পরিবেশওঅরণ্যমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

সংসদের প্রশ্নোত্তর:- মানুষ-বন্যপ্রাণী সংঘর্ষ ব্যবস্থাপনা

Posted On: 21 JUL 2025 3:52PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২১ জুলাই, ২০২৫

 

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ-বন্যপ্রাণী সংঘর্ষের ঘটনা সামনে এসেছে। এই সংখ্যাকে মন্ত্রক স্তরে মেলানো যায় না। মানুষ-বন্যপ্রাণী সংঘর্ষের ব্যবস্থাপনা এবং নিবারণের জন্য সরকার গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলি নিম্নরূপ:

১. মানুষ-বন্যপ্রাণী সংঘর্ষের মোকাবিলায় মন্ত্রক ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে একটি নীতি নির্দেশিকা জারি করে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আন্তঃবিভাগীয় সমন্বিত কার্যাবলী, সংঘর্ষের মূল জায়গাটি চিহ্নিতকরণ, মানক সঞ্চালন প্রক্রিয়া পালন, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দল গঠন, দ্রুত ক্ষতিপূরণ দিতে ক্ষতিপূরণের মাত্রার সমীক্ষার জন্য রাজ্য এবং জেলাস্তরে সমিতি গঠন, আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু অথবা আহত হওয়ার ঘটনায় অন্তত ২৪ ঘণ্টার ভিতর দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য পন্থা জারি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

২. মন্ত্রক ফসলের ক্ষতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষ-বন্যপ্রাণী সংঘর্ষের ব্যবস্থাপনার জন্য ৩ জুন ২০২২-এ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে দিশানির্দেশও দেয়। এই দিশা নির্দেশে রাজ্যগুলি এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা (পিএমএফবিওয়াই)-র সুযোগ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পিএমএফবিওয়াই-এর সংশোধিত পরিচালন দিশা নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বন্যপ্রাণীর হামলা থেকে ফসলের ক্ষতির জন্য অতিরিক্ত কভারেজ প্রদান করতে পারে। এছাড়াও এতে জঙ্গলের বাইরের এলাকাতে এমন ফসলের চাষে উৎসাহ দিতে হবে যা জঙ্গলের পশুরা খায়না, এই ধরনের কৃষির মধ্যে আছে লঙ্কা, লেমন গ্রাস, খস ঘাস যেগুলিকে বড় গাছ, ঝোপঝাড়ের সঙ্গে উপযুক্ত রূপে মিশ্রিত করা যায়। এগুলি অর্থকরী ফসল। এর মধ্যে আছে সংবেদনশীল ক্ষেত্রতে বিভিন্ন যোজনার জন্য রাজ্য কৃষি বিভাগ দ্বারা বিকল্প ফসল চাষে ব্যাপক দীর্ঘকালীন যোজনা প্রস্তুত এবং তার রূপায়ণ।

৩. মন্ত্রক হাতি, গাউর, চিতাবাঘ, সাপ, কুমির, রিসাস বাঁদর, বন্য শুয়োর, ভাল্লুক, নীল গাই অথবা কৃষ্ণসার সংক্রান্ত মানুষ-বন্য জন্তু সংঘর্ষ কমানোর জন্য ২১.৩.২০২৩-এ মানুষ-বন্যপ্রাণী সংঘর্ষের মোকাবিলায় নির্দিষ্ট প্রজাতি ভিত্তিক দিশানির্দেশও জারি করা হয়।

৪. কেন্দ্রীয় সরকার, কেন্দ্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাপুষ্ট যোজনা, ‘বন্য জন্তু বাসস্থানের উন্নয়ন’ এবং ‘প্রজেক্ট টাইগার অ্যান্ড এলিফ্যান্ট’-এর অন্তর্গত বন্য জন্তু এবং তাদের বাসস্থানের ব্যবস্থাপনার জন্য রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে আর্থিক সাহায্য দেয়। এতে ব্যাপক কর্মকাণ্ড শামিল- যেমন বন্য জন্তুর উৎপাতের জন্য নগদ ক্ষতিপূরণ এবং বন্য পশু যাতে ফসলের ক্ষেতে প্রবেশ করতে না পারে, তার জন্য কাঁটাতারের বেড়া, সৌরশক্তি চালিত বিদ্যুতের বেড়া, ক্যাকটাস দিয়ে জৈব বেড়া, দেওয়াল ইত্যাদি অবরোধের নির্মাণ, ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মানুষ বন্য জন্তু সংঘর্ষে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দান।

৫. বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) অধিনিয়ম ১৯৭২ অনুযায়ী বন্য জন্তু এবং তাদের বাসস্থান সংরক্ষণের জন্য জাতীয় উদ্যান, অভয়ারণ্য, সংরক্ষিত এলাকা ইত্যাদির একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে।

৬. বন্যজীব (সংরক্ষণ) অধিনিয়ম ১৯৭২-এর ১১ ১-এর ক অনুযায়ী মানুষের পক্ষে ভয়ানক কোনো জীবকে শিকার করার জন্য পারমিট দিতে রাজ্যকে অধিকার দেওয়া হয়।

৭. বন্যজীব (সংরক্ষণ) অধিনিয়ম ১৯৭২-এর ৩৩ ধারা অনুযায়ী মন্ত্রক সংরক্ষিত ক্ষেত্র এবং অন্যান্য ভূপ্রাকৃতিক উপাদানের জন্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প চালু করতে দিশা নির্দেশ জারি করে।

৮. রাজ্যের বনবিভাগের আধিকারিক এবং কর্মচারীদের সক্ষম করে তুলতেও সাহায্য করে থাকে মন্ত্রক।

৯. মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘর্ষ সম্পর্কে গাইডদের সচেতন করে তুলতে এবং সাধারণ মানুষকে পথ দেখাতে এবং পরামর্শ দিতে নানা ধরনের সংবাদ মাধ্যমের ব্যবহার করার পাশাপাশি সচেতনতা অভিযান চালিয়ে থাকে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপশাসক।

আজ লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী শ্রী কীর্তিবর্ধন সিং।


SC/AP/NS


(Release ID: 2146485)
Read this release in: English , Urdu , Hindi , Tamil