কর্মী, জন-অভিযোগএবংপেনশনমন্ত্রক

আদালত অবমাননার একটি ঘটনায় কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Posted On: 24 SEP 2020 11:05AM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
 
 
 
 
কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের প্রধান শাখা আইনজীবী শ্রী মেহমুদ পারাচার আচার-আচরণের প্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে। আইনজীবী শ্রী পারাচা উত্তরাখণ্ড ক্যাডারের আইএফএস আধিকারিক শ্রী সঞ্জীব চতুর্বেদীর এসিআর সম্পর্কিত একাধিক আবেদনের বিষয়ে সওয়াল-জবাব করছিলেন। উল্লেখ্য, এই আইএফএস আধিকারিক শ্রী চতুর্বেদী ডেপুটেশনে এইমস-এর দায়িত্ব ছিলেন, যিনি তাঁর এসিআর সম্পর্কে বিষয়ে একাধিক হলফনামা দাখিল করেন। হলফনামা দাখিল করার পর সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে তাঁর প্যারেন্ট ক্যাডার অর্থাৎ, উত্তরাখণ্ড ক্যাডারেই পুনর্বাসন দেওয়া হয়। আইনজীবী শ্রী পারাচা আবেদনকারীর হয়ে দাখিল করা এসিআর বিষয়গুলি নিয়ে আইনি সওয়াল-জবাবের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এদিকে, ২০১৯-এর ৮ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী শ্রী পারাচা জানান, মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট ২৫ হাজার টাকা আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য জমা করার বিনিময়ে এইমস-এর পক্ষ থেকে দাখিল করা সমস্ত এসএলপি খারিজ করে দেয়। ওই আইনজীবীকে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়, এই বিষয়ে ন্যায় পাওয়ার জন্য উত্তরাখণ্ড উচ্চ আদালতে আবেদন করতে। মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট ওই আইনজীবীকে এও জানায় যে, ১৯৮৫-র প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল আইনের ২৫ নং ধারার আওতায় চেয়ারম্যানের ক্ষমতার বিষয়গুলি কি। কিন্তু এ সত্ত্বেও ওই আইনজীবী কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে কোনও বিষয়কে আমল না দিয়েই সওয়াল-জবাব চালিয়ে যেতে থাকেন। এমনকি, ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে বারংবার অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি অবমাননাকর এবং আপত্তিজনক আচরণ করতে থাকেন। ওই আইনজীবী বিপক্ষের আইনি পরামর্শদাতাদের অপমান করেন এবং বলেন, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনালের কাছে তাঁদের আবেদন জানানোর কোনও অধিকারই নেই। আদালতে এ ধরনের দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি তৈরি করে এবং ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানকে অপমান ও উপেক্ষা করার মতো ঘটনা ঘটার প্রেক্ষিতে তাঁকে সতর্কও করা হয়। কিন্তু ওই আইনজীবী তাঁর সওয়াল-জবাবের প্রেক্ষিতে কোনরকম ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না দেখে চেয়ারম্যানকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করতে শুরু করেন। এরপরেও ওই আইনজীবীকে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল আইনের ২৫ নং ধারা সম্পর্কে অবহিত করা হয় এবং বলা হয় পিটিশনগুলির শুনানী চেয়ারম্যানের আদালতেই চলতে পারে, অন্য কোনও পক্ষের আওতায় নয়। এসত্ত্বেও ওই আইনজীবী তাঁর অবস্থানে অনড় থাকেন এবং বারংবার আদালতের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে নিজের যুক্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন। এই প্রেক্ষিতে অন্য কোনও বিকল্প উপায় না দেখে সেদিনই অর্থাৎ, ২০১৯-এর ৮ ফেব্রুয়ারি এক নির্দেশ জারি করে ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। 
 
 
 
 
CG/BD/DM



(Release ID: 1658726) Visitor Counter : 286