নয়াদিল্লি, ২৮ মে, ২০২৫

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে অর্থনৈতিক বিষয়ক কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট কমিটি ভারতীয় রেলপথে যাত্রী এবং পণ্য উভয়েরই নির্বিঘ্ন ও দ্রুত পরিবহণ সুনিশ্চিত করার জন্য দুটি মাল্টি ট্র্যাকিং প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। 

এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে, রতলাম-নাগদা তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন এবং ওয়ার্ধা-বলহারশাহ চতুর্থ লাইন। 

এই প্রকল্পগুলির মোট আনুমানিক ব্যয় ৩,৩৯৯ কোটি টাকা। ২০২৯-৩০ সালের মধ্যে এর কাজ সম্পন্ন হবে। 

বহুমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য পিএম গতিশক্তি জাতীয় মাস্টার প্ল্যানের অঙ্গ হিসেবে এই প্রকল্পগুলি গড়ে তোলা হচ্ছে। সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে এটি সম্ভব হয়েছে। এতে যাত্রী, পণ্য ও পরিষেবার জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ প্রদান করবে। 

মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশে ৪টি জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করে এই দুটি প্রকল্প ভারতীয় রেলে বর্তমান নেটওয়ার্ককে প্রায় ১৭৬ কিলোমিটার বৃদ্ধি করবে। 

প্রস্তাবিত মাল্টি ট্র্যাকিং প্রকল্প প্রায় ৭৮৪টি গ্রামের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে, যেখানে জনসংখ্যা প্রায় ১৯.৭৪ লক্ষ রয়েছে। 

কয়লা, সিমেন্ট, জিপসাম, ফ্লাইঅ্যাশ, কন্টেইনার, কৃষিপণ্য এবং পেট্রোলিয়াম পণ্যের মতো পণ্য পরিবহনের জন্য এগুলি অপরিহার্য রুট। এই কাজ সম্পন্ন হলে বার্ষিক ১৮.৪০ মিলিয়ন টন অতিরিক্ত মাল পরিবহণ সম্ভব হবে। পরিবেশ বান্ধব এবং শক্তি সাশ্রয়ী পরিবহন ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছে রেল। এতে পরিবেশ যেমন রক্ষা পাবে তেমনই দেশের পণ্য পরিবহনে খরচ কমবে। একইসঙ্গে ২০ কোটি লিটার তেল আমদানি এবং ৯৯ কোটি কেজি কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমণ হ্রাস পাবে, যা ৪ কোটি গাছ লাগানোর সমতুল্য।

এই প্রকল্পগুলি নির্মাণের সময় প্রায় ৭৪ লক্ষ কর্মদিবসের মাধ্যমে সরাসরি কর্মসংস্থানও তৈরি করবে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নতুন ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এই প্রকল্পগুলি যা সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মানুষকে আত্মনির্ভর করে তুলতে সাহায্য করবে, পাশাপাশি ওই অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করবে। 

SC/SS/NS…