আদিবাসীবিষয়কমন্ত্রক

অপ্রধান বনজ পণ্য প্রকল্পের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বৃদ্ধির ফলে অপ্রধান বনজ পণ্যের রেকর্ড পরিমাণ বিক্রি হয়েছে

Posted On: 21 JUN 2020 7:14PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২১ জুন, ২০২০

 



১৬টি রাজ্যে অপ্রধান বনজ পণ্য প্রকল্পের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বৃদ্ধির ফলে অপ্রধান বনজ পণ্যের রেকর্ড পরিমাণ বিক্রি হয়েছে। এই বিক্রির পরিমাণ ৭৯ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা। আশা করা যাচ্ছে চলতি বছরে এই অপ্রধান বনজ পণ্যের বিক্রির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। কোভিড-১৯ মহামারীর এই পরিস্থিতির মধ্যেও এই রেকর্ড সংখ্যক অপ্রধান বনজ পণ্যের বিক্রি আধিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন-জীবিকায় বিশেষ সহায়তা প্রদান করবে।


কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রক গত ২৬শে মে অপ্রধান বনজ পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বৃদ্ধির তালিকায় ২৩টি নতুন পণ্য অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই পণ্যগুলির মধ্যে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের সংগৃহীত কৃষিজ এবং উদ্যানজাত পণ্যও রয়েছে। অপ্রধান বনজ পণ্য প্রকল্পের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন-জীবিকার যেমন পরিবর্তন আনবে, তেমনই তাঁদের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার ‘বন ধন যোজনা’র আওতাধীন বনজ পণ্যের বিক্রির বিষয়ে বিশেষ জোর দিয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন রাজ্যে এই প্রকল্পের সুফলও মিলেছে। ছত্তিশগড় রাজ্যে ৫২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা মূল্যের ২০ হাজার ২৭০ মেট্রিক টন অপ্রধান বনজ পণ্যের কেনাবেচা হয়েছে। এই রাজ্যই দেশের মধ্যে অপ্রধান বনজ পণ্য কেনা-বেচা ক্ষেত্রে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এর পরে রয়েছে ওড়িশা। সেখানে ২১ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা মূল্যের ৯,৯০৮ মেট্রিক টন অপ্রধান বনজ পণ্যের কেনা-বেচা হয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাট। সেখানে ১ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা মূল্যের ১৫৫ মেট্রিক টন অপ্রধান বনজ পণ্যের কেনা-বেচা চলেছে।


কোভিড-১৯ মহামারীর জেরে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে কর্মসংস্থানের এক অনিশ্চিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছে। ২২টি রাজ্যে ‘বন ধন যোজনা’ সফলভাবে বাস্তবায়িত করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৩ লক্ষ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ১৮ হাজারেরও বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে। এই প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হওয়ার ফলে বনজ পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাচ্ছেন এই পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত উপজাতি মানুষেরা। সরকারের পাশাপাশি ট্রাইফেড-ও এগিয়ে এসেছে।


এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে বনজ সম্পদের সংগ্রহ সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছয়। কিন্তু কোভিড-১৯-এর জেরে একাধিক সমস্যার কারণে তা ব্যাহত হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে আদিবাসী মানুষদের সুরক্ষিত রাখতে এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটাতে চলতি বছরের মে মাসে অপ্রধান বনজ পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রকের আওতাধীন ট্রাইফেড আদিবাসী মানুষদের ক্ষমতায়নে নোডাল এজেন্সি হিসেবে কাজ করছে এবং রাজ্য সরকারগুলিকে যথাযথভাবে সাহায্য করে চলেছে। এর পাশাপাশি, আদিবাসী মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক, ইউনিসেফ এবং হু এপ্রিল মাসে একাধিক সচেতনতামূলক ওয়েবিনার আয়োজন করেছিল। আদিবাসীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই ওয়েবিনারগুলির আয়োজন করা হয়েছিল।


 



CG/SS/DM


(Release ID: 1633452) Visitor Counter : 250