শিল্পওবাণিজ্যমন্ত্রক
পিএম গতিশক্তির আওতায় নেটওয়ার্ক পরিকল্পনা গোষ্ঠীর ৯৫ তম বৈঠকে মূল পরিকাঠামো প্রকল্পগুলির মূল্যায়ণ করা হয়েছে
Posted On:
12 JUN 2025 7:52PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১২ জুন , ২০২৫
নেটওয়ার্ক পরিকল্পনা গোষ্ঠী (এনপিজি)-র ৯৫ তম বৈঠকে মেট্রো রেল, সড়ক, পরিবহণ ও মহাসড়ক এবং লজিস্টিক পার্কের পরিকাঠামো প্রকল্পগুলির মূল্যায়ন করা হয়েছে। এই বৈঠকে পিএম গতিশক্তি জাতীয় মাস্টার প্ল্যান (পিএমজিএস এনএমপি)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে মাল্টিমোডাল সংযোগ ও লজিস্টিক দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর আলোকপাত করা হয়।
এনপিজি বৈঠকে একটি মেট্রো রেল প্রকল্প, ২টি সড়ক এবং ২ টি লজিস্টিক পার্কের বিষয়ে মূল্যায়ন করা হয়েছে। এগুলি সমন্বিত মাল্টিমোডাল পরিকাঠামোর মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে শেষ প্রান্ত পর্যন্ত যোগাযোগ গড়ে তুলবে। আন্তঃমোডাল সমন্বয়ে পিএম গতিশক্তি নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এই উদ্যোগগুলি লজিস্টিক দক্ষতা বৃদ্ধি করবে, যাতায়াতের সময় কমাবে এবং সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক সুবিধা প্রদান করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রক কোটেশ্বর মেট্রো স্টেশন থেকে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্য আমেদাবাদ মেট্রোকে ৬.০৩২ কিলোমিটার সম্প্রসারণের পরিকল্পনার প্রস্তাব দিয়েছে। এই কৌশলগত সম্প্রসারণ শহরে যাতায়াতের গতি বৃদ্ধি করবে। ফলে নিত্যযাত্রী, বিমানবন্দর কর্মী এবং শহরের বাসিন্দাদের বিমানবন্দরে যাতায়াতে সময় কমবে। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্যই হল যানজটের সমস্যা দূর করা, যাতায়াতের সময় কমানো এবং গণ পরিবহণের ব্যবহারে উৎসাহ জোগানো। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, আমেদাবাদ পৌর নিগম, আমেদাবাদ নগরোন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, নগরোন্নয়ন ও নগর আবাসন বিষয়ক বিভাগ, আমেদাবাদ জনমার্গ লিমিটেড, এএমটিএস, সবরমতি রিভারফ্রন্ট ডেভলমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড এই পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। প্রস্তাবিত মেট্রো প্রকল্পটি আমেদাবাদ এবং গান্ধীনগরের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করবে এবং সুস্থায়ী নগরোন্নয়নের পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন ও দ্রুত যাতয়াতের সুবিধা প্রদান করবে।
সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক মহারাষ্ট্রের আসন্ন বধবন বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য এনএইচ-২৪৮ এস বরাবর ৮ লেনের সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা প্রস্তাব দিয়েছে। এই কৌশলগত পরিকাঠামোর লক্ষ্য হল দ্রুত পণ্য পরিবহণের সুবিধা নিশ্চিত করা এবং আগামী দিনে এই বন্দরটিকে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা। প্রথম পর্যায়ে এই বন্দরে ১৫ মিলিয়ন টিইইউ-এর কন্টেইনার পণ্য পরিবহণে সক্ষম করে তোলা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে তা ২৩.২ মিলিয়ন টিইইউ-এ সম্প্রসারণে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৫৭,৩২৯ টি যাত্রীবাহী গাড়ি ইউনিট (পিসিইউ) চলাচল করবে এখানে। একসঙ্গে প্রচুর মালবাহী কন্টেইনার নিয়ে যাওয়ার সুবিধার জন্য এর সঙ্গে সংযুক্ত রেল ও সড়ক করিডর তৈরি করা হচ্ছে। মূল অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে ১২ কিলোমিটার মুম্বই-দিল্লি পশ্চিম রেলপথ, ২১ কিলোমিটার দিল্লি- মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ে (এনই-৪) এবং ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪৮ নম্বর জাতীয় মহাসড়ক (এনএইচ ৪৮) সম্প্রসারণ। এই প্রকল্পগুলি দিল্লি- মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ে এবং এনএইচ ৪৮ – এর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করবে। ফলে আগামী দিনে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য একটি কৌশলগত প্রবেশদ্বার হিসেবে বধবন বন্দরের ভূমিকাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রক যোধপুর শহরে মহামন্দির থেকে আখালিয়া চৌরাহা পর্যন্ত বিস্তৃত একটি ৪ লেনের এলিভেটেড করিডর নির্মাণের পরিকল্পনার প্রস্তাব দিয়েছে। এনএইচ ৬২ এবং এনএইচ ১২৫ বরাবর কৌশলগতভাবে সংযুক্ত এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল রাজস্থানের ব্যস্ততম শহর করিডরগুলির মধ্যে যানজটের সমস্যা দূর করা এবং শহরে যাতায়াতের গতি বৃদ্ধি করা। এর পাশাপাশি মন্ত্রক তেলেঙ্গানায় মেদক জেলার মনোহরাবাদ মন্ডলের পারকিবন্দা গ্রামে একটি মাল্টিমোডাল লজিস্টিক পার্ক তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে। ৩১৫ একর জমিতে এই পার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্য হল নির্বিঘ্নে পণ্য পরিবহণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা। একই সঙ্গে মন্ত্রক বিহারের পাটনা জেলায় ফতুয়া তালুকায় অবস্থিত জৈতিয়া গ্রামে আরও একটি মাল্টিমোডাল লজিস্টিক পার্ক তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে। ১০৬.১৯ একর জায়গা জুড়ে এই পার্ক গড়ে তোলা হবে। পাটনা বিমানবন্দর থেকে ৩০ কিলোমিটার, আইএসবিটি পাটনা (জিরো মাইল) থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে গড়ে উঠতে চলা এই লজিস্টিক পার্ক আগামী দিনে একটি শক্তিশালী মাল্টিমোডাল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। পাটনা – গয়া রেললাইনের কাছে (৯ কিলোমিটার দূরে) এই মাল্টিমোডাল লজিস্টিক পার্ক এনএইচ ১৩১ জি, এনএইচ ৩১, এনএইচ ১৩৯, এনএইচ ২২, এনএইচ ১১৯ ডি এবং রাজ্য মহাসড়ক – ১ (এসএইচ ১) এর মাধ্যমে প্রধান পণ্যবাহী করিডরগুলিতে সরাসরি প্রবেশাধিকারের সুযোগ করে দেবে। এই রুটগুলি পার্কটিকে পাটনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলির সঙ্গে যুক্ত করবে।
শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য উন্নয়ন বিভাগ (ডিপিআইআইটি) বিভাগের যুগ্ম সচিব শ্রী পঙ্কজ কুমারের পৌরোহিত্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
SC/ SS/SG
(Release ID: 2136152)