বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

আইএমএ আয়োজিত চিকিৎসক দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ জিতেন্দ্র সিং-এর বিশ্ববরেণ্য চিকিৎসক ডঃ বিধানচন্দ্র রায়ের স্মৃতিচারণা

Posted On: 13 JUL 2025 7:23PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৩ জুলাই, ২০২৫

 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ জিতেন্দ্র সিং বিশ্ববরেণ্য চিকিৎসক ডঃ বিধানচন্দ্র রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে ডাঃ রায়ের চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিল। তিনি বিশিষ্ট এই চিকিৎসকের স্মৃতিচারণা করার সময় বলেন, চিকিৎসক এবং রোগীর মধ্যে আস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিধানচন্দ্র রায় ছিলেন পথিকৃত।

ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) আয়োজিত চিকিৎসক দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে ডাঃ সিং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং দেশ গঠনের কাজে ডাঃ রায়ের অবদান অনস্বীকার্য। ১৯৪০ সালে শ্রী রায় ভিজিট নিতেন ৬৬ টাকা এবং কেউ সেই প্রশ্ন করতেন না। আজ চিকিৎসকের প্রতি রোগীদের আস্থা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। তিনি এই মহান পেশায় জড়িত সকলকে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং রোগীদের প্রতি মর্যাদা দেখিয়ে পরিষেবা প্রদানের পরামর্শ দেন। আইএমএ-কে ভারতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার স্তম্ভ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।   

কলকাতায় ১৯২৮ সালে পঞ্চম সর্বভারতীয় চিকিৎসকদের সম্মেলন বা অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল কনফারেন্সে আইএমএ প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ৩ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি চিকিৎসক এই প্রতিষ্ঠানের সদস্য, যার সদর দপ্তর দিল্লীতে। ৩৪টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ১,৭৫০টির বেশি শাখা রয়েছে আইএমএ-র। ডঃ বিধানচন্দ্র রায়, ডাঃ এম এ আনসারি, স্যার নীলরতন সরকার এবং কর্ণেল ভোলা নাথ-এর মতো বিশিষ্টজনেরা দেশের সেই উত্তাল সময়ে এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁদের দূরদর্শিতার প্রশংসা করে বলেন, অনেক চিকিৎসকই তখন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদান করেছিলেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল স্পষ্ট। চিকিৎসা বিজ্ঞান ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতি এবং এই মহান পেশার মর্যাদা রক্ষা করা। 

ডঃ সিং নিজে মেডিসিন এবং ডায়াবেটিক্স বিশেষজ্ঞ। তিনি ভারতে চিকিৎসা পরিষেবার পরিবর্তনের বিষয়টিও তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন। ভারতীয় চিকিৎসক এবং গবেষকদের কাছে সংক্রমণ এবং সংক্রমণযোগ্য নয়- সব ধরনের রোগের চিকিৎসা করা এক বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ভারতে সব ধরনের অসুখেরই খবর পাওয়া যায়। আর তাই আন্তর্জাতিক স্তরে থাকা গবেষকরা সবসময় ভারতের দিকে তাকিয়ে থাকেন। 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ভারতের জনবিন্যাস পরিবর্তিত হচ্ছে। আমাদের দেশে ৭০ শতাংশ মানুষের বয়স ৪২-এর নিচে। কিন্তু একই সময়ে এদেশে বৃদ্ধদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯৫০ সালে এদেশে গড় আয়ু ছিল ৫০ বছর, যা বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭০ বছর। তিনি স্বাস্থ্য পরিষেবায় অত্যাধুনিক অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে আয়ুষ পদ্ধতির চিকিৎসা পরিষেবাকে যুক্ত করে রোগীদের সেবা করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, দূরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসায় যোগাভ্যাসকে ব্যবহার করে সুফল পাওয়া যাচ্ছে। তাই বিভিন্ন পদ্ধতির চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আলাদা আলাদাভাবে ব্যবহার না করে সবগুলিকে প্রয়োজনে একসঙ্গে ব্যবহারের পরামর্শ দেন। “এখন আর সংশয় নেই। সারা বিশ্ব প্রয়োজনের তাগিদে সুসংহত চিকিৎসা ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে।” 

তিনি স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে সরকারি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেন। কৃত্রিম মেধার সাহায্যে শল্য চিকিৎসা, টেলিমেডিসিন, রোবোটিক ডায়গনাস্টিক-এর মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করার ওপর গুরুত্ব দেন। “আসুন আমরা স্মরণসভা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ডঃ বিধানচন্দ্র রায়কে সম্মান জানানোর পাশাপাশি চিকিৎসার সময় তিনি যে  আস্থা, পারদর্শিতা এবং সততার মূল্যবোধ অনুসরণ করে চলতেন, সেই ভাবনার শরিক হই। ভারতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সবথেকে শক্তিশালী স্তম্ভ আইএমএ পরিষেবার ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন আসছে, তাতে নেতৃত্বদান করুক।”

 

SC/CB/NS


(Release ID: 2144480)