিহ্নিত হয়েছে।
• জাতীয় রেল পরিকল্পনা সফলভাবে রূপায়ণের জন্য রেল বিভিন্ন বেসরকারি ক্ষেত্র, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা, রাজ্য সরকার এবং বিভিন্ন সরঞ্জাম উৎপাদক সংস্থাকে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে।
• পরিচালন এবং রোলিং স্টকের মালিকানা, পণ্য পরিহণের উন্নতিসাধন, যাত্রীবাহী টার্মিনালের বিকাশ, ট্র্যাকের পরিকাঠামোগত উন্নতিসাধন ইত্যাদি ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলির অংশীদারীত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় রেল পরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে মূলধন বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে, যাতে রেল পরিচালন ক্ষেত্রে আরও বেশি দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং চাহিদার অনুপাতে দক্ষতা বৃদ্ধি সম্ভব হয়। ২০৩০ সালের পরে রেলের আয় থেকে উদ্বৃত্ত অর্থ ভবিষ্যতের মূলধন বিনিয়োগে সাহায্য করবে, যাতে রেল প্রকল্পগুলির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আর অতিরিক্ত তহবিল বরাদ্দ না করতে হয়।
***
CG/SS/SKD
(Release ID: 1681899)
Visitor Counter : 263