বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক
জল থেকে ফ্লুরাইড এবং লোহা দূর করে বিপূল পরিমাণে বিশুদ্ধ জল উৎপাদনের প্রযুক্তি নিয়ে এল, সিএসআইআর-সিএমইআরআই
Posted On:
09 OCT 2020 4:36PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লী, ৯ অক্টোবর, ২০২০
পানীয় জলে ফ্লুরাইড এবং লোহার পরিমাণ বৃদ্ধির সমস্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের শরীরে প্রচুর পরিমানে লোহা থাকে যেগুলি বিভিন্ন জৈব কাজে, বিশেষ করে অন্ত্রের কাজকর্মে সাহায্য করে। এছাড়াও শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে লোহার ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মানুসারে জলে ০.৩ পিপিএম-এর থেকে বেশি লোহা থাকলে আমাদের শরীরে যকৃৎ, হৃদপিন্ড ও স্নায়ুর নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
একইভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মানুসারে জলে ১.৫ পিপিএম-এর কম ফ্লুরাইড থাকার প্রয়োজন। ফ্লুরাইড মানুষের দাঁত এবং হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে। কিন্তু শরীরে বেশি পরিমাণে ফ্লুরাইড ঢুকলে দাঁত এবং হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়। ভারতে ৬-৭ কোটি মানুষ জলে বেশি ফ্লুরাইড থাকায় নানান সমস্যার সম্মুখীন হন। পানীয় জল দপ্তরের একটি প্রতিবেদন অনুসারে গ্রামাঞ্চলে ১০ হাজার ৫০০র বেশি জনপদে মাটির নীচের জলে মাত্রাতিরিক্ত ফ্লুরাইড এবং লোহা পাওয়া যাচ্ছে। তাই কম খরচে ফ্লুরাইড এবং লোহাকে জল থেকে সরানোর প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
সিএসআইআর-সিএমইআরআই প্রথমবারের মতো মাটির নিচের থেকে পাওয়া জল থেকে লোহা এবং ফ্লুরাইড অপসরণের একটি পদ্ধতি বার করেছে। পুরো প্রক্রিয়াটি স্বল্প মূল্যে করা সম্ভব এবং বিপুল পরিমাণে জল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মানুযায়ী অতিরিক্ত ফ্লুরাইড এবং লোহা এই পদ্ধতিতে সরানো যাবে।
এই পদ্ধতিতে ৩টি বিশেষ ধরণের প্লাস্টিকের চেম্বার থাকবে। প্রথম চেম্বারে জারণ প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত লোহাকে সরিয়ে ফেলা হবে। এরজন্য অ্যালুমিনা ও ফেরাইট যৌগের সাহায্য নেওয়া হবে। দ্বিতীয় চেম্বারে লোহা মুক্ত করার ব্যবস্থা থাকছে। এরজন্য নুড়ি ও নির্দিষ্ট আয়তনের বালি রাখা থাকবে। তৃতীয় চেম্বার থেকে ফ্লুরাইড মুক্ত করা হবে। একাজে জিঙ্ক যুক্ত সক্রিয় চারকোলের ব্যবহার করা হবে। পুরো প্রক্রিয়ায় প্রতি ঘন্টায় ১০-১২ হাজার লিটার বিশুদ্ধ জল পাওয়া যাবে। যার ফলে অর্থের সাশ্রয় হবে।
CG/CB /NS
(Release ID: 1663299)
Visitor Counter : 223