PIB Headquarters
ভারতে রূপান্তরকামীদের অধিকার : আইনি সংস্কার এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রগতি
प्रविष्टि तिथि:
19 NOV 2025 11:07AM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
মূল বিষয়
রূপান্তরকামী ব্যক্তি (অধিকার সুরক্ষা) আইন, ২০১৯ এবং এর নিয়মাবলী, ২০২০, রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের আইনি স্বীকৃতি, কল্যাণমূলক ব্যবস্থা এবং বৈষম্য থেকে সুরক্ষা দেওয়া নিশ্চিত করে।
সরকার ২১আগস্ট, ২০২০ তারিখের এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই আইনের অধীনে রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের জন্য একটি জাতীয় পরিষদ গঠন করে।
SMILE উদ্যোগটি গরিমা গৃহ আশ্রয় এবং দক্ষতা বিকাশ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষজনের জীবিকা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং পুনর্বাসনে সহায়তা করে।
রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় পোর্টালটি বহুভাষিক ডিজিটাল পরিষেবার মাধ্যমে ঝঞ্ঝাটমুক্ত শংসাপত্র, সরকারি প্রকল্পতে প্রবেশাধিকার এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।
ভারতীয় সংবিধানের ১৪, ১৫, ১৯, এবং ২১ ধারা অনুযায়ী, রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের সমতা, মর্যাদা এবং বৈষম্যহীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
সূচনা
২০১১ সালের সেন্সাস অনুসারে, ভারতে ৪.৮৭ লক্ষ ব্যক্তি ছিলেন যাঁরা লিঙ্গ বিভাগে "অন্যান্য" বিকল্পটি বেছে নিয়েছিলেন। এই সংখ্যাটিকে দেশে নন-বাইনারি বা লিঙ্গ পরিচয়ের বাইরে থাকা ব্যক্তিদের জনসংখ্যা হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

ব্যাপক আইনি সুরক্ষা, কল্যাণমূলক প্রকল্প এবং ডিজিটাল প্রবেশাধিকারের মাধ্যমে ভারত রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের ঐতিহাসিক প্রান্তিকতাকে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। এই পরিবর্তনটি ভারতীয় সমাজে অন্তর্ভুক্তি এবং সমতাকে উৎসাহিত করার জন্য ক্রমবর্ধমান সচেতনতা এবং প্রয়াসকে প্রতিফলিত করে।
১৫ এপ্রিল, ২০১৪-এর নালসা মামলায় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের “তৃতীয় লিঙ্গ” হিসাবে স্পষ্টভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে তাদের লিঙ্গ পরিচয়ের স্বনির্ধারণের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে এবং সরকারকে তাদের আইনি স্বীকৃতি, সমতা ও বৈষম্যহীনতা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রূপান্তরকামী অধিকার সুরক্ষার জন্য সরকার রূপান্তরকামী ব্যক্তি (অধিকার সুরক্ষা) আইন, ২০১৯ এবং এর নিয়মাবলী, ২০২০ প্রণয়ন করেছে। পাশাপাশি, জাতীয় পরিষদ গঠন এবং জাতীয় পোর্টাল চালুর মতো উদ্যোগগুলি তাদের পদ্ধতিগত সমর্থন ও ক্ষমতায়নের ভিত্তি স্থাপন করেছে। এই পদক্ষেপগুলি সমান অধিকার, মর্যাদা, বৈষম্যহীনতা এবং মূল স্রোতে সফল সমন্বয় নিশ্চিত করে।
সাংবিধানিক বিধান
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ১৫ এপ্রিল, ২০১৪ তারিখে ন্যাশনাল লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি (নালসা) বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া [রিট পিটিশন (সিভিল) নং ৪০০ অফ ২০১২] মামলায় তাদের রায়ে রূপান্তরকামী ব্যক্তিদেরকে স্পষ্টভাবে “তৃতীয় লিঙ্গ” হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং সংবিধানের ১৪, ১৫, ১৬, ১৯, এবং ২১ ধারা অনুযায়ী তাদের সাংবিধানিক সুরক্ষার অধিকারী করেছে।
রূপান্তরকামী ব্যক্তি (অধিকার সুরক্ষা) আইন, ২০১৯
এই আইনটি, যা ১০ জানুয়ারি, ২০২০ থেকে কার্যকর হয়েছে, তা রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের আইনি স্বীকৃতি প্রদান করে, বৈষম্য নিষিদ্ধ করে এবং তাদের কল্যাণমূলক ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করে।
মূল বিধানগুলির মধ্যে রয়েছে:
ধারা ২: সংজ্ঞা (যেমন, "রূপান্তরকামী ব্যক্তি"-এর মধ্যে ট্রান্স-পুরুষ/নারী, উভলিঙ্গ, জেন্ডার ক্যুইয়ার, হিজড়া ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত, অস্ত্রোপচার নির্বিশেষে)।
ধারা ৩: শিক্ষা, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, জন পরিষেবা, বাসস্থান এবং চলাফেরার ক্ষেত্রে বৈষম্য নিষিদ্ধ করে।
ধারা ৪-৭: স্ব-নির্ধারিত পরিচয়ের অধিকার; পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন (জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে); এবং অস্ত্রপোচারের পরে সংশোধিত শংসাপত্র।
ধারা ৮: কল্যাণমূলক প্রকল্প, অন্তর্ভুক্তি, উদ্ধার এবং পুনর্বাসনের জন্য সরকারি বাধ্যবাধকতা।
ধারা ৯-১২: কর্মসংস্থানে বৈষম্যহীনতা; অভিযোগ আধিকারিক নিয়োগ এবং পারিবারিক বাসস্থানের অধিকার।
ধারা ১৩-১৫:
অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা; বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রকল্প; এবং স্বাস্থ্যসেবা (যেমন: লিঙ্গ পুনর্নির্ধারণ অস্ত্রপোচার, পরামর্শদান এবং বীমা আওতা)।
ধারা ১৬-১৮:
রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় পরিষদ গঠন (যা নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণে সরকারকে পরামর্শ প্রদান করে)।
ধারা ১৯-২০:
অপরাধ (বৈষম্য দু বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং জরিমানা দ্বারা দণ্ডনীয়); ক্ষতিপূরণ এবং পরিদর্শনের ক্ষমতা
ধারা ২১-২৪:
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা এবং সদ্ভাবে কৃত কাজের জন্য আইনি সুরক্ষা।
রূপান্তরকামী ব্যক্তি (অধিকার সুরক্ষা) নিয়মাবলী, ২০২০
রূপান্তরকামী ব্যক্তি (অধিকার সুরক্ষা) নিয়মাবলী ২০২০" ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে আইনের বিধানগুলি কার্যকর করার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছিল।
আন্দামান ও নিকোবর, অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, অসম, বিহার, চণ্ডীগড়, ছত্তিশগড়, দিল্লি, জম্মু ও কাশ্মীর, মণিপুর, মহারাষ্ট্র, মিজোরাম, ওড়িশা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, সিকিম, তেলেঙ্গানা, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ।
বিধি ১১(৫) অনুসারে, প্রতিটি রাজ্যকে রূপান্তরকামী সুরক্ষা সেল স্থাপন করতে হবে, যার লক্ষ্য হল রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা পর্যবেক্ষণ করা এবং সেই ধরনের অপরাধের সময়মতো নথিভুক্তিকরণ, তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা।
এখনও পর্যন্ত, নিম্নলিখিত রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি দ্বারা ২০-টি রূপান্তরকামী সুরক্ষা সেল স্থাপন করা হয়েছে: (পূর্ববর্তী উত্তরে উল্লিখিত রাজ্যগুলির তালিকা)
বিধি ১০(১) অনুসারে, রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করার পাশাপাশি প্রকল্প এবং কল্যাণমূলক ব্যবস্থাগুলিতে প্রবেশাধিকার সহজতর করার জন্য রূপান্তরকামী কল্যাণ পর্ষদ স্থাপন করা হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত, নিম্নলিখিত রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি দ্বারা ২৫-টি রূপান্তরকামী কল্যাণ পর্ষদ স্থাপন করা হয়েছে:
আন্দামান ও নিকোবর, অন্ধ্রপ্রদেশ, আসাম, বিহার, চণ্ডীগড়, ছত্তিশগড়, গুজরাট, হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড, কেরালা,মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, পুদুচেরি , রাজস্থান, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ।
সরকারি উদ্যোগসমূহ
ভারত সরকার, সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের মাধ্যমে, রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়নের জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
জাতীয় পরিষদ: রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় পরিষদ নীতি বিষয়ে পরামর্শ দেয় এবং কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির উপর নজরদারি করে।
জাতীয় পোর্টাল: ২৫ নভেম্বর, ২০২০-এ চালু হওয়া রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় পোর্টালটি পরিচয়পত্রের জন্য অনলাইন আবেদন এবং সুবিধাগুলিতে প্রবেশাধিকার সক্ষম করে।
SMILE স্কীম: ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে চালু হওয়া SMILE প্রকল্পটি গরিমা গৃহ কেন্দ্র এবং আয়ুষ্মান ভারত টিজি প্লাস স্বাস্থ্য অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে জীবিকা, দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং আশ্রয়ের সহায়তা প্রদান করে।
এই উদ্যোগগুলি সম্মিলিতভাবে রূপান্তরকামী নাগরিকদের জন্য অন্তর্ভুক্তি, মর্যাদা এবং সমান সুযোগের প্রচার করে।
এছাড়াও, রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধায় সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন বিভাগ "রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের জন্য সমান সুযোগ নীতি" জারি করেছে।
রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় পরিষদ
কেন্দ্রীয় সরকার ২১ আগস্ট, ২০২০-এ রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় পরিষদ গঠন করেছিল এবং ১৬ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখের বিজ্ঞপ্তি দ্বারা সেটির পুনর্গঠন করা হয়েছিল। এটি সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের অধীনে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসাবে ভারতে রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা ও প্রচারের কাজ করে।
এই পরিষদে রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের পাঁচজন প্রতিনিধি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি, রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রতিনিধি এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা-র প্রতিনিধিত্বকারী বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন।
কার্যাবলী ও দায়িত্ব
পরামর্শমূলক ভূমিকা -
রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের বিষয়ে নীতি, কর্মসূচি, আইন এবং প্রকল্প প্রণয়নের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারকে পরামর্শ দেওয়া।
পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন -
রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের সমতা এবং পূর্ণ অংশগ্রহণ অর্জনের জন্য তৈরি নীতি ও কর্মসূচির প্রভাব পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করা।
পর্যালোচনা ও সমন্বয়সাধন -
রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করা সমস্ত সরকারি বিভাগ এবং বেসরকারি সংস্থাগুলির কার্যক্রম পর্যালোচনা ও সমন্বয়সাধন করা। এর উদ্দেশ্য হল, সামঞ্জস্য বা কার্যকারিতা নিশ্চিত করা এবং নকল কাজ বা ফাঁক এড়িয়ে যাওয়া।
অভিযোগ প্রতিকার -
রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের অভিযোগের প্রতিকার করা।
অন্যান্য নির্ধারিত কার্যাবলী -
কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদন করা।
SMILE - Support for Marginalised Individuals for Livelihood and Enterprise
জীবিকা ও উদ্যোগের জন্য প্রান্তিক ব্যক্তিদের সহায়তা
SMILE স্কীমটি, যা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে চালু হয়েছিল, এটি রূপান্তরকামী ব্যক্তি ও অন্যান্য প্রান্তিক সম্প্রদায়ের সর্বাঙ্গীন পুনর্বাসন ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে MoSJ&E-এর একটি প্রধান উদ্যোগ। এটি সংবিধানের ১৪, ১৫, এবং ২১ ধারার অধীনে সমতা ও মর্যাদা নিশ্চিত করে এবং লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তার মাধ্যমে রূপান্তরকামী নাগরিকদের মূল স্রোতে আনার প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।
SMILE প্রকল্পর প্রধান উদ্যোগগুলি
দক্ষতা বিকাশ ও কর্মসংস্থান
কর্মসংস্থানযোগ্যতা বাড়াতে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়নের কর্মসূচি প্রদান করা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক সুযোগ বাধ্যতামূলক করা।
বৃত্তি প্রকল্প:
এই বৃত্তিগুলি একটি একক লগইন শংসাপত্র ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয় অনলাইন ব্যবস্থার মাধ্যমে রূপান্তরকামী শিক্ষার্থীদের প্রত্যাহারের হার কমাতে এবং প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক স্তরে উত্তরণে সহায়তা করার লক্ষ্য রাখে।
সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা
সরকার নিম্নলিখিত ব্যবস্থার মাধ্যমে রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নিশ্চিত করে। এই সুবিধাগুলি বেসরকারি এবং সরকারি উভয় হাসপাতালেই পাওয়া যায়:
সংবিধানের ২১ ধারা অনুযায়ী স্বাস্থ্যের অধিকারকে সমুন্নত রেখে লিঙ্গ নিশ্চিতকারী পরিচর্যা , এইচআইভি নজরদারি, কাউন্সেলিং এবং বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য আয়ুষ্মান ভারত - প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার সঙ্গে সংহতকরণ প্রদান করা।
রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের জন্য একটি নিবেদিত স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প - আয়ুষ্মান ভারত টিজি প্লাস চালু করা।
প্রতি বছর প্রতি ব্যক্তির জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার আওতার সুযোগ করে দেওয়া। এই বীমা নিম্নলিখিত বিষয়গুলি-সহ একটি ব্যাপক স্বাস্থ্যসেবা প্যাকেজ কভার করে:
লিঙ্গ নিশ্চিতকারী পদ্ধতি
হরমোন থেরাপি
লিঙ্গ পুনর্নির্ধারণ অস্ত্রোপচার (SRS) এবং অস্ত্রপোচার পরবর্তী পরিচর্যা।
নিরাপদ আশ্রয় (গরিমা গৃহ)
রূপান্তরকামী আইন, ২০১৯-এর ১২(৩) ধারার সাথে সামঞ্জস্য রেখে, SMILE প্রকল্পের অধীনে গরিমা গৃহ স্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেখানে খাদ্য, চিকিৎসা ও বিনোদনের মতো মৌলিক সুবিধা-সহ আশ্রয়প্রার্থী রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের আশ্রয় দেওয়া হয়।
মোট ১৭টি রাজ্যে (যেমন পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ইত্যাদি) অসহায় রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের জন্য ২১-টি গরিমা গৃহ স্থাপন করা হয়েছে। সম্প্রতি আরও তিনটি গরিমা গৃহের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সুরক্ষা সেল এবং জাতীয় পোর্টালের সমন্বয়
আইনি সুরক্ষা জোরদার করার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে জেলাস্তরের সেল স্থাপন করা হয়েছে, যার কাজ হল অপরাধ পর্যবেক্ষণ করা, সময়মতো এফআইআর নথিভুক্তিকরণ নিশ্চিত করা এবং সংবেদনশীলতা কর্মসূচি পরিচালনা করা।

রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় পোর্টাল
যোগ্য রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের শংসাপত্র ও পরিচয়পত্র প্রদানের জন্য রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় পোর্টালটি ২৫ নভেম্বর, ২০২০-এ চালু হয়েছিল। এই পোর্টালটি বহু ভাষায় (ইংরেজি, হিন্দি, গুজরাটি, মালয়ালম এবং বাংলা) ব্যবহারযোগ্য।
এটি একটি সম্পূর্ণ অনলাইন প্রক্রিয়া, যেখানে আবেদনকারী কোনো ইস্যুকারী অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন ছাড়াই টিজি শংসাপত্রের জন্য আবেদন করতে এবং জারি হওয়ার পরে ডাউনলোডও করতে পারেন।
উপসংহার
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে রূপান্তরকামী ব্যক্তি (অধিকার সুরক্ষা) আইন, ২০১৯ এবং SMILE-এর মতো প্রকল্পের মাধ্যমে ভারত সরকার আইনি স্বীকৃতি ও সামাজিক সুরক্ষার দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেছে। MoSJE সচেতনতা বাড়িয়ে কলঙ্ক দূর করার এবং কার্যকর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার কাজ করছে। রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের মর্যাদা ও সুযোগ নিশ্চিত করা ভারতের গণতান্ত্রিক প্রতিশ্রুতির কেন্দ্রবিন্দু।
তথ্যসূত্র :
Press Information Bureau:
· https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2042571
· https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2163005
. https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2157945#:~:text=The%20Garima%20Grehs%20supported%20by,DoSJE%20in%2015%20States%2FUTs.
· https://pib.gov.in
· https://static.pib.gov.in/WriteReadData/specificdocs/documents/2022/jun/doc202263068801.pdf
· https://www.pib.gov.in/PressReleaseIframePage.aspx?PRID=1648221
. Press Release: Press Information Bureau
· Press Release:Press Information Bureau
Supreme Court of India
.https://api.sci.gov.in/supremecourt/2022/36593/36593_2022_1_1501_47792_Judgement_17-Oct-2023.pdf
Ministry of Social Justice and Empowerment:
· https://transgender.dosje.gov.in/
· https://socialjustice.gov.in/public/ckeditor/upload/2021-22%20AR%20Social%20Justice%20English_1648809478.pdf
· https://socialjustice.gov.in/writereaddata/UploadFile/44051740858189.pdf
· https://socialjustice.gov.in/writereaddata/UploadFile/32691723633555.pdf
· https://transgender.dosje.gov.in/Applicant/Registration/DisplayForm2
· 44051740858189.pdf
The National Legal Services Authority (NALSA)
· https://nalsa.gov.in/social-action-litigation/
Ministry of Law and Justice
· https://api.sci.gov.in/supremecourt/2022/36593/36593_2022_1_1501_47792_Judgement_17-Oct-2023.pdf
Click here to see pdf
SSS/AS...
(रिलीज़ आईडी: 2192067)
आगंतुक पटल : 6