কৃষিমন্ত্রক
কেন্দ্রীয় কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর গোগামুখে ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইন্সটিটিউটের অসম ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করলেন
Posted On:
26 SEP 2020 12:08PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লী, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
কেন্দ্রীয় কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ, গ্রামোন্নয়ন, পঞ্চায়েতি রাজ এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর গতকাল অসমের গোগামুখে নতুন ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইন্সটিটিউটের অসম ক্যাম্পাসটি জাতির উদ্দেশে অর্পণ করলেন। অনুষ্ঠানে শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর ঘোষণা করেন যে আইএআইআই অসমের নামকরণ হবে পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের নামে। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাবনা মতো এখানে স্থাপিত এই প্রতিষ্ঠান অসম ছাড়াও অরুণাচলপ্রদেশ, মেঘালয়, মনিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যন্ড, ত্রিপুরা এবং সিকিমের কৃষি বিষয়ক শিক্ষা এবং গবেষণার উন্নয়নে গতি আনবে। ২০৫০এর মধ্যে জনসংখ্যা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। সরকার তাই এই লক্ষে কাজ করছে যাতে দেশের কৃষিক্ষেত্র এইসব সমস্যার মোকাবিলা করার মতো শক্তিশালী হয় এবং সবসময়ের জন্য যথেষ্ট খাদ্য মজুত থাকে।
উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন বীজ এবং বিভিন্ন ধরনের শস্যের মাধ্যমে দেশে সবুজ বিপ্লব ঘটানোর জন্য কৃষি বিজ্ঞানীদের ভূমিকার প্রশংসা করে শ্রী তোমর বলেন দেশ এখন শুধুই স্বনির্ভর নয়, খাদ্যশস্য উৎপাদনে প্রাচুর্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সরকার উন্নয়ন প্রক্রিয়ার ফাঁকগুলি ভরাট করার প্রয়াস নিয়েছে সেইজন্য ঝাড়খন্ড এবং আসামে এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইন্সটিটিউট স্থাপন করা হয়েছে। সিকিম এখন পুরোপুরি জৈব রাজ্য এবং অন্য রাজ্যগুলিও ওই লক্ষ্যে এগোচ্ছে। মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জলাভাবের চ্যালেঞ্জের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ধরণের শস্য চাষ জরুরি যাতে জল কম লাগে। তিনি জোর দেন কৃষকদের আয় এবং রপ্তানির সুবিধা বাড়াতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শস্যের গুরুত্বের ওপর।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল সেখানে আইএআরআই স্থাপনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং আশাপ্রকাশ করে বলেন এই প্রতিষ্ঠান তাঁর উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারবে। সংস্থাগত বৈচিত্র্যের মাধ্যমে ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক চাষিদের কৃষিজাত আয় বাড়ানোর জন্য অঞ্চলের স্থানীয় বাগিচা শিল্প নিয়ে গবেষণামূলক কাজের ওপর। তাঁর আশা, অসম আইসিএআর – আইএআরআই-এর সহায়তায় উত্তর পূর্বঞ্চলের রাজ্যগুলি আবার "ধানের পাত্র" হিসেবে পরিচিত হবে। কেন্দ্রীয় কৃষি প্রতিমন্ত্রী শ্রী কৈলাশ চৌধুরী আইসিএআর-এর মহানির্দেশক ডঃ ত্রিলোচন মহাপাত্র, জনপ্রতিনিধিরা, বিজ্ঞানীরা এবং সরকারি আধিকারিকরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ইন্সটিটিউটের প্রতিবেদন পেশ করা হয় এবং জোর দেওয়া হয় জুন থেকে সেপ্টেম্বরে জলের দক্ষ ব্যবহার এবং স্থানীয়ভাবে উৎপন্ন শস্যের জৈব চাষের ওপর।
প্রেক্ষাপট
বিজ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তি এবং গুণমান সম্পন্ন মানব সম্পদের ক্ষেত্রে উত্তর পূর্বের এই অঞ্চল দেশের অন্যান্য অংশের থেকে পিছিয়ে। কিন্তু দেশে দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লব ঘটাতে অসম সহ পূর্বের রাজ্যগুলির বিশেষ সম্ভাবনা আছে। সেইজন্য এই সময়ে দেশের উত্তর প্রান্তে আইএআরআই-এর সাফল্য ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তাঁর প্রথম বাজেট ভাষণে ঝাড়খন্ড এবং অসমে এই প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ঘোষণা করেন ২০১৪র ১০ জুলাই।
অসম সরকার ধেমাজি জেলায় গোগামুখ দিরপাই চাপোরিতে ৫৮৫ একর জমি দেয়, রাজধানী দিসপুর থেকে ৪৩০ কিলোমিটার দূরে। ধেমাজি টাউন থেকে ৪৫ কিলোমিটার এবং ডিব্রুগড় থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে।
অসমের আইএআরআই-এর এমএসসি ছাত্ররা কোটায় ২০১৫-১৬ থেকে আইএআরআই নতুন দিল্লীতে ভর্তি হয়ে আসছেন। আইএআরআই অসমে ৫৯ জন বিজ্ঞানীর পদ পুনর্বহাল করা হয়েছে। এই ক্যাম্পাসে নতুন ৪ জন বিজ্ঞানী নিযুক্ত হয়েছেন। পূর্ব নির্মিত বাড়ি প্রস্তুত। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ছাত্র ভর্তি করা হবে। অসম ক্যাম্পাসেই ক্লাস শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে ৩টি ডিভিশন- ডিভিশন অফ ক্রপ ইমপ্রুভমেন্ট, ডিভিশন অফ হর্টিকালচার এবং ডিভিশন অফ অ্যানিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ কাজ শুরু করবে।
CG/AP/NS
(Release ID: 1659418)
Visitor Counter : 182