নতুন দিল্লি, ১৭ মার্চ, ২০২৫

দেশের প্রতিটি গ্রামীণ পরিবারে নিয়মিত ও দীর্ঘ মেয়াদে পর্যাপ্ত এবং নির্ধারিত গুণমান সম্পন্ন নলবাহিত জলের সংযোগ পৌঁছে দিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। এই লক্ষ্য পূরণে ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে রাজ্যগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্বে ভারত সরকার জল জীবন মিশনের সূচনা করে। পানীয় জল যেহেতু রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত, তাই জল জীবন মিশনের আওতায় থাকা পানীয় জল প্রকল্পগুলির পরিকল্পনা, অনুমোদন, রূপায়ণ, পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির উপর ন্যস্ত। এক্ষেত্রে ভারত সরকার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। 

২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে জল জীবন মিশনের সূচনায় দেশের মাত্র ৩.২৩ কোটি (১৬.৭১ শতাংশ) গ্রামীণ পরিবারে নলবাহিত জলের সংযোগ ছিল। আর এখন, ১২.০৩.২০২৫ পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুসারে জল জীবন মিশনের আওতায় আরও ১২.২৮ কোটি পরিবারে জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। অর্থাৎ দেশের মোট ১৯.৩৬ কোটি গ্রামীণ পরিবারের মধ্যে ১৫.৫২ কোটি (৮০.১৫ শতাংশ) পরিবারে নলবাহিত জলের সংযোগ পৌঁছে গেছে। এই সংক্রান্ত বিশদ তথ্য জল জীবন মিশনের আইএমআইএস ড্যাশবোর্ডে পাওয়া যাবে। এর লিঙ্ক হল – https://ejalshakti.gov.in/jjmreport/JJMIndia.aspx

জল জীবন মিশনের ‘হর ঘর জল’ উদ্যোগের আওতায় কোনো গ্রামে ১০০ শতাংশ নলবাহিত জলের সংযোগ দেওয়া সম্পন্ন হলে সংশ্লিষ্ট গ্রামসভায় একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে গ্রাম পঞ্চায়েত সব কিছু খতিয়ে দেখার পর রূপায়ণকারী দপ্তরকে শংসাপত্র দেয়। নলবাহিত জলের সংযোগ ঠিকভাবে কাজ করছে কি না এবং জল সরবরাহের পরিকাঠামো ঠিক মতো আছে কি না, তা নিয়মিতভাবে তদারক করার জন্য রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

২০২১-২২ সালে কার্য সম্পাদন ক্ষমতা মূল্যায়নে দেখা গেছে ৮৬ শতাংশ গ্রামীণ পরিবারে নলবাহিত জলের সংযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ৮৫ শতাংশ পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পাচ্ছেন, ৮০ শতাংশ সময় মতো জল পাচ্ছেন এবং ৮৭ শতাংশ সঠিক গুণমানের জল পাচ্ছেন। এই মূল্যায়নের বিস্তারিত বিবরণ নিচের লিঙ্কে পাওয়া যাবে – https://jaljeevanmission.gov.in/functionality-reports.

জল সরবরাহের ক্ষেত্রে যে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে, তাতে উচ্চ গুণমানের উপাদান সুনিশ্চিত করতে অর্থ প্রদানের আগে তৃতীয় পক্ষের পরিদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এজন্য রাজ্যগুলি পরিদর্শন এজেন্সির একটি প্যানেল তৈরি করবে। সেই প্যানেলভুক্ত এজেন্সিগুলি প্রতিটি প্রকল্পে সরবরাহ করা উপাদান ও যন্ত্রপাতির গুণমান খতিয়ে দেখবে। এছাড়া সেনসরের মাধ্যমে সরবরাহ করা জলের উপর নজরদারি, সুনির্দিষ্ট পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে পরিবারের কর্তার আধার সংযুক্তি, সম্পত্তিগুলির জিও ট্যাগিং প্রভৃতির সংস্থানও জল জীবন মিশনের আওতায় রয়েছে। 

স্বচ্ছতা রক্ষা ও নজরদারিতে সুবিধার জন্য একটি অনলাইন জল জীবন মিশন ড্যাশবোর্ড ও মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এতে রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে গ্রামীণ এলাকায় জলসরবরাহের জেলা ও গ্রাম ভিত্তিক অগ্রগতি দেখা যাবে। 

রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় জল শক্তি প্রতিমন্ত্রী শ্রী ভি সোমান্না এই তথ্য জানিয়েছেন।

 

SC/SD/SKD

(Release ID: 2112178)