PIB Headquarters
এভিজিসি-এক্সআর বিপ্লবের পথে অগ্রগতি
গণমাধ্যম ও বিনোদনের ভবিষ্যতের পথে ভারতের গতিময় অগ্রগতি
Posted On:
18 NOV 2025 10:59AM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
মূল বিষয়
ভারতের গণমাধ্যম ও মনোরঞ্জন শিল্প একটি উদীয়মান ক্ষেত্র, যেটি ডিজিটাল উদ্ভাবন এবং সৃষ্টিশীল-প্রযুক্তির বৃদ্ধির মাধ্যমে চালিত হয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিস(IICT) নেটফ্লিক্স, গুগল, মাইক্রোসফট, এনভিআইডিআইএ (NVIDIA) এবং অন্যান্যদের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সৃজনশীল শিক্ষার রূপান্তর ঘটাচ্ছে, যার ফলে একটি বিশ্বমানের প্রতিভাশালী বাস্তুতন্ত্রের তৈরি হচ্ছে। ভারতীয় ভিএফএক্স (VFX) এবং অ্যানিমেশন স্টুডিওগুলি এখন বিশ্ব চলচ্চিত্রে একটি মূল ভূমিকা পালন করছে - Avator, Thor : The Dark World এবং Game of Thrones-এর মতো ব্লকবাস্টারগুলিতে অবদান রাখছে।
ভারতীয় সৃজনশীল অর্থনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে
ভারতের মিডিয়া ও মনোরঞ্জন ক্ষেত্রটি ডিজিটাল উদ্ভাবন, যুব-নির্ভর চাহিদা এবং সৃষ্টিশীল উদ্যোগের বৃদ্ধির দ্বারা চালিত হয়ে দেশের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান শিল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হিসেবে উঠে এসেছে। পরিষেবা অর্থনীতির মধ্যে এটিকে একটি উচ্চ-সম্ভাবনাময় অংশ হিসেবে সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে এবং অনুমান করা হচ্ছে যে এই ক্ষেত্রটি বার্ষিক প্রায় ৭ শতাংশ যৌগিক হারে বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে ২০২৭ সালের মধ্যে এর মূল্য প্রায় ₹৩,০৬৭ বিলিয়ন (বিলিয়ন = শতকোটি) হবে। জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে এই বাস্তুতন্ত্রটিকে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা বিষয়বস্তু - ভোগকারী জাতি থেকে বিশ্বব্যাপী স্রষ্টা এবং মেধাসম্পদের রপ্তানিকারক হিসেবে একটি চূড়ান্ত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
এই ক্ষেত্রটির জন্য কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি তিনটি মূল স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে:
বর্তমান উদ্যোগগুলির লক্ষ্য হল, প্রশিক্ষণ, ডিজিটাল পরিকাঠামো এবং উদ্ভাবন-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে অ্যানিমেশন, ভিজ্যুয়াল এফেক্টস, গেমিং এবং এক্সটেন্ডেড রিয়েলিটির ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ সক্ষমতাকে জোরদার করা। একই সময়ে, আঞ্চলিক ও ভাষাগত সীমানা জুড়ে সমন্বিত অংশগ্রহণ একটি মূল নীতিগত অগ্রাধিকার হিসাবে রয়ে গেছে, যা নিশ্চিত করে যে সৃষ্টিশীল সুযোগগুলি কেবল মহানগরীগুলিকে ছাড়িয়ে উদীয়মান সাংস্কৃতিক অর্থনীতিতেও প্রসারিত হবে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে, মিডিয়া ও মনোরঞ্জন ক্ষেত্রটি মূল্য সংযোজন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে, যার মোট মূল্য সংযোজিত ভাগ গত এক দশকে ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশাল সংখ্যক দক্ষ কর্মীর সহায়তায় ভারত অ্যানিমেশন এবং ভিএফএক্স পরিষেবাগুলিতে ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয়ের সুবিধা প্রদান করে। এই তুলনামূলক সুবিধা আন্তর্জাতিক প্রকল্পগুলির ধারাবাহিক আগমনকে আকর্ষণ করেছে এবং ভারতকে বিশ্বব্যাপী পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজের জন্য একটি পছন্দের গন্তব্য হিসেবে স্থাপন করেছে।এই ক্ষেত্রের ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী প্রভাব ডিজিটাল মাধ্যমেও সমানভাবে দৃশ্যমান, যেখানে ভারতীয় ওটিটি কন্টেন্টের মোট দর্শকের প্রায় ২৫ শতাংশের উৎস হল বিদেশের দর্শক। এটি কেবল ভারতের সৃজনশীল উৎপাদনের বাণিজ্যিক আকর্ষণকেই নয়, বরং সাংস্কৃতিক কূটনীতিতে এর সম্প্রসারিত ভূমিকাও প্রতিফলিত করে, কারণ ভারতীয় গল্পগুলি মহাদেশজুড়ে আবেগগত এবং সাংস্কৃতিক সংযোগ তৈরি করে চলেছে।
এভিজিসি-এক্সআর বিপ্লব
এই সৃষ্টিশীল পুনরুত্থানটির সবচেয়ে গতিশীল প্রকাশ দেখা যায় এভিজিসি-এক্সআর ক্ষেত্রে, যেখানে প্রযুক্তি, গল্প বলার ধরন এবং উদ্ভাবন একত্রিত হয়ে ভারতের মাধ্যম ও মনোরঞ্জন বৃদ্ধির পরবর্তী অধ্যায় নির্ধারণ করছে। এই ক্ষেত্রেই ভারতের সৃষ্টিশীল আকাঙ্ক্ষা তার ডিজিটাল সক্ষমতার সঙ্গে মিলিত হয়েছে, যা দর্শকদের জন্য বিষয়বস্তু তৈরি করার থেকে বিশ্বের জন্য অভিজ্ঞতা তৈরি করার দিকে একটি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
উৎস এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো
অ্যানিমেশন, ভিস্যুয়াল এফেক্টস, গেমিং, কমিকস এবং এক্সটেন্ডেড রিয়েলিটি (AVGC-XR) ক্ষেত্রটিকে বৃদ্ধির একটি মূল চালক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ভারতীয় সৃজনশীল অর্থনীতি একটি রূপান্তরমূলক পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। ২০২২ সালে এভিজিসি প্রোমোশন টাস্ক ফোর্স গঠনের মাধ্যমে এই নীতিগত যাত্রা গতি লাভ করে। এই টাস্ক ফোর্স ভারতের এভিজিসি-এক্সআর বাস্তুতন্ত্রকে সৃজনশীল প্রযুক্তি ও ডিজিটাল বিষয়বস্তু উৎপাদনের একটি বিশ্বব্যাপী কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একটি ব্যাপক জাতীয় কৌশল তৈরি করার লক্ষ্যে গঠিত হয়েছিল। টাস্ক ফোর্স দেশে ডিজিটাল বিষয়বস্তু সৃষ্টি ও সৃজনশীলতার একটি বিশ্বব্যাপী কেন্দ্র হিসেবে ভারতকে স্থাপন করার জন্য Create in India ফোকাস-সহ একটি জাতীয় এভিজিসি-এক্সআর মিশন প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেছিল। এভিজিসি প্রোমোশন টাস্ক ফোর্সের প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছিল যে আগামী দশ বছরে প্রায় ২০ লক্ষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে, এবং এই ক্ষেত্রটি উৎপাদন, রপ্তানি ও সংশ্লিষ্ট পরিষেবাগুলির মাধ্যমে ভারতের জিডিপিতে অবদান রাখতে পারে।
আইআইসিটি - স্বপ্ন থেকে কর্মে রূপান্তর
মে ২০২৫: শিক্ষা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে ভারতের এভিজিসি-এক্সআর ইকোসিস্টেমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, নীতিগত উদ্দেশ্যকে প্রাতিষ্ঠানিক কর্মে রূপান্তরিত করতে, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিস একটি সেকশন ৮ কোম্পানি হিসাবে আনুষ্ঠানিক রূপ পায়।
মে ২০২৫: আইআইসিটি শিল্প সহযোগী হিসাবে গুগল, ইউটিউব, মেটা, অ্যাডোব, মাইক্রোসফট, এনভিআইডিআইএ (NVIDIA), ওয়াকম এবং জিওস্টার-কে অন্তর্ভুক্ত করে পাঠ্যক্রমের সহ-উন্নয়ন, ইন্টার্নশিপ ও স্কলারশিপ প্রদান এবং ইনকিউবেশন ও মেন্টরিং-এর মাধ্যমে সৃষ্টিশীল-প্রযুক্তি স্টার্টআপগুলিকে সমর্থন করার জন্য।
১৫ জুলাই, ২০২৫: শিল্প বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তৈরি গেমিং, পোস্ট-প্রোডাকশন, অ্যানিমেশন, কমিকস এবং এক্সআর (XR) জুড়ে বিশেষায়িত কোর্স সমন্বিত প্রথম শিক্ষাবর্ষের জন্য ভর্তি শুরু হয়েছিল। এছাড়াও, ফ্যাকাল্টি বিনিময়, সম্মিলিত গবেষণা এবং বিশ্বমানের পাঠ্যক্রমের উন্নয়নের সুবিধার জন্য প্রতিষ্ঠানটি ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের (যুক্তরাজ্য) সঙ্গে একটি মউ (MoU: সমঝোতা স্মারক) স্বাক্ষর করেছে।
১৮ জুলাই, ২০২৫: মুম্বইয়ের এনএফডিসি (NFDC) কমপ্লেক্সে প্রথম আইআইসিটি ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করা হয়েছিল, যার প্রাথমিক বাজেট ছিল ৪০০ কোটি টাকা এবং পেশাদার দক্ষতা বৃদ্ধির মডিউলগুলির পাশাপাশি, প্রথম ব্যাচে প্রায় ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছিল।
৩০ আগস্ট, ২০২৫: সৃষ্টিশীল উদ্যোগকে উৎসাহিত করার জন্য 'ওয়েভএক্স মিডিয়া-টেক স্টার্টআপ ইনকিউবেটর' চালু করা হয়েছিল। প্রথম দলটি ১৫-টি স্টার্টআপকে নিয়ে গঠিত, যারা মেন্টরশিপ, পরিকাঠামো এবং বিশ্বব্যাপী সহযোগী সংস্থাগুলির কাছে পৌঁছানোর সুযোগ লাভ করে।
৭ অক্টোবর, ২০২৫: আইআইসিটি (IICT), FICCI এবং নেটফ্লিক্সের সঙ্গে একটি মউ (MoU: সমঝোতাপত্র) স্বাক্ষর করেছে পাঠ্যক্রমের সহ-সৃষ্টি, মাস্টারক্লাস পরিচালনা, এবং 'নেটফ্লিক্স ফান্ড ফর ক্রিয়েটিভ ইক্যুইটি'-এর অধীনে স্কলারশিপ প্রদানের জন্য, যা ভারতের সৃষ্টিশীল-শিক্ষা ইকোসিস্টেমে বিশ্বব্যাপী বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞতাকে যুক্ত করবে।
ভারতের এভিজিসি-এক্সআর (AVGC-XR) যাত্রার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হল প্রতিভা ও উদ্ভাবনকে লালন করার জন্য একটি নিবেদিত প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি করা। ২০২৪ সালে সরকার অনুমোদিত এভিজিসি-এক্সআর-এর জন্য ন্যাশনাল সেন্টার অফ এক্সেলেন্স (NCoE) অ্যানিমেশন, ভিজ্যুয়াল এফেক্টস, গেমিং এবং ইমারসিভ মিডিয়াতে প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং শিল্প সহযোগিতার জন্য দেশের শীর্ষ সংস্থা হিসাবে কল্পনা করা হয়েছিল। ২০২৪ সালে, মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিস (IICT)-কে এভিজিসি-এক্সআর-এর ন্যাশনাল সেন্টার অফ এক্সেলেন্স হিসেবে উন্মোচিত করা হয়েছিল। ২০২৪ সালে, মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিস (IICT)-কে এভিজিসি-এক্সআর-এর ন্যাশনাল সেন্টার অফ এক্সেলেন্স হিসেবে উন্মোচিত করা হয়েছিল। একটি সেকশন ৮ কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত - যা একটি অলাভজনক সংস্থা এবং যা তার সম্পদ প্রাতিষ্ঠানিক বৃদ্ধিতে পুনরায় বিনিয়োগ করে - এই প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা, শিল্প এবং সরকারকে একই মঞ্চে একত্রিত করে। আধুনিক পাঠ্যক্রম তৈরি করে, যৌথ গবেষণাকে উৎসাহিত করে এবং বিশ্বব্যাপী শিল্প সংযোগের প্রচারের মাধ্যমে, আইআইসিটি নতুন প্রজন্মের স্রষ্টা ও উদ্ভাবকদের গড়ে তুলছে, যা ভারতকে বিশ্বব্যাপী সৃজনশীল অর্থনীতির সামনের সারিতে স্থাপন করছে।
নীতিগত গতিশীলতা
জাতীয় উদ্যোগগুলির পরিপূরক হিসেবে, বেশ কয়েকটি রাজ্য নির্দিষ্ট নীতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মাধ্যমে এভিজিসি-এক্সআর (AVGC-XR) লক্ষ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দক্ষতা বৃদ্ধি, ইনকিউবেশন এবং বিশ্ব বাজারের প্রতিযোগিতার উপর মনোযোগ দিয়ে কর্ণাটক প্রথম রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম যারা একটি নির্দিষ্ট এভিজিসি-এক্সআর নীতি (২০২৪-২০২৯) বাস্তবায়ন করেছে। মহারাষ্ট্রও এই বছরের সেপ্টেম্বরে তার এভিজিসি-এক্সআর নীতি ২০২৫-এর অনুমোদনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে, যা ৩,২৬৮ কোটি টাকার আর্থিক পরিকল্পনা এবং ২০৫০ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত একটি দীর্ঘমেয়াদী রোডম্যাপ দ্বারা সমর্থিত। এই নীতি বিনিয়োগ আকর্ষণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং নির্দিষ্ট ক্লাস্টার ও প্রশিক্ষণ উদ্যোগের মাধ্যমে রাজ্যস্তরের উৎপাদন পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করতে চায়।
নীতিগত সংস্কার এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন
সংশোধিত চলচ্চিত্র আইন এবং ডিজিটাল-পরিচালনা কাঠামো থেকে শুরু করে সমন্বিত উৎপাদন সুবিধাগুলির উন্নয়ন পর্যন্ত, নিম্নলিখিত উদ্যোগগুলি সম্মিলিতভাবে ভারতকে একটি বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত মাধ্যম ও মনোরঞ্জন শিল্প গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে:
সিনেমাটোগ্রাফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৩
সিনেমাটোগ্রাফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৩, ভারতের চলচ্চিত্র আইনে একটি যুগান্তকারী সংস্কারের প্রতিনিধিত্ব করে। এই সংশোধনীটি ১৯৫২ সালের সিনেমাটোগ্রাফ আইনের নিয়ন্ত্রক ও প্রয়োগকারী কাঠামোকে জোরদার করেছে, যা প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্রের অননুমোদিত রেকর্ডিং ও বিতরণ রোধ করার জন্য কঠোর পাইরেসি-বিরোধী বিধান চালু করেছে।ধারা ৬এএ (6AA) এবং ৬এবি (6AB) ডিজিটাল পাইরেসিকে দণ্ডনীয় অপরাধ করেছে, যার জন্য তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং সিনেমার নিরীক্ষিত মোট উৎপাদন ব্যয়ের ৫ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। নতুন প্রবর্তিত ধারা ৭(১বি) (ii) সরকারকে অনলাইন মধ্যস্থতাকারীদের (online intermediaries) তাদের প্ল্যাটফর্মে থাকা পাইরেটেড চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তু অপসারণ বা অ্যাক্সেস সীমাবদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা দেয়, যা ডিজিটাল লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সময়মতো পদক্ষেপ নিশ্চিত করে।
এই আইনটি বয়স-ভিত্তিক শ্রেণিবিন্যাস চালু করে, টেলিভিশন এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তির জন্য পুনর্বিবেচনা প্রক্রিয়াকে সরল করে এবং চলচ্চিত্রের স্থায়ী শংসাপত্রের বৈধতাকে সক্ষম করে শংসাপত্র প্রক্রিয়াটিকেও আধুনিক করেছে। সম্মিলিতভাবে, এই বিধানগুলি সৃজনশীল স্বাধীনতাকে দর্শক সুরক্ষা এবং বিষয়বস্তুর অখণ্ডতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তোলে। সরকারের বৃহত্তর মাধ্যম-সংস্কার এজেন্ডার অধীনে একটি মূল নীতিগত মাইলফলক হিসাবে, এই সংশোধনীটি একটি স্বচ্ছ, সুরক্ষিত এবং উদ্ভাবন-বান্ধব সিনেমাটিক বাস্তুতন্ত্রের প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতিকে জোরদার করে।
জাতীয় সম্প্রচার
ভারতের সম্প্রচার ব্যবস্থার জন্য একটি আধুনিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বৃদ্ধি-ভিত্তিক কাঠামো তৈরি করার উদ্দেশ্যে জাতীয় সম্প্রচার নীতি তৈরি করা হচ্ছে। এটি বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্য, ন্যায্য প্রতিযোগিতা, এবং ডিজিটাল পরিকাঠামোতে বিনিয়োগের প্রচারের উপর জোর দেবে, একই সঙ্গে নৈতিক মান, মেধাসম্পদের সুরক্ষা এবং দর্শকের বিশ্বাস নিশ্চিত করবে।এই নীতি উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা, স্থানীয় বিষয়বস্তু সৃষ্টিতে সমর্থন করা এবং একটি ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত যোগাযোগ পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য ঐতিহ্যবাহী সম্প্রচারকে উদীয়মান ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলির সঙ্গে একীভূত করার মাধ্যমে মাধ্যম ও মনোরঞ্জনে ভারতের আন্তর্জাতিক পদচিহ্নকে শক্তিশালী করার লক্ষ্য রাখে।
ভারতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র (ইন্ডিয়া সিনে হাব)
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অধীনে তৈরি এবং ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন দ্বারা পরিচালিত ইন্ডিয়া সিনে হাব , সারা ভারতে চলচ্চিত্র সংক্রান্ত সুবিধা প্রদানের জন্য সরকারের একটিমাত্র মঞ্চ হিসেবে কাজ করে। এটি প্রক্রিয়াগুলিকে সরল করে, স্বচ্ছতাকে উৎসাহিত করে এবং একটি বিশ্বব্যাপী চিত্রগ্রহণের গন্তব্য হিসাবে ভারতের আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলে। অনুমতি, প্রণোদনা এবং উৎপাদন সম্পদগুলিকে একত্রিত করার মাধ্যমে, ইন্ডিয়া সিনে হাব ভারতের চলচ্চিত্র প্রসারের সুযোগ-সুবিধা প্রদান ব্যবস্থারর ডিজিটাল মেরুদণ্ড হয়ে উঠেছে, যা দেশকে একটি প্রধান বৈশ্বিক চলচ্চিত্র নির্মাণের কেন্দ্র হিসেবে শক্তিশালী করছে।
ওয়েভস: সৃষ্টিশীল কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য ভারতের আন্তর্জাতিক মঞ্চ
ওয়ার্ল্ড অডিও ভিস্যুয়াল অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট সামিট (WAVES) হল একটি আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের সৃষ্টিশীল অর্থনীতিকে প্রদর্শন ও শক্তিশালী করার জন্য ভারতের প্রথম সমন্বিত মঞ্চ। এই মঞ্চটি চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, ওটিটি, অ্যানিমেশন, ভিএফএক্স, গেমিং এবং এক্সআর , ক্ষেত্রগুলির নীতিনির্ধারক, শিল্পনেতা, স্রষ্টা এবং বিনিয়োগকারীদের একত্রিত হওয়ার স্থান হিসাবে কাজ করে।
Source: PIB
মাননীয প্রধানমন্ত্রী দ্বারা উদ্বোধন করা প্রথম সংস্করণটি, যা ১ থেকে ৪ মে, ২০২৫ পর্যন্ত মুম্বাইয়ের জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাতে বিষয়বস্তু, প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে অংশগ্রহণকারী এবং বৈশ্বিক প্রধান সংস্থাগুলিকে একত্রিত করেছিল। চার দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক, মার্কেট স্ক্রিনিং, বিনিয়োগকারী ফোরাম, মাস্টারক্লাস এবং বিটুবি (B2B) নেটওয়ার্কিং-এর সমন্বয় ছিল, যেটি বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যম ক্ষেত্রে ভারতের নেতৃত্বের জন্য মঞ্চ তৈরি করেছিল। মূল দিকগুলির মধ্যে ছিল বৈশ্বিক মাধ্যম সহযোগিতার উপর WAVES ঘোষণা গ্রহণ, WAVES বাজার থেকে ₹১,৩২৮ কোটি টাকার ব্যবসায়িক সংযোগ তৈরি হওয়া,এবং মিডিয়া-টেক স্টার্টআপগুলির জন্য WaveX-এ ₹৫০ কোটির বিনিয়োগ তহবিল উন্মোচন। বিকশিত ভারত ২০৪৭-এর দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভিত্তি করে, WAVES সৃষ্টিশীল প্রযুক্তি, ডিজিটাল গল্প বলা এবং আন্তর্জাতিক সহ-উৎপাদন অংশীদারিত্বের জন্য একটি কেন্দ্র হিসাবে ভারতের ক্রমবর্ধমান ভূমিকাকে তুলে ধরে।
সাফল্য এবং প্রভাব
Source: IMDb
এই ক্ষেত্রে ভারতের প্রযুক্তিগত বিবর্তন এক দশক ধরে পরীক্ষামূলক পর্যায় থেকে উৎকর্ষের দিকে প্রতিফলিত হচ্ছে।
‘রা. ওয়ান’ (২০১১), ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’ (২০১৫), এবং ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ (২০২২)-এর মতো ছবিগুলিতে মোশন ক্যাপচার এবং সিজিআই (কম্পিউটার জেনারেটেড ইমেজরি)-এর ব্যবহার উচ্চমানের প্রযোজনায় প্রাথমিক দেশীয় ক্ষমতা প্রদর্শন করেছিল।
তারপর থেকে, ভারতীয় স্টুডিওগুলি দ্রুত অগ্রসর হয়েছে, রিয়েল-টাইম রেন্ডারিং, ভলিউমেট্রিক ক্যাপচার, এবং ভার্চুয়াল-প্রোডাকশন পাইপলাইন গ্রহণ করে নিমগ্ন গল্প বলার অভিজ্ঞতা তৈরি করছে। এই ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তিগত পরিপক্বতা বিশ্বব্যাপী পোস্ট-প্রোডাকশন এবং ভিএফএক্স (ভিজ্যুয়াল এফেক্টস) বাজারগুলিতে ভারতের প্রতিযোগিতামূলক ক্ষমতাকে শক্তিশালী করেছে। এর ফলে, ক্রমবর্ধমান সংখ্যক আন্তর্জাতিক স্টুডিও তাদের উন্নত সৃজনশীল কাজের জন্য ভারতীয় সংস্থাগুলিতে কাজ আউটসোর্স করছে।
এভিজিসি-এক্সআর ইকোসিস্টেম পেশাগত প্রশিক্ষণ এবং সৃজনশীল ক্ষমতা বিকাশের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখেছে।
দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মীবাহিনী গঠন
মিডিয়া ও বিনোদন দক্ষতা পরিষদের নেতৃত্বে নেওয়া উদ্যোগগুলির মাধ্যমে পেশাদারদের অ্যানিমেশন, ভিএফএক্স, গেমিং, এবং পোস্ট-প্রোডাকশনের মত বিশেষ শাখাগুলিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
শিল্প-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী যোগ্যতার মান এবং মডিউলার কোর্স তৈরির পথ দেখিয়েছে।
বস্তুতান্ত্রিক বৃদ্ধি এবং বিশ্বব্যাপী দৃশ্যমানতা
Source: India Cine Hub
RRR: এই ছবিতে ২,৮০০-টিরও বেশি ভিএফএক্স শট ব্যবহার করা হয়েছিল। সমস্ত পশুর দৃশ্যগুলি নির্দিষ্ট গতিতে চালানোর জন্য প্রোগ্রাম করা রেডিও-নিয়ন্ত্রিত গাড়ি ব্যবহার করে সিঙ্ক্রোনাইজ করা হয়েছিল, যা ভারতের ভিএফএক্স কর্মপ্রবাহের উন্নত মানের ও জটিলতা প্রতিফলিত করে।
Thor: The Dark World: ভিএফএক্স-এর কাজ আংশিকভাবে মুম্বই-ভিত্তিক একটি স্টুডিও দ্বারা সম্পাদিত হয়েছিল, যা আন্তর্জাতিক প্রযোজনাগুলিতে ভারতের ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণকে তুলে ধরে।
Game of Thrones: আইকনিক ড্রাগনগুলি ভারতে অ্যানিমেট করা হয়েছিল, যা উচ্চমানের অ্যানিমেশন এবং প্রাণী ডিজাইনে ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তিগত বিশ্বাসযোগ্যতা তুলে ধরে।
Avatar: এতে ২০০-টিরও বেশি ভিএফএক্স শট একটি ভারতীয় সংস্থা দ্বারা সম্পন্ন করা হয়েছিল, যা শীর্ষ স্তরের আন্তর্জাতিক প্রযোজনাগুলিতে ভারতের সহযোগিতার প্রতিফলন।
ভিস্যুয়াল এফেক্টস এবং অ্যানিমেশনে ভারতের ক্রমবর্ধমান দক্ষতা এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি চাহিদাযুক্ত সৃজনশীল গন্তব্যগুলির মধ্যে স্থান দিয়েছে। দেশের স্টুডিওগুলি এখন বৃহৎ আকারের দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রযোজনাগুলির অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা বিশ্ব বিনোদনের সবচেয়ে দৃশ্যত জটিল প্রকল্পগুলির কিছুতে অবদান রাখছে। এই বিবর্তনটি এই সেক্টরের পরিষেবা-ভিত্তিক আউটসোর্সিং থেকে উচ্চ-মূল্যের সৃজনশীল সহযোগিতার দিকে পরিবর্তনের প্রতিফলন। এই ক্ষেত্রে, ভারতীয় প্রতিভা বৈশ্বিক মানের সঙ্গে সমানে উদ্ভাবন, যথার্থতা এবং গল্প বলাকে চালনা করছে।
উদ্ভাবন এবং উদ্যোগ
বিজিএমআই (BGMI - Battlegrounds Mobile India) এবং ফৌ-জি (FAU-G - Fearless and United Guards)-এর মতো গেমগুলির দ্বারা চালিত ভারতের গেমিং শিল্প, উদীয়মান স্বদেশী গেমিং ইকোসিস্টেম এবং স্থানীয় আইপি তৈরির প্রতিনিধিত্ব করে।
ভারতীয় কমিকস শিল্প এখনও সুপ্পান্দি, চাচা চৌধুরী, তেনালি রমন, এবং শিকারী শম্ভুর মতো আইকনিক চরিত্রগুলির সঙ্গে উন্নতি লাভ করছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকটি চরিত্র অ্যানিমেটেড সিরিজ এবং চলচ্চিত্রে রূপান্তরিত হচ্ছে, যা ঐতিহ্যবাহী গল্প বলা এবং নতুন মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মধ্যেকার সংমিশ্রণকে নির্দেশ করে।
গেমিং, এক্সআর এবং নিমগ্ন গল্প বলার ক্ষেত্রে স্টার্ট-আপগুলির উত্থান দেশীয় উদ্ভাবনের দিকে একটি প্রধান পরিবর্তন চিহ্নিত করে। ভারতীয় স্টুডিওগুলি এখন এমন মোবাইল এবং কনসোল গেম তৈরি করছে যেগুলির ভিত্তি হল স্থানীয় আখ্যান, পুরাণ এবং ঐতিহ্য - যা পরিষেবা-ভিত্তিক কাজ থেকে মৌলিক বিষয়বস্তু তৈরির দিকে পরিবর্তনের প্রতিফলন। ইন্ডি ডেভেলপাররা Raji: An Ancient Epic এবং Indus Battle Royale-এর মত সাংস্কৃতিক প্রতিধ্বনীযুক্ত শিরোনাম এনেছে, যা তাদের ডিজাইন এবং গল্পের গভীরতার জন্য বিশ্বব্যাপী মনোযোগ অর্জন করেছে।
এই উদ্যোগগুলি বিনিয়োগকারীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহও আকর্ষণ করছে, যা ভারতের সৃজনশীল-প্রযুক্তিগত সম্ভাবনা এবং মেটাভার্স অর্থনীতির জন্য এর প্রস্তুতির উপর ক্রমবর্ধমান আস্থাকে চিহ্ণিত করে।
শিক্ষা-শিল্প সমন্বয়
ডেডিকেটেড এভিজিসি হাব তৈরি এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী শিক্ষা-শিল্প সহযোগিতা সম্ভব হয়েছে।
এগুলি ডিজিটাল নির্মাতাদের জন্য ইনকিউবেশন গ্রাউন্ড হিসেবে কাজ করে। এই স্থানগুলিতে বিশেষ কোর্স এবং সহযোগিতামূলক জায়গা দেওয়া হয়, যা শিক্ষার্থীদের প্রযোজনা স্টুডিও এবং প্রযুক্তি সংস্থাগুলির সঙ্গে যুক্ত করে।বেশ কয়েকটি রাজ্য-স্তরের উদ্যোগ অ্যানিমেশন এবং গেমিং-এর জন্য আঞ্চলিক ক্লাস্টারও প্রচার করছে, যা নিশ্চিত করে যে সৃজনশীল সুযোগগুলি মেট্রোপলিটন কেন্দ্রগুলির বাইরেও প্রসারিত হয়।
ভারতের সৃজনশীল প্রযুক্তি পরিকাঠামোকে আরও জোরদার করতে, ওয়েভএক্স মিডিয়া-টেক স্টার্টআপ অ্যাক্সিলারেটর হায়দ্রাবাদের টি-হাব (T-Hub)-এর সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে এভিজিসি-এক্সআর (AVGC-XR) ইকোসিস্টেমের জন্য ডেডিকেটেড ইনোভেশন হাব স্থাপন করতে।
এই সহযোগিতা মিডিয়া-টেক স্টার্ট-আপগুলিকে বৃদ্ধি করার দিকে মনোযোগ দেবে, পরামর্শদান, তহবিল এবং পরিকাঠামোতে প্রবেশাধিকার সহজ করে তুলবে, এবং সৃজনশীল পেশাদার ও প্রযুক্তি উদ্যোগগুলির মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরি করবে।
অ্যানিমেশন এবং ভিস্যুয়াল এফেক্টস
সেন্টার অফ এক্সেলেন্স তৈরি করে এবং ভিএফএক্স ও পোস্ট-প্রোডাকশনের ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থানকে একটি আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হিসাবে শক্তিশালী করতে রাজস্ব উৎসাহ চালু করা।
কো-প্রোডাকশন এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বকে উৎসাহিত করা, যাতে ভারতীয় প্রতিভা বিশ্বব্যাপী বিষয়বস্তু বাস্তুতন্ত্রে যুক্ত হতে পারে।
ভারতের সাংস্কৃতিক গভীরতা এবং সৃজনশীল বৈচিত্র্যকে প্রতিফলিত করে এমন আইপি-নেতৃত্বাধীন অ্যানিমেশন প্রকল্পগুলিকে উৎসাহিত করা।
গেমিং এবং ইস্পোর্টস
মৌলিক ভারতীয় গেম এবং পেশাদার টুর্নামেন্টগুলিকে সমর্থন করার জন্য একটি পরিকাঠামোবদ্ধ গেমিং এবং ই-স্পোর্টস বাস্তুতন্ত্রের বিকাশ করা
বিনোদন, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা জুড়ে গেমিং প্রযুক্তির জন্য স্টার্ট-আপ ইনকিউবেশন এবং বিনিয়োগের পথগুলিকে প্রসারিত করা।
একটি বিশ্বাসযোগ্য এবং দায়িত্বশীল গেমিং পরিবেশ তৈরি করার জন্য নৈতিক গেমপ্লে এবং মুদ্রাকরণের কাঠামোকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান।
এক্সটেন্ডেড রিয়েলিটি এবং উদীয়মান প্রযুক্তি
বিনোদনের বাইরে গিয়ে শিক্ষা, পর্যটন, প্রতিরক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা জুড়ে এক্সআর অ্যাপ্লিকেশনগুলির ব্যবহারকে প্রসারিত করা।
প্রবেশধিকার এবং ব্যবহারের জন্য মানদণ্ড তৈরি করুন, যা প্রযুক্তির দায়িত্বশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবহার নিশ্চিত করে।
কমিকস অ্যান্ড ডিজিটাল ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টিজ
অ্যানিমেশন, গেমিং এবং ক্রস-প্ল্যাটফর্ম গল্প বলার জন্য ভারতীয় কমিকস এবং লোককথার আইপিগুলিকে ডিজিটালি রূপান্তর এবং পুনর্গঠন করুন।
সাংস্কৃতিক সত্যতা এবং আন্তর্জাতিক বাজারের আকর্ষণকে মিশ্রিত করে এমন নতুন ট্রান্সমিডিয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে উৎসাহিত করুন।
সৃজনশীল বাস্তুতন্ত্রকে প্রসারিত করার জন্য শিল্পী, প্রকাশক এবং স্টুডিওগুলির মধ্যে সহযোগিতাগুলিকে শক্তিশালী করুন।
কৌশলগত সক্ষমতা এবং আন্তঃ-ক্ষেত্রের অগ্রাধিকার
এভিজিসি-এক্সআর কোর্সগুলিকে মূলধারার উচ্চশিক্ষা এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মধ্যে একীভূত করা, যা সার্টিফিকেশন মানদণ্ড এবং একটি জাতীয় প্রতিভা তালিকা দ্বারা সমর্থিত হবে।
"ক্রিয়েট ইন ইন্ডিয়া" এবং "ব্র্যান্ড ইন্ডিয়া" উদ্যোগগুলির মাধ্যমে মেধাস্বত্ব কাঠামোকে শক্তিশালী করা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশাধিকার সহজ করে তোলা।
সম্মিলিতভাবে, এই পদক্ষেপগুলি একটি সামগ্রিক বাস্তুতন্ত্রের কল্পনা করে যা নীতি সংস্কার, মানবসম্পদ এবং সৃজনশীল প্রযুক্তিকে একীভূত করে, যাতে এভিজিসি-এক্সআর ডোমেইনে আন্তর্জাতিক স্তরে শক্তিধর হিসেবে ভারতের উত্থানকে ত্বরান্বিত করা যায়।
Click here to see pdf
SSS/AS....
(Release ID: 2191259)
Visitor Counter : 4