ভূ-বিজ্ঞানমন্ত্রক
রাষ্ট্রসংঘের তৃতীয় মহাসাগর সম্মেলনের আগে ভারতের আয়োজনে ‘দ্বিতীয় ব্লু টকস’
Posted On:
21 MAY 2025 12:15PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২১ মে, ২০২৫
ভারত সরকারের ধরিত্রী বিজ্ঞান মন্ত্রক (মিনিস্ট্রি অফ আর্থ সায়েন্সেস-এমওইএস)
২০ মে ২০২৫ তারিখে নতুন দিল্লির লোধি রোডে পৃথ্বী ভবনে ফ্রান্স এবং কোস্টারিকা দূতাবাসের সঙ্গে যৌথভাবে ‘দ্বিতীয় ব্লু টকস’-এর আয়োজন করলো। এই বৈঠক জুন ৯-১৩ ২০২৫ ফ্রান্সে হতে চলা রাষ্ট্রসংঘের তৃতীয় মহাসাগর সম্মেলন(থার্ড ইউনাইটেড নেশনস ওশ্যান্স কনফারেন্স-ইউএনওসি৩)-এর আগে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
২০২৪-এ প্রথম ব্লু টকস-এর আলোচনার ওপর ভিত্তি করে এই বৈঠকে মত-বিনিময় করেন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, নীতি প্রণেতা, সরকারী প্রতিনিধি, গবেষক এবং বিভিন্ন মহলের প্রতিনিধিরা। সাগরাঞ্চলের সংরক্ষণ এবং সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে ইউএনওসি৩-র সম্ভাব্য আলোচ্য বিষয়গুলি নিয়ে সেখানে বিশদ পর্যালোচনা হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ভারতের ধরিত্রী বিজ্ঞান মন্ত্রকের সচিব ডঃ এন রবিচন্দ্রন। যৌথ সভাপতিত্বে ছিলেন, কোস্টারিকার রাষ্ট্রদূত নেস্টার বালটোডানো ভার্গাস এবং ফ্রান্সের ডেপুটি হেড অফ মিশন দামিয়েন সৈদ।
ডঃ এন রবিচন্দ্রন ধারাবাহিক উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে এবং রাষ্ট্রসংঘের ঘোষিত মহাসাগর দশকের কথা মাথায় রেখে সাগর অঞ্চলের সম্পদ মানচিত্রায়ণ, উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং উপযুক্ত নীতি প্রণয়নের কথা বলেন- যাতে পরবর্তীকালে সামুদ্রিক ব্যবস্থাপনা দক্ষ করে তোলার মানব সম্পদ তৈরি হয়ে উঠে। এই বৈঠকের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন ফ্রান্স ও কোস্টারিকার প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানে ধরিত্রী বিজ্ঞান মন্ত্রক একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করে। সেখানে ভারতের সামুদ্রিক সম্পদের গুরুত্ব এবং অর্থনৈতিক বিকাশে তার ভূমিকার কথা তুলে ধরা হয়েছে। বিষয়টি ২০৪৭ নাগাদ বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে শ্বেতপত্রে। উঠে এসেছে জি-২০ সভাপতিত্বের সময় ভারতের প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি ও দিশা নির্দেশের বিষয়গুলিও। মহিলাদের নেতৃত্বাধীন সামুদ্রিক উদ্ভিদ চাষ, বন্দরের যথাযথ উন্নয়ন এবং পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতিতে জাহাজ পুনর্নিমাণের প্রাসঙ্গিকতাও উঠে এসেছে প্রতিবেদনটিতে।
SC/ AC/AG
(Release ID: 2130200)