বস্ত্রমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

বস্ত্র মন্ত্রকের ২০৩০-এর লক্ষ্যপথ

Posted On: 22 JUL 2025 3:05PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২২ জুলাই , ২০২৫

 

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ২০২৫-২৬ অর্থিক বছরের বাজেট ভাষণে তুলো উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে ৫ বছরের কর্ম পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। উন্নতমানের তুলো উৎপাদন প্রসারের স্বার্থে উদ্ভাবনকে প্রাধান্য দেওয়া এবং সেই সঙ্গে ২০৩০-এর লক্ষ্যপথে সমগ্র বস্ত্র মূল্য শৃঙ্খলকে শক্তিশালী তোলাই এর লক্ষ্য। কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের সহযোগী হিসেবে তা রূপায়ণের ক্ষেত্রে একটি নোডাল দফতর হিসেবে কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা দফতর (ডিএআরই) কাজ করছে। এর লক্ষ্য হল বিভিন্ন কৌশলগত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তুলো উৎপাদনের প্রসার ঘটানো। সেই সঙ্গে তুলো উৎপাদনকারী সমস্ত রাজ্যে গবেষণা এবং সহায়ক কাজকর্মকে প্রাধান্য দেওয়া। জলবায়ু স্থিতিস্থাপক, কীটপতঙ্গ রোধক এবং উচ্চ ফলনশীল নানা ধরনের তুলো উৎপাদনের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। সত্বর ফলনশীল, অতিরিক্ত দীর্ঘ, সুস্থায়ী তুলো উৎপাদনে জৈব প্রযুক্তি সরঞ্জামকে কাজে লাগানো হয়। ২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ এই সময়কালে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা এবং পুষ্টি মিশন (এনএফএসএনএম) আওতায় নাগপুরের আইসিএআর – সেন্ট্রাল ইন্সস্টিটিউট ফর কটন রিসার্চ ৮ টি প্রধান তুলো উৎপাদনকারী রাজ্যে উন্নতমানের তুলো উৎপাদনের প্রক্রিয়ার রূপায়ণ ঘটায়। এই বিশেষ প্রকল্পে বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬০ কোটি ৩২ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা। 
মিশন ফর কটন প্রোডাকটিভিটির লক্ষ্য হল কৃষকদের বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া যাতে উন্নতমানের উৎপাদন নিশ্চিত করা যায়। সেই সঙ্গে তন্তুর গুণগত মান যা পরিবেশের সঙ্গে স্থিতিশীল এবং কীটপতঙ্গের আক্রমণ রোধক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়। সরকারের সুসংহত ৫ এফ ভিশনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই কাজে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যার উদ্দেশ্য হল খামার থেকে তন্তুতে, তন্তু থেকে কারখানায়, কারখানা থেকে ফ্যাশনে, ফ্যাশন থেকে বিদেশে এই লক্ষ্যপথ পূরণ। সেই সঙ্গে তুলো চাষীদের উপার্জন বৃদ্ধি, উন্নতমানের তুলো উৎপাদনকে স্থায়ী ও সুনিশ্চিত করা, ভারতীয় প্রথাগত বস্ত্র ক্ষেত্রকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলার পথ গ্রহণ করা হয়।  সামগ্রিকভাবে বস্ত্রক্ষেত্রকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষম করে তোলাই এর লক্ষ্য। 

লোকসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী শ্রী গিরিরাজ সিং।        

 


SC/AB /SG


(Release ID: 2146912)