কৃষিমন্ত্রক

কৃষকের আয় বৃদ্ধি

Posted On: 21 SEP 2020 2:16PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

 

 

২০১৬ সালের এপ্রিলে সরকার কৃষকের আয় দ্বিগুণ করার জন্য একটি আন্তঃমন্ত্রিগোষ্ঠী গঠন করেছিল । এই কমিটি ২০১৮-র সেপ্টেম্বরে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে । ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকের আয় দ্বিগুণ করার জন্য বিভিন্ন কৌশলের কথা এখানে বলা হয়েছে । এগুলি হল - ১) ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, ২) গৃহপালিত প্রাণীর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, ৩) দক্ষভাবে সম্পদের ব্যবহার এবং উৎপাদন ব্যয় কমানো, ৪) ফসল তোলার মাত্রা বৃদ্ধি, ৫) মূল্যবান ফসলের চাষ বৃদ্ধি, ৬) কৃষক যাতে প্রকৃত মূল্য পান তা নিশ্চিত করা এবং ৭) কৃষি থেকে কৃষি বহির্ভূত পেশায় যাওয়া । কৃষকের আয় দ্বিগুণ করার সুপারিশগুলিকে গ্রহণ করে সরকার এগুলি বাস্তবায়নের জন্য ক্ষমতাশীল গোষ্ঠী তৈরি করেছে । যে গোষ্ঠী সুপারিশগুলি কতটা কার্যকর হচ্ছে তা নিয়মিত পর্যালোচনা করবে ।

কৃষি যেহেতু রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত তাই রাজ্য সরকারগুলিকে এক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচিকে বাস্তবায়িত করতে হবে। কেন্দ্র রাজ্য সরকারগুলির উদ্যোগকে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সাহায্য করছে । ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর মধ্য দিয়ে কৃষকের কল্যাণ নিশ্চিত করা, ফসলের ভালো দাম পাওয়া এবং কৃষকের আয় বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রের এই সব কর্মসূচিগুলো গ্রহণ করা হয়েছে ।

কৃষি, সহযোগিতা এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তর বিভিন্ন রাজ্যে রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা বাস্তবায়িত করছে । কৃষকরা যাতে লাভজনক ফসল বেশি পরিমাণে চাষ করেন, তার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে । রাজ্যের মুখ্যসচিবের পৌরোহিত্যে গঠিত রাজ্য স্তরের কমিটি এই প্রকল্পগুলির অনুমোদন দিচ্ছে । দপ্তর আখ, কাপাস, পাট ইত্যাদি বাণিজ্যিক শস্য চাষে উৎসাহ দেওয়ার জন্য এনএফএসএম কর্মসূচির আওতায় সাহায্য করছে । এমআইডিএইচ-এর আওতায় উদ্যান পালনের মাধ্যমে কৃষকের আয় বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । কৃষিকার্যে বৈচিত্র আনার কর্মসূচির আওতায় (এটি রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার আন্তর্গত) পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে ধান চাষের বদলে তৈলবীজ, ডাল, কাপাস, ভুট্টা ইত্যাদির মত বিকল্পের শস্যের চাষ করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে ।   

সরকার খরা প্রবণ এবং শুষ্ক অঞ্চলে চাষবাসে উৎসাহ দিতে যে পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করেছে, সেগুলি হল –

১) এমআইডিএইচ-এর আওতায় বেসরকারি ক্ষেত্রকে টিসু কালচার পরীক্ষাগার তৈরিতে ৪০ শতাংশ এবং সরকারি সংস্থাকে ১০০ শতাংশ সহায্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে । এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাগার পিছু ব্যয় হবে ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা । এর মাধ্যমে খেজুরগাছের টিসু কালচারে উৎসাহ দেওয়া হবে ।  

২) বাণিজ্যিক ভাবে উদ্যান পালনের চাহিদা বিবেচনা করে ন্যাশনাল হর্টিকালচার বোর্ড খেজুর চাষে সাহায্য করবে ।

৩) দেশের শুষ্ক অঞ্চলে খেজুরচাষের জন্য আইসিএআর সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট ফর অ্যারিড হর্টিকালচারকে দায়িত্ব দিয়েছে । যেখানে জল সেচের ব্যবস্থা আছে সেখানে খেজুরচাষের জন্য কৃষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে । এই প্রকল্পের আওতায় রাজস্থান, গুজরাট, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং তামিলনাড়ুর কয়েকটি জেলাকে বাছাই করা হয়েছে ।

লোকসভায় রবিবার এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।  

 

 

CG/CB/AS



(Release ID: 1657484) Visitor Counter : 788