পেট্রোলিয়ামওপ্রাকৃতিকগ্যাসমন্ত্রক
শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, দেশজুড়ে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যয়সাধ্য রেখে এর সহজলভ্যতা বৃদ্ধি, গ্রাহকপরিষেবার মান বজায় রাখা এবং গ্যাস ভিত্তিক অর্থনীতিই গড়ে তোলাই মূল লক্ষ্য
Posted On:
01 JUL 2020 6:59PM by PIB Kolkata
নতুনদিল্লি, ২ জুলাই, ২০২০
আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা (ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি౼আইইএ) ও পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক বুধবার একটি কর্মশালার আয়োজন করে। ওয়েবিনারের মাধ্যমে এই আয়োজনের বিষয়বস্তু ছিল “পরিবর্তিত আন্তর্জাতিক গ্যাসের বাজারের প্রেক্ষাপটে ভারতে প্রাকৃতিক গ্যাস নির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলা’। পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং আই ই এ –র এক্সিকিউটিভ ডিরেকটর ডঃ ফেইথ বিরোল এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন। কর্মশালায় ভারতীয় জ্বালানী ব্যবস্থা নিয়ে বিষে ষজ্ঞরা মত বিনিময় করেন।
কর্মশালায় স্বাগত ভাষণে শ্রী প্রধান জানান, কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে উদ্ভূত সংকটেও এশিয়ার মধ্যে ভারতে গ্যাসের চাহিদা বাড়ছে। সরকারের গৃহীত নানা সময়োপযোগী পদক্ষেপ এবং দ্রুত পাইপলাইন বসানোর দরুণই এই চাহিদা তৈরী হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। দেশে গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধি, গ্যাস সরবরাহের পরিকাঠামো তৈরি করে তা সকলের জন্য উন্মুক্ত করার মধ্য দিয়ে ভারতে গ্যাস ভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলা হবে। মুক্ত গ্যাসের বাজার তৈরি করার জন্য দেশ জুড়ে গ্যাসের দামের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা এবং ইন্দ্রধনুষ নর্থ ইস্ট গ্যাস গ্রীড প্রকল্পের মাধ্যমে পূর্ব ও উত্তর পূর্ব রাজ্যগুলিতে গ্যাসগ্রীড গড়ে তোলা হচ্ছে। চারশোর বেশী জেলায় নগর গ্যাস ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। এর ফলে দেশের ৫৩% ভূখন্ড ও ৭০% নাগরিক এই ব্যবস্থার আওতায় আসবেন। এভাবেই প্রধানমন্ত্রীর গ্যাস ভিত্তিক অর্থনীতির স্বপ্ন পূরণ হবে।
শ্রী প্রধান আরো জানান, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রাহকরা যাতে যথাযথ ও প্রতিযোগিতামূলক দামে গ্যাস পান সরকার তার জন্য মূল্য তালিকা পর্যালোচনা করছে। প্রেসারাইজড বা কমপ্রেসড প্রাকৃতিক গ্যাস যেন শিল্প সংস্থাগুলির পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকরা ব্যবহার করতে পারেন, সেই দিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
তাঁর ভাষণে ডঃ বিরোল বলেন, কেন্দ্র দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে যেভাবে জ্বালানী ব্যবহারের সুযোগ সাধারণ মানুষের মধ্যে এনে দিচ্ছে তা প্রশংসার যোগ্য। আন্তর্জাতিক জ্বালানী সংস্থাগুলির কাছে ভারত এর ফলে গন্তব্য স্থল হয়ে উঠবে। দেশে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার ৬% থেকে বাড়িয়ে ১৫% করার উদ্যোগে বাজারের সংস্কার, পরিকাঠামো উন্নয়ন ও ক্ষমতা বৃদ্ধি সহায়ক হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
২০১৭ সালে আইইএ-র ‘অ্যাসোসিয়েট কান্ট্রি’-র মর্যাদা পাবার পর ভারত এবং আইইএ তেলের নিরাপত্তা, জ্বালানীর দক্ষতা পরিসংখ্যান ও প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। গ্যাস ভিত্তিক অর্থনীতি নিয়ে এই ধরণের কর্মশালা এই প্রথম আয়োজন করা হল। গত জানুয়ারী মাসে ভারতের জ্বালানী নীতি নিয়ে আইইএ বিস্তারিত আলোচনা করে এবং এটি প্রশংসিত হয়। প্রাকৃতিক গ্যাসের বিষয়ে আইইএ-র সঙ্গে অংশীদারীত্বর ফলে ভারতের জ্বালানীর নিরাপত্তা বৃদ্ধি পেয়েছে।
CG/CB
(Release ID: 1635849)
Visitor Counter : 198