বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক
২০২৬ সালে ভারত ও কৃত্রিম মেধা অর্থাৎ এআই-এর প্রভাব সংক্রান্ত শীর্ষ সম্মেলনের লোগো প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব
प्रविष्टि तिथि:
18 SEP 2025 10:18PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক ২০২৬ সালে ভারত ও কৃত্রিম মেধা অর্থাৎ এআই-এর প্রভাব সংক্রান্ত শীর্ষ সম্মেলনের লোগো প্রকাশ করেছে। দক্ষিণী বিশ্ব বা গ্লোবাল সাউথে এধরণের শীর্ষ সম্মেলন এই প্রথম অনুষ্ঠিত হবে। পিপল বা জনগণ, প্ল্যানেট বা গ্রহ এবং প্রগ্রেস বা প্রগতি এই তিন নীতির উপর ভিত্তি করেই সম্মেলন আয়োজন করা হবে। মূলত ৭টি বিষয়ের উপর সম্মেলনে আলোচনা করা হবে। এগুলি হল – মূলধন হিসেবে মানব সম্পদ, সমন্বয়, নিরাপদ ও আস্থাভাজন কৃত্রিম মেধা, বিজ্ঞান, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কৃত্রিম মেধার প্রয়োগ, সমাজে এর ইতিবাচক প্রভাব এবং প্রাণবন্ত উদ্যোগ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই সম্মেলনের লোগো উন্মোচন করেন।
এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী শ্রী এস কৃষ্ণান, দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব শ্রী অভিষেক সিং, কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্য বিজ্ঞান উপদেষ্টা অজয় সুদ, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুয়ার্ড রাসেল সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
সরকারি লোগো
সরকারিভাবে যে লোগোটি প্রকাশ করা হয়েছে, সেটি অশোকচক্রের আদলে তৈরি। এর মধ্য দিয়ে সুপ্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধ প্রতিফলিত হয়, পাশাপাশি ভাষা, শিল্প, ভুগোল এবং মানুষের মধ্যে ভেদাভেদকে ঘুঁচিয়ে এক সর্বাঙ্গীন উন্নয়নের পথে কৃত্রিম মেধা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে সেই বিষয়টিও পরিস্ফূট হয়। শ্রী বৈষ্ণব বলেন, ভারতে কৃত্রিম মেধা মিশন উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে চলেছে। প্রাথমিক স্তরে আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী এবং গবেষকদের জন্য উন্নত কিছু পরিষেবার ব্যবস্থা করা। আমরা ১০ হাজার জিপিইউ তৈরির পরিকল্পনা করেছিলাম। আর আজ আমাদের লক্ষমাত্রাকে অতিক্রম করে ৩৮ হাজার জিপিইউ তৈরি হয়েছে, যা এক গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। পরিকল্পনা করে এআই ডেটা ল্যাবগুলিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে তোলা হয়েছে। প্রযুক্তিকে নির্দিষ্ট একটি গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ না রেখে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। দেশজুড়ে ৫৭০টি এধরণের পরীক্ষাগার গড়ে তোলা হবে। ফলস্বরূপ, ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে নতুন নতুন সুযোগ এসে পৌঁছবে।
গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন উদ্যোগ –
এই সম্মেলনে যে উদ্যোগগুলির বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সকলের সামনে তুলে ধরা হবে, সেগুলি হলো এআই পিচ ফেস্ট (উড়ান), গ্লোবাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জেস ফর ইউথ, উইমেন অ্যান্ড আদার পার্টিসিপেন্টস, রিসার্চ সিম্পোজিয়াম এবং এআই প্রদর্শনী।
সরকার দেশীয় প্রযুক্তিতে কৃত্রিম মেধা মডেল তৈরির জন্য বিশেষভাবে উদ্যোগী হয়েছে। এক্ষেত্রে ৫০৬টি প্রস্তাবকে বাছাই করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য উদ্যোগগুলি হল অবতার এআই, ভারত জেন (আইআইটি বম্বের কনসোর্টিয়াম), ফ্র্যাকচাল অ্যানালিটিক্স লিমিটেড, টেক মাহিন্দ্রা মেকার্স ল্যাব, জেন্টিস, জেনলুপ, ইন্টেলিহেল্থ এবং সৌধ এআই।
দেশজুড়ে ইতোমধ্যেই ৩০টি ডেটা কৃত্রিম মেধা সংক্রান্ত পরীক্ষাগার তৈরি করা হয়েছে। প্রথম পর্বে যে ৫৭০টি পরীক্ষাগার তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, এগুলি তার অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে ২৭টি পরীক্ষাগার, এনআইইএলআইটি-র সঙ্গে যৌথ অঙ্গীদারিত্বে তৈরি করা হয়েছে। এগুলি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্তরের শহরে গড়ে তোলা হয়েছে। ইন্টেলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মোককচুং, মৌ এবং মোহালিতে অত্যাধুনিক ল্যাব গড়ে তোলা হয়েছে।
কৃত্রিম মেধা এবং ডেটা নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ইন্ডিয়া এআই ফেলোশিপ কর্মসূচির আওতায় ১৩,৫০০ জনকে নানাভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে ৮ হাজার জন স্নাতক স্তরের, ৫ হাজার জন স্নাতকোত্তর এবং ৫০০ জন পিএইচডি করছেন। পিএম রিসার্চ ফেলোশিপের আওতায় ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি, আইন, বাণিজ্য এবং মুক্ত চিন্তার কলা বিদ্যা নিয়ে যেসব ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশুনা করছেন তাঁরা ডিজিটাল প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন। আপনি যদি এধরনের কর্মসূচিতে যুক্ত হতে আগ্রহী হন, তাহলে fellowship.indiaai.gov.in এই লিঙ্কটিতে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করুন।
কৃত্রিম মেধা সংক্রান্ত এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে নতুন দিল্লির ভারত মন্ডপমে। ১৯ এবং ২০ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের নেতৃবৃন্দ, নীতি নির্ধারক, গবেষক, শিল্প মহলের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিত্ব এবং উদ্ভাবকরা এখানে উপস্থিত থাকবেন।
এ বিষয়ে আরও জানার জন্য নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন-https://www.pib.gov.in/PressReleseDetailm.aspx?PRID=2168319
SC/CB/SKD/
(रिलीज़ आईडी: 2168383)
आगंतुक पटल : 30