ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্রওমাঝারিশিল্পমন্ত্রক

খাদি এবং গ্রামীণ শিল্পোদ্যোগ কমিশন (কেভিআইসি) পোখরানের মৃৎশিল্পীদের হৃত প্রাচীন গৌরব পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে

Posted On: 21 JUN 2020 6:06PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ২১ জুন, ২০২০




    রাজস্থানের জয়সলমীর জেলার ছোট্ট একটি শহর পোখরান। এই শহরটি মৃৎশিল্পের জন্যই বিখ্যাত। এই পোখরানেই ভারত প্রথম পরমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছিল। খাদি এবং গ্রামীণ শিল্পোদ্যোগ কমিশন এবার পোখরানের এই মৃৎশিল্পীদের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অঙ্গ হিসেবে কেভিআইসি আজ মৃৎশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ৮০ জন কুমোর পরিবারকে ৮০টি বিদ্যুৎ চালিত কুমোরের চাকা বিতরণ করেছে। এই শিল্পীরা সমৃদ্ধশালী টেরাকোটার কাজ করে থাকেন। পোখরানে ৩০০টি কুমোর পরিবার কয়েক দশক ধরে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু বাজারে এই শিল্পের ভালো সাড়া না মেলায় এই কুমোর পরিবারেরা কাজ নিয়ে আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। অনেকে আবার এই পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পথ বেছে নিয়েছেন।

কেভিআইসি এই বৈদ্যুতিক চাকা বিতরণ ছাড়াও ১০ জন কুমোরকে নিয়ে গঠিত এক একটি দলের মধ্যে কাদামাটি মাখার জন্য ৮টি বেলুঙ্গের যন্ত্র বিতরণ করেছে। এই যন্ত্রের সাহায্যে মাত্র ৮ ঘন্টায় ৮০০ কেজি কাদামাটি মাখা যাবে। মৃৎশিল্পীদের এই ৮০০ কেজি কাদামাটি তৈরি করতে সাধারণ সময় লাগে ৫ দিন। কেভিআইসি এই গ্রামে ৩৫০ জনের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। এমনকি কেভিআইসি এই ৮০ জন কুমোরের জন্য ১৫ দিন ধরে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেছিল। কুলহার থেকে শুরু করে ফুলদানি এবং সরু মুখের সঙ্গে গোলাকার বোতল, রান্নার জন্য ব্যবহৃত পাত্র, আলংকারিক সামগ্রীর মতো আকর্ষণীয় ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পগুলি তৈরি করার বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।


কুমোর শিল্পীরা তাদের মৃৎশিল্পের মাধ্যমে ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ এবং ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’এর মতো  বিষয়গুলি দুর্দান্তভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন।


 ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক চাকা এবং অন্যান্য সরঞ্জাম বিতরণের পর কেভিআইসি-র চেয়ারম্যান শ্রী বিনয় কুমার সাকশেনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গঠনের ডাক দিয়েছিলেন এবং মৃৎশিল্পের পুনরুজ্জীবনের মাধ্যমে কুমোরশিল্পীদের কর্মসংস্থান ও স্বরোজগারের লক্ষ্যে যে উদ্যোগ নেওয়া  হয়েছিল তারই অঙ্গ হিসেবে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, পোখরান এতোদিন পর্যন্ত কেবলমাত্র পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর স্থান হিসেবেই পরিচিত ছিল। কিন্তু খুব শীঘ্রই সূক্ষ্ম মৃৎশীল্পের স্থান হিসেবে নতুন পরিচিতি লাভ করবে। কুমোর শিল্পীদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্য ‘কুমোর স্বশক্তিকরণ যোজনা’ নিয়ে আসা হয়েছে। এই যোজনার মাধ্যমে কুমোর শিল্পীদের অত্যাধুনিক যন্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে এবং তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেভিআইসি-র চেয়ারম্যান আরও জানান,বারমেঢ় এবং জয়সলমীর রেল স্টেশনে যাতে কুমোর শিল্পীরা তাদের সামগ্রী  বিক্রি করতে পারেন,এ জন্য সহায়তা দানের ক্ষেত্রে রাজস্থানে কেভিআইসি-র রাজ্য অধিকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই দুটি স্টেশন ছাড়াও ৪০০টি রেল স্টেশনে কেবলমাত্র মাটি বা পোড়ামাটির হাঁড়িতে খাবারের জিনিস বিক্রি করতে বলা হয়েছে।

 কেভিআইসি রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, জম্মু-কাশ্মীর, হরিয়ানা, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, গুজরাত, তামিলনাড়ু, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা এবং বিহারে মতো রাজ্যগুলির প্রত্যন্ত অঞ্চলে ‘কুমোরস্বশক্তিকরণ প্রকল্প’ চালু করেছে। রাজস্থানের জয়পুর, কোটা, ঝালোয়ার এবং শ্রীগঙ্গানগর জেলাগুলিতে বেশকিছু কুমোর শিল্পী এই কর্মসূচির মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। এরফলে কুমোর শিল্পীদের আয় ৭ থেকে ৮ গুন বেড়েছে।




CG/SS/NS


(Release ID: 1633347) Visitor Counter : 286