প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
প্রধানমন্ত্রী মুম্বাইয়ে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ১৪১তম অধিবেশনের উদ্বোধন করেছেন
प्रविष्टि तिथि:
14 OCT 2023 9:09PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মুম্বাইয়ে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ১৪১তম অধিবেশনের উদ্বোধন করেছেন। ক্রীড়া ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এই অধিবেশনে নিজেদের মধ্যে মতবিনিময় করবার সুযোগ পাবেন। আলোচনায় বিভিন্ন বিষয়ে তাঁরা সম্যক ধারণা পাবেন।
এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ৪০ বছর পর ভারতে আয়োজিত এই অধিবেশনের তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি আমেদাবাদে ক্রিকেট বিশ্বকাপে বিশ্বের বৃহত্তম স্টেডিয়ামে ভারতের জয়ের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, "এই ঐতিহাসিক জয়ের জন্য আমি টিম ভারত এবং প্রত্যেক ভারতীয়কে অভিনন্দন জানাই।"
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, খেলাধুলা ভারতের সংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যখন আমরা ভারতের কোন গ্রামে যাই, তখন দেখবো খেলাধুলা ছাড়া যেকোনো উৎসব অসম্পূর্ণ থেকে যায়। "ভারতীয়রা কেবল ক্রীড়াপ্রেমীই নন, আমরা তা যথাযথভাবে উদযাপনও করি"। ভারতের হাজার বছরের পুরনো ইতিহাসে এ দেশের ক্রীড়া সংস্কৃতি প্রতিফলিত হয়েছে। সিন্ধু সভ্যতা, বৈদিক যুগ বা তার পরবর্তী সময়কালে, ভারতের ক্রীড়া ঐতিহ্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। হাজার হাজার বছর আগে লেখা ধর্মগ্রন্থগুলিতে ঘোড়ায় চড়া, সাঁতার, তীরন্দাজ কুস্তি ইত্যাদি খেলাধুলা সহ ৬৪ রকমের খেলাধুলায় দক্ষ হওয়ার কথা লেখা আছে এবং সেগুলিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তীরন্দাজীশেখার জন্য একটি 'ধনুর বেদ সংহিতা' অর্থাৎ তীরন্দাজের একটি কোড প্রকাশিত হয়েছে যেখানে ধনুষ্বন, চক্র, ভাল, বেড়া, ছুরি, গদা এবং কুস্তি এই ৭টি বাধ্যতামূলক দক্ষতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী প্রাচীনযুগে ভারতের ক্রীড়া ঐতিহ্যের বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ উপস্থাপন করেন। তিনি ধোলাভিরায় ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের কথা উল্লেখ করেন। ৫০০০ বছরের পুরনো এই শহরের নগর পরিকল্পনায় ক্রীড়া পরিকাঠামোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।সেই অঞ্চলে খননকাজের সময় দুটি স্টেডিয়াম পাওয়া গেছে, যার মধ্যে একটি ছিল সেই যুগে বিশ্বের সবথেকে প্রাচীন এবং বৃহত্তম স্টেডিয়াম। একইভাবে, রাখিগড়িতে ক্রীড়া-সম্পর্কিত পরিকাঠামোর নিদর্শন পাওয়া গেছে। "ভারতের এই ক্রীড়া ঐতিহ্য আসলে সমগ্র বিশ্বের" ।
শ্রী মোদী বলেন, “খেলাধুলায় কেউ পরাজিত হন না, এখানে সকলেই বিজয়ী এবং শিক্ষার্থী। খেলাধুলার ভাষা এবং চেতনা সর্বজনীন। খেলাধুলা কেবল প্রতিযোগিতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। খেলাধুলা মানবতাকে প্রসারিত করার সুযোগ দেয়। এই কারণেই বিশ্বব্যাপী ক্রীড়াক্ষেত্রের নানা রেকর্ড উদযাপিত হয়। খেলাধুলা ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ - এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’-এর চেতনাকেও শক্তিশালী করে”। প্রধানমন্ত্রী ভারতে ক্রীড়া উন্নয়নের জন্য সাম্প্রতিককালে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষপের কথা উল্লেখ করেছেন। খেলো ইন্ডিয়া গেমস, খেলো ইন্ডিয়া যুব গেমস, খেলো ইন্ডিয়া শীতকালীন গেমস, মেম্বার অফ পার্লামেন্ট ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং আসন্ন খেলো ইন্ডিয়া প্যারা গেমসের কথা তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন। “আমরা ভারতে খেলাধুলায় অন্তর্ভুক্তি এবং বৈচিত্র্যের উপর মনোনিবেশ করছি”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রীড়া ক্ষেত্রে ভারতের সাফল্যের জন্য সরকারের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ । শেষ অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় অনেক ক্রীড়াবিদের অনবদ্য নৈপুণ্যর কথা তিনি উল্লেখ করেন। সদ্য সমাপ্ত এশিয়ান গেমসে ভারতের পারফরম্যান্স ছিল সবথেকে ভালো এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় তরুণ ক্রীড়াবিদদের নতুন নতুন রেকর্ডের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনগুলি ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারতের দ্রুত পরিবর্তনশীল দৃশ্যপটের উদাহরণ।
শ্রী মোদী বলেন, ভারত আন্তর্জাতিক স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের ক্ষেত্রে তার সাফল্য প্রমাণ করেছে। সম্প্রতি আয়োজিত দাবা অলিম্পিয়াড, অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা ফুটবল বিশ্বকাপ, হকি বিশ্বকাপ, মহিলা বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ, শুটিং বিশ্বকাপ এবং ক্রিকেট বিশ্বকাপের মতো আন্তর্জাতিক মানের প্রতিযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। ভারত প্রতি বছর বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট লীগ আয়োজন করে। আইওসি নির্বাহী বোর্ড অলিম্পিকে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই সুপারিশগুলি গৃহীত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিকমানের নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বকে ভারত স্বাগত জানিয়েছে। দেশের দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতি এবং উন্নত পরিকাঠামোর কারণেই এই অনুষ্ঠানগুলি সফলভাবে আয়োজন করা গেছে। জি-২০ শিখর সম্মেলনের উদাহরণ দিইয়ে তিনি বলেন, দেশের ৬০টিরও বেশি শহরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । এর মধ্য দিয়ে ভারতের সাংগঠনিক ক্ষমতার প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী ভারতের ১৪০ কোটি নাগরিকের আস্থার কথা তুলে ধরেন।
শ্রী মোদী বলেন, " দেশে অলিম্পিক আয়োজনের জন্য ভারত আগ্রহী। ২০৩৬ সালে সফলভাবে অলিম্পিকের আয়োজনের প্রস্তুতিতে ভারত সব রকমের উদ্যোগ নেবে, যা ১৪০ কোটি ভারতীয়ের স্বপ্ন"। দেশ প্রত্যেক অংশীদারের সহায়তায় এই স্বপ্ন পূরণ করতে চায়। " ২০২৯ সালে যে যুব অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে, ভারত সেটি আয়োজনের জন্যও আগ্রহী"। আইওসি ভারতকে তার সমর্থন বজায় রাখবে বলে তিনি আস্থাপ্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র পদক জেতার জন্য নয়, বরং মানুষের হৃদয় জয়ের একটি মাধ্যম। খেলাধুলা সকলের জন্য। এর মাধ্যমে চ্যাম্পিয়নরা যেমন প্রস্তুত হন, পাশাপাশি শান্তি, উন্নয়ন এবং সুস্থ থাকার জীবনশৈল মেনেচলতে উৎসাহিত করে। তাই, খেলাধুলা বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ রাখার আরেকটি মাধ্যম”। অনুষ্ঠানে প্রতিনিধিদের আবারও স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই আয়োজনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সভাপতি শ্রী থমাস বাখ এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সদস্য শ্রীমতি নীতা আম্বানী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
SC/CB/SB…
(रिलीज़ आईडी: 2188338)
आगंतुक पटल : 8
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
English
,
Urdu
,
Marathi
,
हिन्दी
,
Manipuri
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam