প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘‘মন কি বাত’’ (১২৩ তম পর্ব) অনুষ্ঠানের বাংলা অনুবাদ

Posted On: 29 JUN 2025 11:40AM by PIB Kolkata

আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। মন কি বাতে আপনাদের স্বাগত জানাই, অভিনন্দন জানাই। আপনারা সবাই এই সময় যোগের শক্তি এবং ‘অন্তঃরাষ্ট্রীয় যোগ দিবস’-এর স্মৃতিতে পূর্ণ হয়ে রয়েছেন। এইবারও ২১ জুন দেশ ও বিশ্বের কোটি-কোটি মানুষ ‘অন্তঃরাষ্ট্রীয় যোগ দিবস’-এর উদযাপনে অংশ নিয়েছেন। আপনাদের মনে থাকবে, দশ বছর আগে এটা শুরু হয়েছিল। এখন দশ বছরে এই প্রক্রিয়া প্রত্যেক বছর আগের থেকে আরও জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে উঠছে। এটা এই ব্যাপারেরও ঈঙ্গিত যে আরও বেশি-বেশি মানুষ নিজেদের দৈনন্দিন জীবনে যোগকে গ্রহণ করছেন। আমরা এবার ‘যোগ দিবস’-এর কতই না আকর্ষণীয় ছবি দেখেছি। বিশাখাপত্তনমের সমুদ্রতটে তিন লক্ষ মানুষ একসঙ্গে যোগাভ্যাস করেছেন। বিশাখাপত্তনম থেকেই আরও এক অদ্ভূত দৃশ্য সামনে এসেছে, দু’ হাজারেরও বেশি আদিবাসী শিক্ষার্থী ১০৮ মিনিট ধরে ১০৮ বার সূর্য নমস্কার করেছে। ভেবে দেখুন, কতটা অনুশাসন আর কতটা সমর্পণ মিশে ছিল এর সঙ্গে। আমাদের নৌবাহিনীর জাহাজেও যোগাভ্যাসের চমৎকার দৃশ্য দেখা গিয়েছে। তেলেঙ্গানায় তিন হাজার দিব্যাঙ্গ সাথী একসঙ্গে যোগ শিবিরে অংশ নেয়। তাঁরা দেখিয়েছেন যে যোগ কীভাবে সশক্তিকরণের মাধ্যমও হয়ে উঠতে পারে। দিল্লীর মানুষ যোগকে স্বচ্ছ যমুনা তৈরির সঙ্কল্পের সঙ্গে যুক্ত করেছেন এবং যমুনার তীরে গিয়ে যোগাভ্যাস করেছেন। জম্মু-কাশ্মীরে চেনাব সেতু যা পৃথিবীর সবথেকে উঁচু রেলসেতু, সেখানেও মানুষ যোগাভ্যাস করেছেন। হিমালয়ের তুষারাবৃত শিখর সেখানেও আই-টি-বি-পি-র জওয়ানদের যোগাভ্যাস দেখা গিয়েছে, সাহস আর সাধনা চলেছে একসঙ্গে। গুজরাতের মানুষও এক নতুন ইতিহাস রচনা করেছেন। ভডনগরে দু হাজার একশো একুশ জন মানুষ একসঙ্গে ভুজঙ্গাসন করেছেন এবং নতুন রেকর্ড তৈরি করেছেন। নিউইয়র্ক, লণ্ডন, টোকিও, প্যারিস – দুনিয়ার সব বড় শহর থেকে যোগাভ্যাসের ছবি এসেছে আর প্রত্যেকটি ছবিতে একটি বৈশিষ্ট ছিল– শান্তি, স্থিরতা আর ভারসাম্য। এবারের থীমও খুব বিশিষ্ট ছিল – যোগা ফর ওয়ান আর্থ, ওয়ান হেলথ অর্থাৎ ‘এক পৃথিবী, এক স্বাস্থ্য’। এটা কেবল একটা স্লোগান নয়, এ একটা অভিমুখ যা আমাদের ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর অনুভব এনে দেয়। আমার বিশ্বাস, এবারের যোগ দিবসের জাঁকজমক আরও বেশি-বেশি মানুষকে যোগকে গ্রহণ করার জন্য নিশ্চিতভাবে অনুপ্রাণিত করবে।

 

আমার প্রিয় দেশবাসী, যখন কেউ তীর্থযাত্রায় বেরোন, তখন একটাই ভাবনা আসে মনের মধ্যে, “চলো, ডাক এসেছে”। এই ভাবনাই আমাদের ধার্মিক যাত্রার আত্মাস্বরূপ। এইসব যাত্রা 

শরীরের অনুশাসনের, মনের শুদ্ধির, পারস্পরিক প্রেম ও ভ্রাতৃত্ববোধের, ঈশ্বরের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মাধ্যম। এগুলো ছাড়া, এইসব যাত্রার আরও একটা বড় দিক আছে। এইসব ধার্মিক যাত্রা সেবার সুযোগের এক মহা-অনুষ্ঠানও বটে। যখন কোনও একটা যাত্রা হয় তখন যত মানুষ যাত্রায় বেরোন তখন তার থেকে বেশি মানুষ তীর্থযাত্রীদের সেবার কাজে যুক্ত হন। বিভিন্ন জায়গায় ভাণ্ডারা আর লঙ্গর স্থাপিত হয়। মানুষ রাস্তার পাশে জলসত্র খোলেন। সেবার ভাবনা থেকেই মেডিকেল ক্যাম্প এবং নানারকম সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়। কত মানুষ নিজের খরচে তীর্থযাত্রীদের জন্য ধর্মশালা আর থাকার ব্যবস্থা করেন।

 

বন্ধুরা, দীর্ঘ সময়ের পর আবার কৈলাস মানস সরোবর যাত্রার শুভারম্ভ হয়েছে। কৈলাস মানস সরোবর, অর্থাৎ ভগবান শিবের ভূমি। হিন্দু বৌদ্ধ জৈন প্রতিটি পরম্পরাতেই কৈলাসকে শ্রদ্ধা ও ভক্তির কেন্দ্র রূপে মানা হয়েছে। বন্ধুরা, তেসরা জুলাই থেকে পবিত্র অমরনাথ যাত্রা শুরু হতে চলেছে এবং শ্রাবণের পবিত্র মাস আসতেও আর অল্প কিছুদিনই বাকি। কয়েকদিন আগে আমরা ভগবান জগন্নাথজীর রথযাত্রাও দেখেছি। ওড়িশা, গুজরাত হোক কিংবা দেশের যে কোনো প্রান্ত - লক্ষ লক্ষ ভক্ত এই যাত্রায় শামিল হন। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম - এই যাত্রাগুলি "এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত" ভাবনার প্রতিবিম্ব। আমরা যখন শ্রদ্ধার সঙ্গে, সম্পূর্ণ সমর্পিত হয়ে এবং সকল অনুশাসন মেনে আমাদের ধর্মীয় যাত্রা সম্পন্ন করি তখন তার ফলও পাওয়া যায়। আমি যাত্রায় অংশ নেওয়া সকল সৌভাগ্যশালী ভক্তদের আমার শুভকামনা জানাই। যে সকল মানুষ সেবার ভাবনা থেকে এই যাত্রাগুলিকে সফল ও সুরক্ষিত করায় যুক্ত আছেন তাদেরও আমি অভিনন্দন জানাই।

 

আমার প্রিয় দেশবাসী, এবারে আপনাদের আমি দেশের এমন দুটি কৃতিত্ব অর্জনের বিষয়ে বলতে চাই যা আপনাদের গর্বে ভরিয়ে তুলবে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এই সাফল্যগুলির বিষয়ে আলোচনা করছে। WHO অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ILO অর্থাৎ ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন দেশের এই সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। প্রথম কৃতিত্বটি আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত। আপনাদের মধ্যে অনেকেই চোখের একটি অসুখের কথা নিশ্চয়ই শুনেছেন - ট্রাকোমা (Trachoma)। এই রোগটি ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে হয়। একটা সময় দেশের বহু অংশে এই রোগের যথেষ্ট প্রকোপ ছিল। গুরুত্ব না দিলে এই রোগে ধীরে ধীরে দৃষ্টিও চলে যেতে পারত। আমরা সংকল্প নিয়েছিলাম যে ট্রাকোমাকে নির্মূল করব। আপনাদের এ কথা জানাতে আমার অত্যন্ত আনন্দ হচ্ছে যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ WHO ভারতকে "ট্রাকোমা ফ্রি" ঘোষণা করেছে। ভারত এখন ট্রাকোমা মুক্ত দেশ হয়ে উঠেছে। এটা সেই লক্ষ লক্ষ মানুষের পরিশ্রমের ফল যারা নিরন্তর, ক্লান্তিবিহীন ভাবে এই রোগের সঙ্গে লড়াই করেছেন। এই সাফল্য আমাদের হেলথ ওয়ার্কার্সদের। এই রোগ দূর করার ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ভারত অভিযানও বিশেষভাবে সাহায্য করেছে। জল জীবন মিশনেরও এই সাফল্যে বড় অবদান রয়েছে। আজ ঘরে ঘরে নল বাহিত পরিষ্কার জল পৌঁছে যাওয়ায় এ ধরনের রোগগুলির বিপদ কমেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO-ও এই বিষয়টির প্রশংসা করেছে যে ভারত রোগ নির্মূল করার পাশাপাশি তার মূল কারণগুলিকেও দূর করেছে।

 

বন্ধুরা এখন ভারতের বেশিরভাগ মানুষই কোনো না কোনো Social Protection benefits থেকে লাভবান হচ্ছেন এবং সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন- অর্থাৎ ILO-র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা রিপোর্ট সামনে এসেছে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ভারতের ৬৪ শতাংশ-এর বেশি মানুষ এখন কোন না কোন সোশ্যাল প্রটেকশন বেনিফিটস অবশ্যই পাচ্ছেন। সামাজিক সুরক্ষা- এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় coverage গুলোর মধ্যে একটি। এখন দেশের প্রায় ৯৫ কোটি মানুষ কোন না কোন social security যোজনার সুবিধা পাচ্ছেন, যেখানে ২০১৫ পর্যন্ত ২৫ কোটিরও কম মানুষের কাছে সরকারি যোজনা গুলো পৌঁছতো।

বন্ধুরা, ভারতে স্বাস্থ্য ক্ষেত্র থেকে শুরু করে সামাজিক সুরক্ষা পর্যন্ত প্রত্যেক ক্ষেত্রেই দেশ সম্পৃক্তকরণ-এর ভাবনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। এটা সামাজিক ন্যায়ের একটা সুন্দর চিত্রও বটে। এই সাফল্য একটা বিশ্বাস জাগিয়েছে যে সামনে যে সময় আসছে তা আরো সুন্দর হবে, প্রতি পদে ভারত আরো শক্তিশালী হবে।

 

আমার প্রিয় দেশবাসী, জন-অংশগ্রহণের শক্তি দিয়ে বড় বড় সংকটের মোকাবিলা করাও সম্ভব। আমি আপনাদের একটা অডিও শোনাচ্ছি, এই অডিওর মধ্যে দিয়ে আপনাদের সেই সংকটের ভয়াবহতা সম্পর্কে একটা ধারণা পাবেন । সেই সংকট কতটা বড় ছিল প্রথমে শুনুন এবং ধারণা করুন। 

 

অডিও-- মোরারজি ভাই দেশাই--

এই যে দু'বছর ধরে নিপীড়ন হলো, এই নিপীড়ন তো পাঁচ সাত বছর আগেই শুরু হয়ে গেছিল। কিন্তু তা শিখরে পৌঁছেছে এই দু বছরে, যখন জরুরী-অবস্থা মানুষের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে এবং মানুষের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। মানুষের স্বাধীনতার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে, সংবাদপত্রের কোনো স্বাধীনতা আর নেই। বিচার-ব্যবস্থাকে অত্যন্ত দুর্বল করে দেয়া হয়েছে। আর যেভাবে এক লাখেরও বেশি মানুষকে জেলে বন্দী করে যে যথেচ্ছাচার শাসক পক্ষের তরফ থেকে হলো সেই দৃষ্টান্ত পৃথিবীর ইতিহাসে মেলা ভার।

 

বন্ধুরা, এই কণ্ঠস্বর আমাদের দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোরারজি ভাই দেশাই-এর। তিনি সংক্ষেপে, কিন্তু অত্যন্ত স্পষ্ট ভাবে জরুরী-অবস্থা সম্পর্কে বললেন। আপনারা কল্পনা করতেই পারছেন সেই সময়টা কেমন ছিল! জরুরী-অবস্থা ঘোষণাকারীরা শুধুমাত্র আমাদের সংবিধানের হত্যা করেননি তার সঙ্গে চেয়েছিলেন বিচার ব্যবস্থাকে নিজের দাসত্বে পরিণত করার। এই সময় মানুষকে খুব বড়সড়ভাবে প্রতারিত করা হয়েছিল। এমন আরো অনেক দৃষ্টান্ত আছে যেগুলো কখনোই ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। জর্জ ফার্নান্ডেজ সাহেবকে শৃংখলে আবদ্ধ করা হয়েছিল। অনেক মানুষকে অত্যন্ত কঠিন যাতনা দেয়া হয়েছিল।

 

MISA-র আওতায়, যাকে খুশি গ্রেফতার করা হত। ছাত্রদেরও হয়রান করা হত। মত প্রকাশের স্বাধীনতাও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।

   বন্ধুরা, ঐসময় যে হাজার হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়, তাদের উপর এরকমই অমানবিক অত্যাচার করা হয়েছিল। কিন্তু ভারতীয় জনতার শক্তি এতোটাই যে, তারা নুয়ে পড়েনি, ভেঙে পড়েনি, আর গণতন্ত্রের সঙ্গে কোনো আপোষ তারা মেনে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত জনতা জনার্দন এর জয় হয়, জরুরী অবস্থা তুলে নেওয়া হয়, এবং জরুরী অবস্থা যারা চাপিয়ে দিয়েছিল তারা হেরে যায়। বাবু জগজীবন রাম জি এই বিষয়ে জোরালো ভাবে নিজের মতামত ব্যাক্ত করেছিলেন ।

 

#অডিও#

 

ভাই ও বোনেরা, বিগত নির্বাচন, নির্বাচন ছিলনা। এটি ছিল ভারতের জনতার এক মহান অভিযান - ওই সময়ের পরিস্থিতির পরিবর্তন আনার, স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটানোর এবং ভারতে প্রজাতন্ত্রের ভিতকে মজবুত করা।

 

অটলজিও নিজের মতো করে এই বিষয়ে যা বলেছেন, তা আমাদের অবশ্যই শোনা উচিত,

 

#অডিও#

  ভাই ও বোনেরা, দেশে যা কিছুই হয়েছে, তাকে শুধুই নির্বাচন বলা যায়না। এক শান্তিপূর্ণ বিপ্লব হয়েছে। জনশক্তির প্রবাহ প্রজাতন্ত্রের হত্যাকারীদের ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে।

 

বন্ধুরা, দেশে জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে কিছু দিন আগেই। আমরা দেশবাসীরা সংবিধান হত্যা দিবস পালন করেছি।আমাদের সর্বদা ওই সমস্ত মানুষদের মনে রাখা উচিত, যারা সাহসের সঙ্গে জরুরি অবস্থার মোকাবিলা করেছিলেন। এর থেকে আমাদের সংবিধানকে সর্বদা শক্তিশালী রাখার জন্য নিরন্তর সজাগ থাকার অনুপ্রেরণা পাই।

 

আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনারা একটি দৃশ্য কল্পনা করুন। সকালের রোদ পাহাড়কে ছুঁয়েছে, ধীরে ধীরে রোদের ঔজ্জ্বল্য ময়দানের দিকে এগিয়ে চলেছে, আর ওই আলোর সঙ্গেই বাড়ছে ফুটবল প্রেমীদের সংখ্যাও। সিটি বাজে এবং কিছুক্ষনের মধ্যে ময়দান হাততালি আর জয়ধ্বনিতে মুখরিত হয় । প্রত্যেক পাস, প্রত্যেক গোলের সঙ্গে দর্শকদের উৎসাহ বাড়তে থাকে। আপনি ভাবছেন এ কেমন সুন্দর জগৎ? বন্ধুরা এই দৃশ্য আসামের এক উল্লেখযোগ্য স্থান বোডোল্যান্ড-এর বাস্তবিক দৃশ্য। বোডোল্যান্ড আজ নিজের এক নতুন রূপ নিয়ে দেশের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে । এখানকার যুবদের মধ্যে যে শক্তি আছে, যে আত্মবিশ্বাস আছে, তা ফুটবলের ময়দানে সবথেকে বেশি দেখা যায়। বোডো territorial area তে Bodoland CEM Cup এর আয়োজন করা হচ্ছে । এটা শুধুমাত্র একটি টুর্নামেন্ট নয়, এটি ঐক্য আর আশার উৎসবে রূপান্তরিত হয়েছে। ৩৭০০ এর ও বেশী টিম, প্রায় ৭০ হাজার খেলোয়াড়, আর তাতে আমাদের মেয়েদের বড় সংখ্যায় অংশগ্রহণ। এই পরিসংখ্যান বোডোল্যান্ড-এর বড় পরিবর্তনের কাহিনী শোনায়। বোডোল্যান্ড এখন দেশের খেলার মানচিত্রে, স্পোর্টস-এর ম্যাপে নিজের উপস্থিতি আরো উজ্জ্বল করে তুলছে

 

বন্ধুরা, একটা সময় ছিল যখন সংঘর্ষই এই অঞ্চলের পরিচয় বহন করত। তখন এখানকার যুবা বন্ধুদের জন্য পথ সীমিত ছিল। কিন্তু এখন ওদের চোখে নতুন স্বপ্ন, আর মনে স্বনির্ভরতার উৎসাহ রয়েছে। এখান থেকে তৈরি হওয়া ফুটবল খেলোয়াড়রা এখন উচ্চ স্তরে নিজেদের পরিচিতি তৈরি করছে। হোলীচরণ নার্জারী, দুর্গা বোরো, অপূর্বা নার্জারী, মনবীর বসুমাতারি, এগুলো শুধুমাত্র ফুটবল খেলোয়াড়দের নামই নয়, এঁরা সেই নতুন প্রজন্মের পরিচয় বহনকারী, যাঁরা বোডোল্যান্ডকে ময়দান থেকে রাষ্ট্রীয় মঞ্চ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ সামান্য সুযোগ-সুবিধার মধ্যেই অনুশীলন করেছেন, অনেকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে নিজেদের পথ তৈরি করেছেন, আর আজ এঁদের নাম উচ্চারণ করে দেশের কত ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা নিজেদের স্বপ্ন বোনা শুরু করেছে।

 

বন্ধুরা, যদি আমরা নিজেদের ক্ষমতার বিস্তার করতে চাই, তাহলে প্রথমে আমাদের নিজেদের ফিটনেস এবং ওয়েলবিইং-এর বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। আচ্ছা বন্ধুরা, ফিটনেস এর ক্ষেত্রে, ওবেসিটি কমানোর জন্য আমার একটা পরামর্শ আপনাদের মনে আছে তো! রান্নায় দশ শতাংশ তেল কম ব্যবহার করবেন, স্থূলতা কমবে। যদি আপনি ফিট থাকেন তো জীবন আরও সুপারহিট হবে।

 

আমার প্রিয় দেশবাসী, আমাদের ভারতবর্ষ যেভাবে নিজের আঞ্চলিকতা, ভাষা এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত, সেভাবেই কলা, শিল্প এবং কারিগরি নিপুণতার বৈচিত্রও আমাদের দেশের একটি বিশেষ গুণ। আপনি যে অঞ্চলেই যাবেন, সেখানকার কিছু না কিছু বিশেষ এবং স্থানীয় জিনিসের বিষয়ে জানতে পারবেন। মাঝে মাঝেই মন কী বাত অনুষ্ঠানে আমি আমাদের দেশের এমন ইউনিক প্রোডাক্টসের কথা বলি। এমনই একটি প্রোডাক্ট হল মেঘালয়ের এরি সিল্ক। কয়েকদিন আগেই এটি জি আই ট্যাগ পেয়েছে। এরি সিল্ক মেঘালয়ের একটি বিশেষ ঐতিহ্যের মত। এখানকার জনজাতির মানুষেরা বিশেষ করে খাসি জনজাতির লোকেরা অনেক প্রজন্ম ধরে এটিকে আগলে রেখেছেন এবং নিজেদের কারিগরি দক্ষতার মাধ্যমে সমৃদ্ধ করেছেন। এই সিল্কের এমন অনেক বিশেষত্ব রয়েছে যা একে অন্যান্য ফেব্রিকের থেকে আলাদা করে। সবচেয়ে অনন্য বিষয় হলো এটি তৈরীর পদ্ধতি, এই সিল্ক পাওয়ার জন্য যে রেশম পোকা এটি তৈরি করে, তাকে মেরে ফেলতে হয় না, এই কারণে একে অহিংসা সিল্কও বলা হয়।

 

বর্তমান বিশ্বে এই ধরনের product এর চাহিদা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যে গুলিতে কোনও হিংসা নেই, আর প্রকৃতির উপর কোনও বিরূপ প্রভাবও পড়ে না, তাই, মেঘালয়ের এরি সিল্ক (Eri Silk) Global Market এর জন্য একটি Perfect Product । এর আরেকটি বিশেষ গুণ হলো, এই Silk শীতের সময় আপনাকে উষ্ণ রাখে এবং গ্রীষ্মে ঠান্ডা রাখে। এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যটি এটিকে বেশিরভাগ অঞ্চলের জন্য গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। মেঘালয়ের মহিলারা এখন self help group এর মাধ্যমে এই ঐতিহ্যটিকে আরও বিরাট স্তর এ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমি মেঘালয়ের মানুষদের এরি সিল্কের G I ট্যাগ পাওয়ার জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি আপনাদের সকলের কাছে আবেদন করছি, আপনারা অবশ্যই এরি সিল্ক দিয়ে তৈরি পোশাক try করে দেখুন এবং হ্যাঁ – খাদি, handloom handicraft , Vocal for Local, এই বিষয়গুলোও আপনাদের সবসময় মনে রাখতে হবে। যদি গ্রাহকরা কেবল ভারতে তৈরি product ই কেনেন, আর ব্যবসায়ীরা কেবল ভারতে তৈরি product ই বিক্রি করেন, তাহলে ‘আত্ম-নির্ভর ভারত অভিযানে' নতুন শক্তি সঞ্চারিত হবে ।

 

আমার প্রিয় দেশবাসী, women led development এর মন্ত্র ভারতের নতুন ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য প্রস্তুত। আমাদের মা, বোন এবং কন্যারা কেবল নিজেদের জন্য নয়, বরং সমগ্র সমাজের জন্য নতুন দিশা তৈরি করছেন। তেলেঙ্গানার ভদ্রাচলমের মহিলাদের সাফল্যের কথা জানলে আপনাদেরও ভালো লাগবে। এই মহিলারা একসময় ক্ষেত মজুর ছিলেন। তাঁরা রুজি রুটির জোগাড় করার জন্য দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করতেন। আর সেই মহিলারাই আজ মিলেটস শ্রী অন্ন থেকে biscuit তৈরি করছেন। ‘ভদ্রাদ্রী মিলেট ম্যাজিক’ নামে এই বিস্কুটগুলি হায়দ্রাবাদ থেকে লন্ডনে যাচ্ছে। ভদ্রাচলমের এই মহিলারা Self Help group এ যোগদান করে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

বন্ধুরা, এই মহিলারা আরও একটি প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। এঁনারা ‘গিরী স্যানিটারি প্যাড’ তৈরি শুরু করেছেন। মাত্র তিন মাসে প্রায় ৪০,০০০ প্যাড উৎপাদন করে আশেপাশের স্কুল এবং অফিসে পৌঁছে দিয়েছেন, তাও সেটা অনেক কম মূল্যে।

 

বন্ধুরা, কর্ণাটকের কালবুর্গির মহিলাদের সাফল্যও অসাধারণ। তাঁরা জোয়ারের রুটিকে একটি ব্র্যান্ডএ পরিণত করেছেন। তাঁদের গঠিত সমবায় প্রতিদিন ৩০০০-এরও বেশি রুটি তৈরি করছে। এই রুটির সুবাস এখন আর কেবল গ্রামেই সীমাবদ্ধ নেই। বেঙ্গালুরুতে একটি বিশেষ কাউন্টার খোলা হয়েছে। অনলাইন ফুড প্ল্যাটফর্মে অর্ডার আসছে। কালবুর্গির রুটি এখন বড় বড় শহরের 

 

 

রান্নাঘরেও পৌঁছে যাচ্ছে। এর ফলে এই মহিলাদের ওপর চমৎকার প্রভাব পড়েছে, তাঁদের আয় বাড়ছে।

বন্ধুরা, বিভিন্ন রাজ্যের এই গল্পগুলিতে বিভিন্ন উদাহরণ রয়েছে, কিন্তু তাঁদের ঔজ্জ্বল্য একই। এই ঔজ্জ্বল্য আত্মবিশ্বাসের, আত্মনির্ভরতার। এমনই একটি উদাহরণ হলেন মধ্যপ্রদেশের সুমা উড়কে। সুমাজির প্রচেষ্টা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি বালাঘাট জেলার কাটাঙ্গি ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে যোগ দিয়ে মাশরুম চাষ ও পশুপালনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি স্বনির্ভরতার পথ খুঁজে পান। সুমা উড়কের আয় যখন বাড়লো, তখন তিনি তাঁর কাজ আরও বিস্তৃত করলেন। ছোট্ট প্রচেষ্টায় শুরু হওয়া এই যাত্রা এখন "দিদি ক্যান্টিন" এবং "থার্মাল থেরাপি সেন্টার পর্যন্ত" পৌঁছে গেছে। দেশের প্রতিটি কোণে, এমন অসংখ্য মহিলারা নিজেদের এবং দেশের ভাগ্য পাল্টে ফেলছেন।

আমার প্রিয় দেশবাসী, সম্প্রতি ভিয়েতনাম থেকে অনেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে তাঁদের বার্তা পাঠিয়েছেন। এই বার্তাগুলির প্রতিটি লাইনে সম্মান ছিল, আত্মতীয়তা ছিল। তাঁদের অনুভূতি হৃদয়স্পর্শী ছিল। তাঁরা ভগবান বুদ্ধের পবিত্র দেহাবশেষ অর্থাৎ relics দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন। তাঁদের কথায় যে আবেগ ছিল, তা যে কোনো প্রথাগত ধন্যবাদের চেয়েও বেশি। বন্ধুরা, মূলত ভগবান বুদ্ধের এই পবিত্র দেহাবশেষগুলি অন্ধ্রপ্রদেশের পালনাডু জেলার নাগার্জুনকুন্ডে আবিষ্কৃত হয়েছিল। এই স্থানটির বৌদ্ধধর্মের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বলা হয় যে একসময় শ্রীলঙ্কা এবং চীন সহ দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এই স্থানে আসতেন।

বন্ধুরা, গত মাসে ভগবান বুদ্ধের এই পবিত্র দেহাবশেষগুলি ভারত থেকে ভিয়েতনামে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানকার ৯টি ভিন্ন স্থানে জনসাধারণের দর্শনের জন্য এগুলি রাখা হয়েছিল। ভারতের এই উদ্যোগ ভিয়েতনামের জন্য একটি জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছিল। আপনারা কল্পনা করতে পারেন যে, প্রায় ১০ কোটি জনসংখ্যার ভিয়েতনামে, দেড় কোটিরও বেশি মানুষ ভগবান বুদ্ধের পবিত্র দেহাবশেষগুলি দর্শন করেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমি যে ছবি এবং ভিডিওগুলি দেখেছি সেটি আমায় উপলব্ধি করিয়েছে যে ভক্তির কোনও সীমা হয়না। বৃষ্টি হোক বা প্রচণ্ড রোদ, মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। শিশু, বৃদ্ধ, দিব্যঙ্গজন, সকলেই ভক্তিভাবে বিভোর ছিলেন। ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি, উপ-প্রধানমন্ত্রী, বরিষ্ঠ মন্ত্রীরা, সকলেই প্রণাম করেছিলেন। ভারতের এই উদ্যোগের প্রতি সেখানকার জনগণের মধ্যে শ্রদ্ধার অনুভূতি এতটাই গভীর ছিল যে ভিয়েতনাম সরকার এটিকে আরও ১২ দিন বাড়ানোর অনুরোধ করেছিলেন এবং ভারত সানন্দে তা গ্রহণও করেছিল।

 

বন্ধুরা ভগবান বুদ্ধের চিন্তাধারায় এমন শক্তি আছে যা বিভিন্ন দেশ, সংস্কৃতি ও মানুষকে এক সূত্রে বেঁধে রাখে। এর আগে ভগবান বুদ্ধের পবিত্র দেহাবশেষ Thailand ও Mongolia - এ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আর সেখানেও শ্রদ্ধার এরকমই ভাব দেখা গিয়েছিলো। আমার আপনাদের সকলের কাছে আবেদন যে আপনারা নিজেদের রাজ্যের বৌদ্ধ - স্থল গুলির দর্শন অবশ্যই করুন। এতে একটি আধ্যাত্মিক অনুভব হবে এবং আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত হওয়ারও একটা সুন্দর উপলক্ষ তৈরী হবে। 

 

আমার প্রিয় দেশবাসী, এই মাসে আমরা সকলে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করেছি। আপনাদের হাজার হাজার চিঠি পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি নিজেদের আশেপাশের এমন বিশেষ মানুষের কথা উল্লেখ করেছেন যারা নিজেরা একাই পরিবেশ বাঁচানোর জন্য বেরিয়ে পড়েছিলেন আর তারপর তাদের সঙ্গে পুরো সমাজ যুক্ত হয়েছে। প্রত্যেকের এই যোগদান আমাদের ধরিত্রির জন্য এক বিরাট শক্তি হয়ে উঠেছে। পুনের শ্রী রমেশ খারমালেজী, তাঁর কাজের কথা শুনে আপনিও অনুপ্রাণিত হবেন। যখন সপ্তাহের শেষে সবাই বিশ্রাম নেন, তখন রমেশজী ও তাঁর পরিবার কোদাল ও বেলচা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। জানেন কোথায়? জুন্নার পাহাড়ের দিকে। রোদের তেজ হোক বা খাড়াই পথ, তাঁদের চলা কখনও রুদ্ধ হয় না। তাঁরা ঝোপঝাড় পরিষ্কার করেন, জল সংরক্ষণের জন্য ট্রেঞ্চ খনন করেন এবং বীজ বপন করেন। মাত্র দু-মাসে তিনি ৭০টি ট্রেঞ্চ খনন করে ফেলেছেন! রমেশজী অনেক ছোট ছোট জলাশয় তৈরি করেছেন, শতাধিক গাছও লাগিয়েছেন। তিনি একটি ‘অক্সিজেন পার্ক’-এর কাজও শুরু করেছেন। এর ফলস্বরূপ, এখন সেখানে আবার পাখিরা ফিরে আসছে, এবং বন্য জীবনে নতুন প্রাণ সঞ্চার হচ্ছে ।

 

বন্ধুরা, পরিবেশের জন্য আরেকটি সুন্দর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে গুজরাটের আহমেদাবাদ শহরে। এখানকার পৌরসভা ‘Mission for Million Trees’ নামে একটি অভিযান শুরু করেছে। লক্ষ্যে হলো - লাখ লাখ গাছ লাগানো। এই অভিযানের একটি বিশেষ দিক হল ‘সিঁদুর বন’। ‘অপারেশন সিন্দূর’-এর বীর যোদ্ধাদের এই বন উৎসর্গ করা হয়েছে। সিন্দূর বনের চারা গুলি সেই বীর সেনানীদের স্মরণে লাগানো হচ্ছে, যাঁরা দেশের জন্য সব কিছু উৎসর্গ করেছিলেন।

 

এখানে আরো এক অভিযানকে নতুনভাবে গতিশীল করা হয়েছে - "এক পেড মা কে নাম" দেশে কোটি কোটি গাছ লাগানো এই অভিযানের অন্তর্গত আপনিও আপনার গ্রামে বা শহরে এই অভিযান চলছে তাতে অবশ্যই অংশগ্রহণ করুন। গাছ লাগান, জল বাঁচান, পৃথিবীর সেবা করুন কারণ যখন আমরা প্রকৃতিকে রক্ষা করি তখন আসলে আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে সুরক্ষিত করি।

 

বন্ধুরা, মহারাষ্ট্রের একটি গ্রামও এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত গড়ে তুলেছে। ছত্রপতি সম্ভাজি নগর জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত 'পাটোদা'। এটি একটি কার্বন নিউট্রল গ্রাম পঞ্চায়েত। এই গ্রামে কেউ নিজের বাড়ির আবর্জনা বাইরে ফেলে না। সব বাড়িতেই আবর্জনা একত্রিত করার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে দূষিত জল শোধনেরও ব্যবস্থা রয়েছে। এখান থেকে শোধন না হয়ে কোন জল নদীতে যায় না। এখানে ঘুঁটে দিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয় ও তার ছাই ব্যবহার করে প্রয়াত ব্যক্তির নামে গাছ লাগানো হয়। এই গ্রামের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা দেখার মতন। ছোট ছোট অভ্যেস যখন সর্বজনীন সংকল্পে পরিণত হয় তখন বড় পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।

 

আমার প্রিয় বন্ধুরা, এই সময় সবার নজর আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের দিকেও রয়েছে। ভারত এক নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে। আমার গতকাল গ্রুপ ক্যাপ্টেন সুভাংশু শুক্লার সঙ্গে কথা হয়েছে। আপনিও সুভাংশুর সঙ্গে আমার কথোপকথন অবশ্যই শুনে থাকবেন। এখন সুভাংশুকে আরো বেশ কয়েকদিন আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে থাকতে হবে। আমরা এই মিশন সম্পর্কে আরো আলোচনা করব, কিন্তু 'মন কি বাতের' পরবর্তী পর্বে।

 

এবার সময় হয়েছে, এই পর্বে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার। কিন্তু বন্ধুরা, যাওয়ার আগে আমি আপনাদের এক গুরুত্বপূর্ণ দিন সম্পর্কে মনে করিয়ে দিতে চাই। পরশু অর্থাৎ ১লা জুলাইতে আমরা দুই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পেশাকে সম্মান জানাই, ডাক্তার ও সি এ। এরা দুজনেই সমাজের এমন এক স্তম্ভ যা আমাদের জীবনযাপনকে উন্নত করে। ডাক্তার আমাদের স্বাস্থ্যের রক্ষক এবং সিএ বা চার্টার্ড একাউন্টেন্ট আমাদের আর্থিক জীবনের পথ প্রদর্শক। আমার সমস্ত ডাক্তার ও চার্টার্ড একাউন্টেন্টদের অনেক অনেক শুভকামনা।

 

বন্ধুরা, আপনাদের পরামর্শের অপেক্ষায় আমি সর্বক্ষণ থাকি। 'মন কি বাতের' পরবর্তী পর্ব আপনাদের এইসব পরামর্শে আরো সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। আবার কথা হবে নতুন বিষয় নিয়ে, নতুন অনুপ্রেরণা নিয়ে, দেশবাসীর নতুন সাফল্যের খতিয়ান নিয়ে। অনেক অনেক ধন্যবাদ, নমস্কার।


(Release ID: 2140543)