স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

নতুন দিল্লিতে ‘ওয়াতন কো জানো’ অনুষ্ঠানে জম্মু-কাশ্মীরের ২৫০ জন শিশুর সঙ্গে আলাপচারিতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ

Posted On: 24 FEB 2025 8:24PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

 

নতুন দিল্লিতে আজ ‘ওয়াতন কো জানো’ কর্মসূচির আওতায় জম্মু-কাশ্মীরের ২৫০ জন শিশুর সঙ্গে মতবিনিময় করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব এবং গোয়েন্দা বিভাগের নির্দেশকও উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের শিশু ও তরুণদের সামনে দেশের অগ্রগতি, সমৃদ্ধ সামাজিক বুনন, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও আত্মিক সংযোগের অনুভব তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশকে আরও গভীর ভাবে বোঝানোর লক্ষ্যে ‘ওয়াতন কো জানো’ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই দেশ আমাদের বাড়ি। আমরা যেমন আমাদের বাড়ির প্রতিটি অংশ খুব ভালো করে জানি, সেই রকম আমাদের দেশকেও গভীর ভাবে জানতে হবে। ৩৭০ ধারার বিলোপসাধন করে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সারা দেশকে একসূত্রে বেঁধেছেন, দেশের অন্যান্য রাজ্যের নাগরিকদের যে অধিকার রয়েছে, এখন কাশ্মীরের নাগরিকরাও তা ভোগ করেন। 

শ্রী শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে গত এক দশকে ভারতকে প্রগতিশীল, আধুনিক ও বিশ্বনেতা করে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আগামীদিনে সারা বিশ্বের ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষালাভের জন্য ভারতে আসবেন। সমৃদ্ধ, আধুনিক ও উন্নত ভারতের সুফল প্রত্যেক নাগরিকের কাছে পৌঁছোবে। 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জম্মু ও কাশ্মীর শিক্ষা, শিল্প, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে। বিশ্বের উচ্চতম রেলওয়ে আর্চ ব্রিজ, এশিয়ার দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ এবং দেশের একমাত্র কেবল সাসপেনশন ব্রিজ কাশ্মীরে তৈরি করা হয়েছে। ভারতের মধ্যে একমাত্র জম্মু-কাশ্মীরেই দুটি অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস) এবং দুটি ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম) রয়েছে। এছাড়াও এখানে ২৪টি বড় কলেজ এবং ৮টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। যে কাশ্মীর একসময়ে বোমা বিস্ফোরণ ও জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য কুখ্যাত ছিল, গত এক দশকে তার অভাবনীয় রূপান্তর ঘটেছে। পাথর ছোঁড়া, বোমা বিস্ফোরণ, জঙ্গী কার্যকলাপ দূর হয়েছে। স্কুলগুলিতে স্বাভাবিক পঠন-পাঠন হচ্ছে। সড়ক, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয় সহ পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত ও পুরসভা স্তরে ৩৬ হাজার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তৃণমূল স্তরের গণতন্ত্রকে মজবুত করে তুলেছেন। 

শ্রী শাহ বলেন, শান্তি না থাকলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। জঙ্গী কার্যকলাপ থেকে কারোই লাভ হয় না। গত ৩০ বছরে হিংসায় কাশ্মীরে ৩৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বর্তমানে কাশ্মীরে সাধারণ নাগরিকদের জীবনহানির হার ৮০ শতাংশ কমেছে। মানুষ এই নিয়ে অত্যন্ত খুশি। কিন্তু, সরকারের লক্ষ্য এমন এক পরিবেশ সৃষ্টি করা, যেখানে একজন সাধারণ মানুষকেও উগ্রপন্থার জন্য প্রাণ হারাতে হবে না। এই জম্মু-কাশ্মীর গড়ে তোলার দায়িত্ব সেখানকার শিশু ও যুবসমাজের রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জম্মু-কাশ্মীরের শিশুদের বলেন, সারা দেশই যে তাদের ঘর, এই চেতনা নিয়ে তারা যেন কাশ্মীরে ফেরে। জম্মু-কাশ্মীরের প্রতিটি শিশু যদি তাদের অভিভাবক ও প্রতিবেশীদের সেকথা বোঝায় এবং সকলের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ভাবে থাকতে চায়, তাহলে পুলিশ বা সেনাবাহিনীর সাহায্য ছাড়াই জঙ্গীদের নির্মূল করা সম্ভব। খুব শীঘ্রই এমন একটা দিন আসবে, যখন কাশ্মীরে কারোর হাতে আর অস্ত্র থাকবে না, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহলদারির প্রয়োজন হবে না। প্রধানমন্ত্রী মোদীর উদ্যোগে কাশ্মীরে শান্তি ফিরেছে। মোদী সরকারের উদ্যোগে স্কুল-কলেজ স্থাপন করা হয়েছে, কাশ্মীরে শিল্প এসেছে, হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে, পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং বৃহৎ পরিকাঠামো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

সমাজের দুর্বলতর শ্রেণীর মধ্য থেকে বেছে নেওয়া জম্মু-কাশ্মীরের এই ২৫০ জন শিশুর মধ্যে ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৬২টি মেয়ে এবং ১৮৮ জন ছেলে রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সহযোগিতায় জম্মু-কাশ্মীর সরকারের সামাজিক কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে ‘ওয়াতন কো জানো’ কর্মসূচির আওতায় এদের জয়পুর, আজমেঢ় ও দিল্লি ঘুরিয়ে দেখানো হয়। চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এই যাত্রায় প্রথমে তাদের জয়পুর ও আজমেঢ়-এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি তারা দিল্লিতে পৌঁছোয়। সেখানে তাদের কুতব মিনার, লালকেল্লা এবং অন্য দর্শনীয় স্থানগুলি ঘুরিয়ে দেখানো হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি তারা জম্মু-কাশ্মীরে ফিরে যাবে। 
 


SC/SD/AS


(Release ID: 2106023) Visitor Counter : 24