প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

জাতির উদ্দেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত ২’০, (১২তম পর্ব) অনুষ্ঠানের বাংলা অনুবাদ –

Posted On: 31 MAY 2020 11:43AM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৩১.০৫.২০২০

 

 

আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। করোনার প্রভাব থেকে আমাদের 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানও মুক্ত নয়। যখন আগের বার আমি আপনাদের সঙ্গে 'মন কি বাত' করেছিলাম তখন প্যাসেঞ্জার ট্রেন বন্ধ ছিল, বাস বন্ধ ছিল, বিমান পরিষেবা বন্ধ ছিল। এবার অনেক কিছু চালু হয়ে গিয়েছে, শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চলছে, অন্যান্য স্পেশাল ট্রেনও চালু হয়ে গিয়েছে। যাবতীয় সাবধানতা মেনে, বিমান উড়তে শুরু করেছে, ধীরে ধীরে শিল্পেও কাজ শুরু হয়েছে, অর্থাৎ আর্থিক ব্যবস্থার একটা বড় অংশ চালু হয়ে গিয়েছে, কাজ শুরু করে দিয়েছে। এমন অবস্থায় আমাদের আরও বেশি সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। দুই গজ দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম হোক, মাস্ক পরার ব্যাপার হোক, যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকার বিষয় হোক, এই সব বিধি পালন করতে হবে, এতে বিন্দুমাত্র শিথিলতা দেখালে চলবে না।   


দেশে, সবার সম্মিলিত চেষ্টায় করোনার বিরুদ্ধে লড়াই বেশ ভালোভাবে লড়া হচ্ছে। যখন আমরা দুনিয়ার দিকে তাকাই তখন আমাদের মনে হয় যে ভারতের অধিবাসীদের উপলব্ধি কত বড়। আমাদের জনসংখ্যা অধিকাংশ দেশের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। আমাদের দেশে চ্যালেঞ্জও ভিন্ন ধরনের, কিন্তু তবুও আমাদের দেশে করোনা ততটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে নি, যতটা পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ছড়িয়েছে। করোনার কারণে মৃত্যুর হারও আমাদের দেশে অনেক কম। যে লোকসান হয়েছে তার দুঃখ আমাদের সবার মনে রয়েছে। কিন্তু যা কিছু আমরা বাঁচাতে পেরেছি, সেটা নিশ্চিতভাবে, দেশের সামগ্রিক সংকল্পশক্তিরই পরিণাম। এত বড় দেশে, প্রত্যেক দেশবাসী, নিজে, এই লড়াই লড়বার প্রতিজ্ঞা করেছে, এই পুরো কঠিন কাজ পিপল ড্রিভেন౼জন উদ্যোগ! 


বন্ধুরা, দেশবাসীর সংকল্পশক্তির সঙ্গে,  আর একটা বড় শক্তি এই লড়াইয়ে আমাদের ক্ষমতার সব থেকে বড় উৎস౼ সেটা হল,  দেশবাসীর সেবার শক্তি। বাস্তবে, এই মহামারীর সময়, আমরা ভারতবাসীরা এটা দেখিয়ে দিয়েছি যে আমাদের সেবা আর ত্যাগের পথ অনুসরণ করা কেবল আমাদের আদর্শ নয় বরং ভারতের জীবনপদ্ধতি, আর আমাদের এখানে তো বলা হয়েছে - সেবা পরমো ধর্মঃ।। 


সেবা নিজেই সুখকর, সেবাতেই তৃপ্তি পাওয়া যায়। আপনারা দেখবেন যে অন্যের সেবায় রত ব্যক্তির জীবনে কোনো ডিপ্রেশন বা অশান্তি কখনও দেখা দেয়  না। তাঁর জীবনে, জীবন নিয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিতে, পূর্ণ আত্মবিশ্বাস, ইতিবাচক মনোভাব আর প্রাণময়তা প্রতি মুহূর্তে দেখতে পাওয়া যায়। 


বন্ধুরা, আমাদের ডাক্তাররা, নার্সিং স্টাফ, সাফাই কর্মী, পুলিশকর্মী, সংবাদমাধ্যমের বন্ধুদের  কথা আমি বহুবার আলোচনা করেছি, ম ন কি বাত অনুষ্ঠানেও উল্লেখ করেছি ওদের কথা।  সেবার কাজে সমর্পিত এমন মানুষের সংখ্যা অগনিত।  এমনই একজন সজ্জন হলেন তামিলনাড়ুর সি মোহন। সি মোহনবাবু মাদুরাইতে একটি সেলুন চালান৷ নিজের মেহনতের উপার্জন থেকে উনি পাঁচ লাখ টাকা  জমিয়েছিলেন মেয়ের পড়াশোনার জন্যে। কিন্তু সেই সঞ্চিত অর্থের সবটাই উনি  গরিব, অসহায় মানুষের সাহায্যে খরচ করে ফেলেন। আগরতলাবাসী গৌতম দাসবাবু ঠেলা চালিয়ে রোজগার করেন। উনি নিজের  রোজকার উপার্জন থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে রোজ চাল-ডাল কিনে গরীব মানুষদের খাবার ব্যাবস্থা করেন। পাঞ্জাবের পাঠানকোটের রাজু ভাই এর উদাহরণও আমি জানতে পেরেছি। ভিন্নভাবে সক্ষম রাজুভাই সামান্য কিছু চাঁদার টাকায় তিন হাজার মাস্ক তৈরি করে বিতরণ করেন।  উনি, এই সংকটের সময়ে প্রায় একশোটি পরিবারের  খাবার ব্যাবস্থা করেন। দেশের প্রায় সব অঞ্চল থেকেই  মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলোর পরিশ্রমের অসংখ্য গল্পের কথা জানতে পারছি প্রতিনিয়ত। গ্রাম, গঞ্জগুলিতে আমাদের মা বোনেরা প্রতিদিন হাজার হাজার  মাস্ক তৈরি করছেন। বিভিন্ন সামাজিক সংস্থাগুলো তাদের সাহায্য করছে।  বন্ধুরা, এরকম বহু উদাহরণ সম্পর্কে আমরা রোজ জানতে পারছি, শুনতে পাচ্ছি। বহু লোক  নমো অ্যাপ ও অন্যান্য  মাধ্যমে নিজেদের প্রচেষ্টার কথা আমাকে জানাচ্ছে। সময় কম থাকার জন্য আমি বহুবার অনেক মানুষ, অনেক সংগঠন, সংস্থার নাম উল্লেখ করতে  পারিনা। মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা, সেবারত সেই সমস্ত মানুষজন, সংস্থার আমি প্রশংসা করি, আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। 


আমার প্রিয় দেশবাসী, আর একটি বিষয় যা এই সংকটের সময়ে আমার মন ছুঁয়ে গেছে তা হল উদ্ভাবন। গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত, ছোটো ব্যবসায়ী হোক বা নতুন উদ্যোগ౼স্টার্ট আপ, আমাদের পরীক্ষাগারগুলি করোনার বিরুদ্ধে লড়াই এ নতুন নতুন উপায় বের করছে, রোজ কোনো না কোন কিছু উদ্ভাবন করছে। যেমন নাসিকের রাজেন্দ্র যাদব এর উদাহরণ খুবই অভিনব। রাজেন্দ্রবাবু নাসিকের সাতনা গ্রামের এক কৃষক। নিজের গ্রামকে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচানোর জন্য তিনি তার ট্র্যাক্টর-এর সঙ্গে যুক্ত করে নিয়েছেন একটি উদ্ভাবনী স্যানিটাইজেশান মেশিন এবং এই মেশিন দারুন কাজ করছে। একইরকম ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকগুলো ছবি আমার নজরে এলো যেখানে অনেক দোকানদার দু গজ দূরত্ব বজায় রাখার জন্য দোকানে বোরো পাইপলাইন লাগিয়েছেন, যার একটি দিক থেকে তারা ক্রেতাদের জিনিসপত্র পাঠাচ্ছেন আর অন্য দিক দিয়ে ক্রেতারা তা গ্রহণ করছেন। পড়াশুনার ক্ষেত্রেও শিক্ষক এবং ছাত্ররা মিলে বেশ কয়েকটি উদ্ভাবন করেছেন। অনলাইন ক্লাস, ভিডিও ক্লাস ইত্যাদিতেও অভিনবত্ব দেখা গেছে।   


করোনার ভ্যাকসিন এর ওপর, আমাদের ল্যাবগুলিতে, যে কাজ করা হচ্ছে তা বিশ্ব দেখছে এবং আমরা সবাই আশাবাদীও সে সম্পর্কে। যে কোনও পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য ইচ্ছাশক্তির পাশাপাশি নতুন নতুন উদ্ভাবনী চিন্তাধারার ওপরও অনেক কিছুই নির্ভর করে। মানবজাতির হাজার হাজার বছরের যাত্রা নিরন্তর উদ্ভাবনের হাত ধরেই এই আধুনিক যুগে পৌঁছেছে, এবং তাই, এই মহামারীর ক্ষেত্রেও, আমাদের বিশেষ উদ্ভাবনগুলিই আমাদের জয়ের পথ সুগম করবে বলে আমি মনে করি। বন্ধুরা, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এই পথ বেশ দীর্ঘ। এটি এমন একটি ব্যাধি পুরো বিশ্বের কাছে যার নিরাময়ের এখনো কোনো রাস্তা নেই, যার কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতা কারো ছিলোনা। এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা প্রতিনিয়ত নতুন চ্যালেঞ্জ এর মুখে পড়ছি, এবং বিভিন্ন সমস্যার মোকাবিলা করছি। এই পরিস্থিতি বিশ্বের প্রতিটি করোনা আক্রান্ত দেশেরই। ভারতের অবস্থাও আলাদা কিছু নয়। আমাদের দেশে এমন কোন শ্রেণি নেই যারা অসুবিধার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন না, সমস্যা জর্জরিত নন, এবং, এই সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন আমাদের দরিদ্র ও শ্রমিক শ্রেণীর মানুষেরা। তাঁদের কষ্ট, তাঁদের বেদনার কথা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা।  আমাদের মধ্যে হয়তো এমন কেউ নেই যারা তাদের এবং তাদের পরিবারের কষ্ট অনুভব করতে পারছেন না।  একসঙ্গে আমরা তাঁদের এই দুর্দশা, এই দুর্ভোগকে  ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করছি, পুরো দেশ চেষ্টা করছে। রেল এ আমাদের কর্মরত বন্ধুরা দিনরাত পরিষেবা প্রদানে ব্যস্ত থাকছেন। কেন্দ্র হোক, রাজ্য হোক, স্থানীয় প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান হোক- সবাই, দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন। যেভাবে রেল কর্মচারীরা আজ পরিশ্রম করে চলেছেন, তারাও সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা করোনার যোদ্ধা। লক্ষ-লক্ষ শ্রমিকদের ট্রেনে করে এবং বাসে করে নিরাপদে নিয়ে যাওয়া, তাঁদের ক্ষুধা-তৃষ্ণার কথা মাথায় রাখা, প্রত্যেক জেলায় কোয়ারান্টাইন কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা, সবার নমুনা পরীক্ষা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং সেবা শুশ্রূষার ব্যবস্থা করা, এই সমস্ত কাজ নিরন্তর চলছে, এবং বিশাল বড় আকারে চলছে। কিন্তু, বন্ধুরা, যে দৃশ্য আজ আমরা দেখছি, তার মাধ্যমে দেশে অতীতে যা হয়েছে তার বিশ্লেষণ এবং ভবিষ্যতের জন্য তৈরি থাকার শিক্ষা, দুইয়েরই সুযোগ ঘটছে। 


আজ আমাদের শ্রমিকদের কষ্টে আমরা দেশের পূর্ব প্রান্তের পীড়ার চিত্র খুঁজে পাচ্ছি। যে পূর্বাঞ্চল দেশের উন্নয়নের চালিকা শক্তি হওয়ার ক্ষমতা রাখে, যেখানকার শ্রমিকদের বাহুবলে দেশের নতুন উচ্চতায় পৌঁছনোর সামর্থ্য আছে, দেশের সেই পূর্ব প্রান্তের প্রগতি ও বিকাশ অত্যাবশ্যক। 


পূর্ব ভারতের অগ্রগতির মাধ্যমেই দেশের সামঞ্জস্যপূর্ণ আর্থিক বৃদ্ধি সম্ভব। দেশ যখন থেকে আমাকে তার সেবার সুযোগ দিল তখন থেকেই আমি পূর্ব ভারতের উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়েছি। আমি খুশি যে বিগত কয়েক বছরে এই লক্ষ্যে অনেক কাজ হয়েছে এবং এখন পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে আরও অনেক নতুন পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে এবং আমরা নিরন্তর সেই দিশায় এগিয়ে চলেছি। যেমন বহু শ্রমিকদের দক্ষতা নির্ধারণের  কাজ চলছে, অনেক স্টার্ট আপও এই কর্মযজ্ঞে শামিল হয়েছে, বেশ কিছু পরিযায়ী শ্রমিক কমিশন গঠন করার কথাও চলছে। এ ছাড়াও, কেন্দ্রীয় সরকার যে সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার ফলে গ্রামে রোজগার, স্বরোজগার এবং ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষেত্রে অনেক উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে౼ কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপগুলি এই সমস্যাগুলির সমাধান করতে নেওয়া হয়েছে, আত্মনির্ভর ভারত গঠন করার জন্য নেওয়া হয়েছে। যদি আমাদের গ্রামগুলি আত্মনির্ভর হত, যদি আমাদের গঞ্জগুলি, জেলাগুলি, আমাদের রাজ্যগুলি আত্মনির্ভর হত,  তাহলে বহু সমস্যা এরকম আকার নিত না যেভাবে আজ তারা আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে।  কিন্তু মানুষের প্রবৃত্তি অন্ধকার থেকে আলোর পথে অগ্রসর হওয়া। প্রচুর অন্তরায়ের মাঝেও আমি এই কারণে খুশি যে আত্মনির্ভর ভারত নিয়ে দেশে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে, মানুষ এই লক্ষ্যকে নিজেদের ব্যক্তিগত লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করে অভিযানে নেমে পড়তে শুরু করেছেন। এই অভিযানের নেতৃত্ব দেশবাসী নিজের হাতে নিয়ে নিতে শুরু করেছেন। অনেক মানুষ তো এও জানিয়েছেন যে তাঁরা তাঁদের এলাকায় যে যে সামগ্রী তৈরি হয় তার সম্পূর্ণ একটি তালিকা বানিয়েছেন। এঁরা এখন এই সমস্ত স্থানীয় স্তরে উৎপাদিত সামগ্রীই কিনছেন এবং ‘ভ্যোকাল ফর লোক্যাল’ এই বার্তাটি প্রচার  করছেন। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পটি যাতে আরও উৎসাহ পায় সেই উদ্দেশ্যে প্রত্যেকে এগিয়ে আসার অঙ্গীকার করছেন।   


বিহার থেকে আমাদের এক বন্ধু, শ্রীমান হিমাংশু আমাকে নমো অ্যাপ-এ লিখেছেন যে তিনি এমন একটা দিন দেখতে চান যেদিন ভারত, বিদেশ থেকে আসা জিনিসপত্রের আমদানি একদম কমিয়ে ফেলবে। পেট্রোল, ডিজেল  বা তেলের আমদানি হোক, ইউরিয়া বা ভোজ্য তেলের আমদানি হোক, আমি ওদের মনের ভাব বুঝতে পারি। আমাদের দেশে এরকম কত পণ্যই বাইরে থেকে আসে যার জন্য আমাদের সৎ করদাতাদের টাকা খরচ হয়, অথচ যার বিকল্প আমরা সহজে ভারতেই তৈরি করতে পারি। 


  আসামের সুদীপ আমায় লিখেছেন, যে উনি মহিলাদের বানানো বাঁশ থেকে উৎপাদিত স্থানীয় সামগ্রীর ব্যবসা করেন। উনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, আগামী দুবছরের মধ্যে উনি নিজের বাঁশ থেকে উৎপাদিত সামগ্রীর একটি গ্লোবাল ব্র্যান্ড বানাবেন। আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস, আত্মনির্ভর ভারত অভিযান, এই দশকে ভারতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।


  আমার প্রিয় দেশবাসী, করোনা সংকটের এই সময়, বিশ্বের অনেক নেতাদের সঙ্গে আমার কথাবার্তা হয়েছে। কিন্তু, একটি গোপন কথা আমি আজ বলতে চাই-বিশ্বের অনেক নেতাদের মধ্যে যখন আলোচনা হয়, তখন আমি দেখেছি, ইদানিং ওনাদের আগ্রহ যোগ এবং আয়ুর্বেদ সম্বন্ধে অনেক বেশি বেড়ে গেছে। কিছু নেতারা আমায় জিজ্ঞাসা করেছেন, এই সময়ে যোগ আর আয়ুর্বেদ কিভাবে সাহায্য করতে পারে।


  বন্ধুরা, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস শীঘ্রই আসতে চলেছে। যোগ যত মানুষের জীবনের সঙ্গে যুক্ত হবে, মানুষের মধ্যে, নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে। এখন করোনা সংকটের সময় দেখা যাচ্ছে হলিউড থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত, ঘরে থাকাকালীন, মানুষ যোগ এর উপর মনোনিবেশ করেছে। সর্বত্র মানুষ যোগ আর তার সঙ্গে আয়ুর্বেদ সম্বন্ধেও আরও বেশি জানতে চাইছেন, একে আপন করে নিতে চাইছেন। 


  কত মানুষ যারা কখনো যোগ করেননি, তারাও হয় অনলাইন যোগ ক্লাসে অংশগ্রহণ করে বা অনলাইন ভিডিওর মাধ্যমে যোগ ব্যায়াম শিখছেন। সত্যিই, কমিউনিটি, ইমিউনিটি এবং ইউনিটি- যোগ সবকিছুর জন্যই ভালো।


  বন্ধুরা, আজ এই করেনা সংকটের সময় যোগ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই ভাইরাস, আমাদের শ্বসন তন্ত্রকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে। যোগে তো শ্বসন তন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রাণায়ম আছে। যার প্রভাব আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখে এসেছি। এটি একটি পরীক্ষিত পন্থা- যার নিজস্ব মাহাত্ম্য আছে। 


`"কপালভাতি", "অনুলোম-বিলোম" কিংবা "প্রাণায়ামের" সঙ্গে সবাই বেশি পরিচিত। কিন্তু "ভস্ত্রিকা", "শীতলী", "ভ্রামরী"র মতো বিভিন্ন ধরনের প্রাণায়াম রয়েছে যার  উপকারিতা প্রচুর। এবার আয়ুষ মন্ত্রকের এক অনন্য প্রয়াস এর মাধ্যমে আপনার জীবনেও যোগের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে। আয়ুষ মন্ত্রক 'মাই লাইফ, মাই যোগা' নামে এক আন্তর্জাতিক ভিডিও ব্লগে এর প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। শুধু ভারতই নয়, সমগ্র পৃথিবীর মানুষ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেন। অংশ নিতে হলে এখানে আপনাকে নিজের তিন মিনিটের একটি ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতে হবে। এই ভিডিওতে আপনি যে যোগ বা আসন করে থাকেন তা করে দেখাতে হবে, এবং যোগ আপনার জীবনে কি পরিবর্তন এনেছে তা জানাতেও হবে। আমার অনুরোধ আপনারা সবাই এই প্রতিযোগিতায় অবশ্যই অংশগ্রহণ করুন এবং এই অভিনব পন্থায় আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে আপনিও অংশীদার হোন।


  বন্ধুরা, আমাদের দেশে কয়েক দশক ধরে কোটি কোটি গরিব মানুষ এক মস্ত বড় চিন্তায় রয়েছেন -- যদি অসুস্থ হয়ে পড়ি, তাহলে কি হবে? নিজের চিকিৎসা করাব নাকি পরিবারের জন্য রুজি-রুটির চিন্তা করব? এই সমস্যা বুঝতে পেরেই সেই দুশ্চিন্তা দূর করার লক্ষ্যে প্রায় দেড় বছর আগে 'আয়ুষ্মান ভারত' যোজনা শুরু করা হয়েছিল। কিছুদিন আগে 'আয়ুষ্মান ভারত' এর মাধ্যমে লাভবান হয়েছেন যারা তাদের সংখ্যা প্রায় এক কোটি ছাড়িয়েছে। এক কোটিরও অধিক রোগী অর্থাৎ দেশের প্রায় এক কোটিরও বেশি পরিবার পরিষেবা পেয়েছেন। এক কোটিরও অধিক রোগীর কি তাৎপর্য তা কি বুঝতে পারছেন? এক কোটিরও অধিক রোগী অর্থাৎ নরওয়ের মত দেশ বা  সিঙ্গাপুরের মতো দেশের যা মোট জনসংখ্যা তারও প্রায় দু গুণ মানুষের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হয়েছে। যদি গরিবদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য টাকা দিতে হত, তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা না করা হতো তাহলে মোটামুটি আন্দাজ করলে যা পাওয়া যায় তাতে তাদের প্রায় প্রায় 14 হাজার কোটিরও বেশি টাকা নিজেদের পকেট থেকে খরচা করতে হতো। 'আয়ুষ্মান ভারত' যোজনা গরিবদের পয়সা খরচা করার হাত থেকে বাঁচিয়েছে। আমি 'আয়ুষ্মান ভারত' এর সমস্ত লাভবান ব্যক্তিদের ও তার সঙ্গে রোগীদের চিকিৎসায় যুক্ত যে সকল ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন, প্রত্যেককেই জানাই অভিনন্দন। 'আয়ুষ্মান ভারত' যোজনায় পোর্টেবিলিটি-র সুবিধা  একটি বড় বৈশিষ্ট্য। পোর্টেবিলিটি-র সাহায্যে দেশকে ঐক্যের রঙে রাঙিয়ে তুলতেও সুবিধে হয়েছে, অর্থাৎ বিহারের কোন গরীব যদি চান তাহলে তিনি কর্ণাটকেও সেই সুবিধাই পাবেন যা তিনি নিজের  রাজ্যে পেতেন। এইভাবে মহারাষ্ট্রের কোন গরীব যদি চান তাহলে তিনি চিকিৎসার সুবিধা তামিলনাড়ুতে ও পাবেন। এই প্রকল্পের জন্যে যেসব অঞ্চলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল, সেখানকার দরিদ্র মানুষেরা দেশের যে কোনো অংশে সুচিকিৎসার সুবিধা লাভ করেন। বন্ধুরা, আপনারা জানলে অবাক হবেন যে এই  এক কোটি পরিষেবা প্রাপকের ৮0 (আশি) শতাংশই দেশের গ্রামীণ অঞ্চল থেকে এসেছেন এবং তার মধ্যে প্রায় ৫0 শতাংশ পরিষেবা প্রাপকই  আমাদের মা মেয়ে বা বোনের মতো।  এই পরিষেবায় উপকৃত হয়েছেন যারা তাদের অধিকাংশই এমন অসুখে ভুগছিলেন যার চিকিৎসা সাধারণ ওষেুধ সম্ভব নয়।এদের মধ্যে সত্তর শতাংশ মানেুষর অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। কত বড় বিপদের হাত থেকে  তারা মুক্তি পেয়েছে  এ থেকে তা সহজেই অনুমেয়! মণিপুরের চুড়া-চাঁদপুরের ছয় বছরের শিশু কেলেনসাং,  যে মস্তিষ্কের এক জটিল অসুখে ভুগছিল সেও এই আয়ুষ্মান প্রকল্পের জন্যেই নব-জীবন লাভ করেছে। কেলেনসাং এর বাবা একজন দিন-মজুর, মা তাঁত বুনে সংসারে সাহায্য করেন। এমন পরিস্থিতিতে তাঁদের পক্ষে তাঁদের সন্তানের চিকিৎসা  করানো  ভীষণ কঠিন ছিল। কিন্তু , 'আয়ুষ্মান ভারত যোজনার' জন্য তাঁরা তাদের সন্তানের বিনামূল্যে  চিকিৎসা করাতে পেরেছেন। পুডুচেরির আমুরথা বল্লির অভিজ্ঞতাও একই রকম। তাঁর সংকটমোচনে "আয়ুষ্মান ভারত" অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। অত্যন্ত দুঃখজনক ভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর 2৭ বছর বয়সি ছেলে জীবারও হার্টের অসুখ ধরা পড়ে ছিল। চিকিৎসকরা জীবাকে সুস্থ করে তোলার জন্য অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছিলেন; কিন্তু দিনমজুর জীবার পক্ষে তা ছিল প্রায় অসম্ভব।  এসময় আমুর্থা বল্লি  'আয়ুষ্মান ভারত যোজনায়' তার ছেলের নাম নথিভুক্ত করেন এবং ঠিক তার নয় দিন পরে, জিবার হাট সার্জারি করা সম্ভব হয়। 


বন্ধুরা, আমি কেবল মাত্র তিন-চারটি ঘটনার কথা উল্লেখ করলাম। 'আয়ুষ্মান ভারত যোজনার' সঙ্গে জুড়ে রয়েছে  এমন ঘটনার সংখ্যা এক কোটিরও বেশি। এই ঘটনাগুলি আমাদের মত অসংখ্য জীবিত প্রাণবন্ত মানুষের, দুঃখ-দুর্দশা  থেকে  মুক্তি পাওয়া আমাদের নিজেদের পরিবারের। আমি আপনাদের অনুরোধ করছি, যদি সময় পান অবশ্যই এমন একজনের সঙ্গে একবার কথা বলবেন যিনি 'আয়ুষ্মান ভারত' প্রকল্পে তার চিকিৎসা করিয়েছেন। আপনি দেখতে পাবেন, যখন কোনও দরিদ্র ব্যক্তি কঠিন অসুখ সারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠে তখন দারিদ্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার  কি ভীষণ প্রাণশক্তি  তিনি লাভ করেন। আমাদের দেশে যারা সততার সঙ্গে কর প্রদান করেন সেই সমস্ত করদাতাকে বলতে চাই যে, 'আয়ুষ্মান ভারত' প্রকল্পের অধীনে চিকিৎসা করার ফলে যে সমস্ত গরিব মানুষের জীবনে যে সুখ ও সমৃদ্ধি এসেছে, তারা যে সুবিধা লাভ করেছে, তাতে আপনাদের অবদানও অনস্বীকার্য। দেশের সমস্ত সৎ করদাতারা সেই পুণ্যের অধিকারী। 


আমার প্রিয় দেশবাসী, একদিকে আমরা মহামারীর সঙ্গে লড়াই করছি, আর অন্যদিকে, সাম্প্রতিককালে পূর্ব ভারতের কিছু এলাকায় আমাদের প্রাকৃতিক বিপর্যয়েরও মুখোমুখি হতে হয়েছে। বিগত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আমরা পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশাতে সুপার সাইক্লোন আম্ফানের ধ্বংসলীলা দেখেছি। ঝড়ের কারণে অনেক ঘরবাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষকদেরও বিপুল পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য গত সপ্তাহে আমি ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ গিয়েছিলাম। পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার জনগণ যেভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছেন তা প্রশংসনীয়। এই সংকটপূর্ণ সময়ে, দেশও সবরকম ভাবে সেখানকার জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।


বন্ধুগণ, একদিকে যেমন পূর্ব ভারত ঝড়ের কারণে নেমে আসা বিপর্যয়ের মোকাবিলা করছে, তেমনই অন্যদিকে, দেশের বেশ কিছু অঞ্চল পঙ্গপাল অর্থাৎ লকেস্টের আক্রমণের কারণে প্রভাবিত হয়েছে। এই আক্রমণ আমাদের আরও একবার মনে করিয়ে দিল যে, এই ক্ষুদ্র একটি প্রাণীও কত বড় ক্ষতি করতে পারে। পঙ্গপালের আক্রমন অনেকদিন ধরে চলে, বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে এর প্রভাব পড়ে। ভারত সরকার হোক, রাজ্য সরকার হোক, কৃষি বিভাগ হোক, প্রশাসন অবধি এই সংকট থেকে বাঁচতে, কৃষকদের সাহায্য করার জন্য, আধুনিক পদ্ধতির প্রয়োগ করছে। নতুন নতুন আবিষ্কারের দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে, আর আমার বিশ্বাস যে, আমরা সবাই মিলে আমাদের কৃষি ক্ষেত্রের উপর নেমে আসা এই সংকটের মোকাবিলা করতে পারব, অনেক কিছুই বাঁচিয়ে নিতে পারব। 


আমার প্রিয় দেশবাসী, কয়েক দিন পর গোটা বিশ্ব, ৫ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করবে। 'বিশ্ব পরিবেশ দিবসের' এই বছরের থিম হল - বায়োডাইভারসিটি অর্থাৎ জীববৈচিত্র্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই থিমটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। লকডাউনের কারণে বিগত কয়েক সপ্তাহে জীবনের গতি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে ঠিকই, তবে এটি আমাদের চারপাশের প্রকৃতির সমৃদ্ধি ও জীববৈচিত্র্যকে, ঘনিষ্ঠভাবে দেখার সুযোগ করে দিয়েছে।  অনেক  পাখিরা, যারা দূষণ এবং শব্দের হট্টগোলে হারিয়ে গিয়েছিল, অনেক বছর পরে, মানুষেরা নিজেদের বাড়িতে আবার তাদের ডাক শুনতে পাচ্ছে। অনেক জায়গা থেকে পশুপাখির অনিয়ন্ত্রিত ঘোরাফেরার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। আমার মতো, আপনিও নিশ্চই সোশ্যাল মিডিয়াতে এই বিষয়গুলি দেখেছেন এবং অবশ্যই সেগুলি পড়েছেন। অনেকে বলছেন, লিখেছেন, ফটো শেয়ার করছেন যে, তারা বাড়ি থেকে অনেক দূরের পাহাড় দেখতে পাচ্ছেন, দূরে জ্বলতে থাকা আলো দেখতে পাচ্ছেন। এই ছবিগুলি দেখে অনেকেই হয়তো মনে মনে শপথ নিয়েছেন আমরা দৃশ্যগুলোকে এমনই বজায় রাখতে পারব। এই ছবিগুলি মানুষদের প্রকৃতির জন্য কিছু করারও প্রেরণা দিচ্ছে। নদীগুলি যেন সবসময় স্বচ্ছ হয়, পশুপাখিরাও যেন স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার পায়, আকাশও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হোক, এর থেকে আমরা প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে জীবনে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা নিতে পারি।   


আমার প্রিয় দেশবাসী, আমরা বারবার শুনি 'জল আছে তো জীবন আছে-  জল আছে তো ভবিষ্যৎ আছে'। কিন্তু জল প্রসঙ্গে আমাদের কিছু দায়িত্বও আছে। বর্ষার জল, বৃষ্টির জল আমাদের বাঁচাতে হবে। এক এক বিন্দু বাঁচাতে হবে। গ্রামে গ্রামে বর্ষার জল কিভাবে আমরা বাঁচাবো? প্রথাগত অনেক সহজ উপায় আছে। সেই সহজ উপায়গুলি দিয়ে আমরা জল ধরে রাখতে পারি। পাঁচ থেকে সাত দিন যদি আমরা জল ধরে রাখতে পারি আমাদের ধরিত্রী মায়ের তৃষ্ণা মিটবে, জল আবার মাটিতে ফিরে যাবে, এই জলই জীবনের শক্তি হয়ে উঠবে, এই জন্যই এই বর্ষা ঋতুতে আমাদের সবার উদ্যোগ নেয়া উচিত জল বাঁচানোর এবং জল সংরক্ষণ করার।


আমার প্রিয় দেশবাসী,স্বচ্ছ পরিবেশ আমাদের জীবনের, আমাদের সন্তানের ভবিষ্যতের বিষয়। এইজন্য আমাদের ব্যক্তিগত স্তরেও এই বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।  আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ এই বিশ্ব পরিবেশ দিবসে কিছু গাছ অবশ্যই লাগাবেন। আর প্রকৃতির সেবার জন্য এমন কিছু সংকল্প নেবেন, যাতে প্রকৃতির সঙ্গে আপনার প্রত্যেক দিনের সম্পর্ক বজায় থাকে। আর হ্যাঁ! গরম বাড়ছে তাই পাখিদের জন্য জল রাখতে ভুলবেন না। 


বন্ধুগণ, আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে এত কঠিন তপস্যার পর, এত বাধা-বিপত্তির পর দেশ যেভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে সেটাকে নষ্ট হতে দিলে চলবে না। আমাদের এই লড়াইকে দুর্বল হতে দিলে চলবে না। আমরা বেপরোয়া হয়ে যাই, সাবধান হওয়া ছেড়ে দি, এইগুলো কোন বিকল্প নয়। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই এখনো গুরুতর। আপনার, আপনার পরিবারের এখনো করোনা থেকে একইরকম গুরুতর ঝুঁকি আছে। আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের জীবন বাঁচাতে হবে। সেইজন্য 2 গজ দূরত্ব, মুখে মাস্ক, হাত ধোওয়া এইসব সাবধানতা মেনে চলতে হবে যেরকম আমরা মেনে চলছিলাম। আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে, যে আপনি, আপনার জন্য, আপনার প্রিয়জনদের জন্য, আপনার দেশের জন্য এই সাবধানতা অবশ্যই মেনে চলবেন। এই বিশ্বাস নিয়ে আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য আমার আন্তরিক শুভকামনা রইল। পরের মাসে আবার অনেক নতুন বিষয় নিয়ে 'মন কি বাত'  নিশ্চয়ই করবো। ধন্যবাদ।

 

 


CG/CB



(Release ID: 1628092) Visitor Counter : 812