পরিবেশওঅরণ্যমন্ত্রক
ব্রাজিলের বেলেমে কপ৩০-র অবসরে আইএসএ লিডারশিপ অধিবেশনে এসআইডিএস-এর জন্য শক্তি নিরাপত্তায় যৌথ আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে ভারত
Posted On:
20 NOV 2025 8:06AM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২০ নভেম্বর ২০২৫
কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শ্রী ভূপিন্দর যাদব ১৯.১১.২০২৫-এ ব্রাজিলের বেলেমে ইউএনএফসিসিসি কপ৩০-র অবসরে আইএসএ এসআইডিএস প্ল্যাটফর্মের উচ্চস্তরের মন্ত্রী পর্যায়ের নেতৃত্ব অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানের থিম ছিল ‘ইউনাইটিং আইল্যান্ডস, ইনস্পায়ারিং অ্যাকশন-লিডারশিপ ফর এনার্জি সিকিউরিটি’। ছোট ছোট উন্নয়নশীল দ্বীপরাষ্ট্রগুলির মন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরা, আন্তর্জাতিক সৌরজোটের সদস্যরা এবং অংশীদার সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরা সমবেত হন এখানে শক্তি, নিরাপত্তা, সহজ প্রাপ্যতা এবং দৃঢ়তার জন্য যৌথ কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যেতে।
অধিবেশনের মূল ভাবনা অনুযায়ী অনুষ্ঠানে জোর দিয়ে বলা হয় যে, এসআইডিএস এক অভিনব সঙ্কটের মুখোমুখি – আমদানি করা জৈব জ্বালানির ওপর অতিনির্ভরতা, জলবায়ুর কারণে ব্যাঘাত এবং ভঙ্গুর পরিকাঠামো। আইএসএ এসআইডিএস প্ল্যাটফর্মের লক্ষ্য একটা রূপান্তরকারী ডিজিটাল এবং আর্থিক পরিমণ্ডল তৈরি করা সৌরশক্তির ব্যবহার বাড়াতে। যার জন্য দরকার সংগ্রহের বিধি তৈরি, সরকারি বেসরকারি অর্থ সাহায্য, স্থানীয় স্তরে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সৌর প্রযুক্তির সহজ প্রাপ্তি।
অধিবেশনে ভাষণে শ্রী যাদব বলেন, আইএসএ-র মাধ্যমে স্বচ্ছ জ্বালানির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে এসআইটিএস-কে সাহায্য করতে ভারত দায়বদ্ধ। আশাবাদের সঙ্গে ভাষণ শুরু করে মন্ত্রী পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে ভারতের দ্রুত অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন এবং জানান, “বর্তমানে ভারত ৫০০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা পেরিয়ে গেছে। যার মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি স্বচ্ছশক্তি। ভারত ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ অজৈব জ্বালানি উৎপাদন ক্ষমতায় পৌঁছে গেছে, লক্ষ্য পূরণের সময়সীমার ৫ বছর আগেই।”
মন্ত্রী জানান, ভারত বর্তমানে বিশ্বে চতুর্থ বৃহত্তম পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদক এবং সৌর শক্তিতে তৃতীয়। তিনি জানান, “এটা ঘটেছে তার একমাত্র কারণ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাবনা এবং মাত্রা, গতি ও সাধারণ মানুষের ক্ষমতার ওপর তাঁর অগাধ বিশ্বাস।” শ্রী যাদব তৃণমূল স্তরের কাহিনী শোনাতে গিয়ে পিএম সূর্যঘর রুফটপ সোলার কর্মসূচি সম্পর্কে বলেন এবং কীভাবে তার থেকে একজন বিদ্যালয় শিক্ষক উপকৃত হয়েছেন, সেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। মন্ত্রী বলেন, কীভাবে একজন উপকৃতের জীবন রূপান্তরিত হয়ে গেছে, যে ব্যক্তি প্রতি মাসে আতঙ্কের সঙ্গে বিদ্যুতের বিলের জন্য অপেক্ষা করতেন, তিনি এখন সূর্য রশ্মির জন্য অপেক্ষা করছেন, যা তাঁর উপার্জনের উৎসে পরিণত হয়েছে।
মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ভারতে ২০ লক্ষের বেশি পরিবার ছাদের ওপর সোলার প্যানেল বসিয়েছে। এ যেন ‘প্রত্যেক পরিবারের স্বাধীনতা’ এবং ‘প্রত্যেক ছাদে একটি করে ছোট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র’। তিনি বলেন, “কৃষিতে সৌরশক্তির ব্যবহার কৃষক সমাজের কাছে নতুন ভোর নিয়ে এসেছে। এখন তাঁরা সূর্য নিয়ে কাজ করে, শান্তিতে ঘুমায়। সৌরশক্তি চালিত পাম্প এবং ফিডার কৃষিকার্যকে করে তুলেছে আরও নির্ভরযোগ্য এবং আরও মর্যাদাসম্পন্ন। সকলের কৃষিকাজের চাহিদার জন্য সৌরশক্তির মাধ্যমে স্বচ্ছ বিদ্যুৎ পাওয়া নিশ্চিত করেছে। ডিজেল দরকার নেই, অপেক্ষা করতে হবে না, চাপ নেই।”
পিএম জনমত কর্মসূচির মাধ্যমে দুর্গম এবং অরণ্য এলাকা আলোকিত করার উদ্যোগ তুলে ধরেন মন্ত্রী। তিনি জানান, “ভারত বিশ্বের বৃহত্তম সৌর এবং ব্যাটারি প্রকল্প তৈরি করছে। তার মধ্যে একটি লাদাখে, যাতে স্বচ্ছ বিদ্যুৎ এত পরিমাণ মজুত করা যাবে যে একটা গোটা শহরকে আলোকিত করা যায়।”
আন্তর্জাতিক সৌর জোটের প্রতি ভারতের দায়বদ্ধতার কথা পুনরায় ব্যক্ত করে শ্রী যাদব বলেন, “আইএসএ হয়ে উঠেছে বিশ্ব সৌর পরিবার। ১২৪টির বেশি দেশ এখন এই জোটের অংশ। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে আফ্রিকার সাভানা থেকে দক্ষিণ আমেরিকার পর্বত পর্যন্ত।” সব শেষে মন্ত্রী বলেন, “সৌরশক্তি তার আলো ছড়াচ্ছে প্রযুক্তিগত পথের থেকেও বেশি। এটি আশা এবং ক্ষমতায়ন, এটি স্বাধীনতা, এটি মর্যাদা, এটি শান্তি।”
ছোট দ্বীপরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা এবং অন্যান্য অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের ভাষণে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে, বিশেষ করে সৌরশক্তি ক্ষেত্রে ভারতের দ্রুত অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
SC/AP/AS
(Release ID: 2192082)
Visitor Counter : 6