কর্মী, জন-অভিযোগএবংপেনশনমন্ত্রক
মহিলাদের নেতৃত্বে সংস্কার : লিঙ্গ-অন্তর্ভুক্তিসম্পন্ন প্রশাসনের জন্য ডঃ জীতেন্দ্র সিং-এর প্রয়াস গতি পেয়েছে
Posted On:
16 MAR 2025 6:54PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি ১৬ মার্চ ২০২৫
সমকালীন সমাজের পরিবর্তনের ধারাকে মনে রেখে, কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতর বা ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং (ডিওপিটি) সময়ে সময়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের জীবনযাত্রা সুগম করতে বিশেষ করে মহিলা কর্মীদের বিষয়ে সংবেদনশীল হতে।
একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ডিওপিটি-র ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ডঃ জীতেন্দ্র সিং একটি উদাহরণ তুলে ধরেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে একজন বিবাহ বিচ্ছিন্না বা আলাদা থাকা কন্যা এখন মৃত পিতার অবসর ভাতা দাবি করতে পারবেন। আগেকার বিধির পরিবর্তে এখন তাঁকে মৃত বাবা-মার পারিবারিক পেনশন পেতে দীর্ঘ আইনি লড়াই চালাতে হবে না। পেনশন প্রাপকের জীবদ্দশায় যদি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা শুরু হয়ে থাকে, তাহলে এখন আদালতের চূড়ান্ত রায়ের জন্য অপেক্ষা না করেই তিনি পেনশনের সুবিধা দাবি করতে পারেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
মহিলাদের ক্ষমতায়নে, আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতা কাটাতে এবং প্রশাসনে লিঙ্গ অন্তর্ভু্ক্তিকরণ সুনিশ্চিত করতে মোদী সরকার একাধিক রূপান্তরকারী সংস্কার করেছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।
ডঃ জীতেন্দ্র সিং আরও বলেছেন যে, সমস্যাসংকুল পরিস্থিতিতে মহিলাদের আরও নিরাপত্তা দিতে সরকার যে পেনশন বিধির সংস্কার করেছে, তা বৈপ্লবিক। একজন সন্তানহীন বিধবা এখন পুনর্বার বিবাহ করতে পারেন এবং তাতেও তিনি তাঁর মৃত স্বামীর অবসর ভাতা অথবা পারিবারিক অবসর ভাতা পেয়ে যাবেন। তবে, সেক্ষেত্রে অন্য সূত্রে তাঁর উপার্জন নির্দিষ্ট সীমার নীচে থাকতে হবে। এটিকে বিধবাদের আর্থিক স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে দেখতে হবে, যেখানে আর্থিক নিরাপত্তা না হারিয়ে তাঁদের জীবন পুনর্গঠন করার অধিকার স্বীকৃত হয়েছে।
এছাড়া, বিবাহিত জীবনে বনিবনা না হলে মহিলাদের যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, সেটা বুঝে সরকার একজন মহিলা অবসর ভাতা প্রাপককে অনুমোদন দিয়েছে পারিবারিক পেনশনের জন্য তাঁর সন্তানদের মনোনীত করতে। যদি তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য মামলা করে থাকেন অথবা গার্হস্ত্য হিংসা আইন অথবা পণবিরোধী আইনে কোনো মামলা করে থাকেন। এই পদক্ষেপে ঘরোয়া সংকটের সম্মুখীন মহিলাদের আর্থিক নিরাপত্তা আরও জোরদার হচ্ছে।
এইসব সংস্কারের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে ডঃ জীতেন্দ্র সিং বলেছেন, “আমরা সামাজির রদবদলের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে একাধিক সংস্কার আনতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এবং দূরদর্শিতায় আমরা দৃঢ় এবং নিশ্চিত পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হয়েছি।”
অবসর ভাতার ক্ষেত্রে সংস্কার ছাড়াও ডিওপিটি কাজের জায়গাটিকে মহিলাদের জন্য আরও সুবিধাজনক করে তোলার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। চাইল্ড কেয়ার লিভ (সিসিএল) নীতিগুলি আরও নমনীয় করা হয়েছে। এখন সিঙ্গল মাদাররা দু’ বছর পর্যন্ত ছুটি পেতে পারেন কয়েকটি ভাগে। এমনকি তাঁরা ছুটির সময়ে সন্তানদের নিয়ে বিদেশেও বেড়াতে যাতে পারেন। এছাড়া, মাতৃত্বকালীন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে সেইসব মহিলাদেরও যাদের গর্ভপাত হয়েছে অথবা যারা মৃত শিশুর জন্ম দিয়েছেন। এতে, তাঁদের আরোগ্যের সময়ে সহায়তালাভ সম্ভব হচ্ছে। পাচ্ছেন বেতন সহ ছুটি।
ডঃ জীতেন্দ্র সিং দেশ গঠনে বিশেষ করে ২০৪৭-এ বিকশিত ভারত গড়ার অভিযানে মহিলাদের বড় ভূমিকার ওপর জোর দিয়েছেন। প্রশাসনিক এবং অর্থনৈতিক কার্যকলাপে মহিলাদের আরও বেশি সংখ্যায় অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী বলেছেন, “ভারতের উন্নয়নের যাত্রায় মহিলারা সমান অংশীদার।”
সরকার এবং প্রশাসনে মহিলাদের অংশগ্রহণে উৎসাহ দিতে সরকার বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে, যেমন ওয়ার্কিং উইমেন'স হোস্টেল, সরকারি অফিসে ক্রেশের ব্যবস্থা এবং মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে আরও বেশি করে বিপণনের সুযোগ করে দেওয়া। এইসব পদক্ষেপের লক্ষ্য মহিলারা যাতে সরকার এবং প্রশাসনে নেতৃত্ব দানের স্থানে আসতে পারেন।
ভারতের ডিজিটাল অর্থনীতি, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং প্রশাসনের নেতৃত্বদানে মহিলাদের অংশগ্রহণের পথ তৈরি করে দেওয়ার গুরুত্বকে তুলে ধরেছেন মন্ত্রী। আইটিআইগুলির আধুনিকীকরণ এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে সরকারের লক্ষ্য মহিলাদের আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আরও বেশি করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার উপযোগী করে তোলা।
লিঙ্গ-সংবেদী প্রশাসনের জন্য ডঃ জীতেন্দ্র সিং-এর প্রয়াসে প্রতিফলিত হয় অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং ক্ষমতায়নের দিকে অগ্রসর হওয়া। যেখানে ভারত ২০৪৭-এ বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছে, সেখানে এই ধরনের সংস্কারগুলি সকলের জন্য সমান সুযোগ প্রদানকারী সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে আশা করা যায়।
SC/AP/CS
(Release ID: 2111730)
Visitor Counter : 6