কৃষিমন্ত্রক
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে তৃতীয় সরকার গঠিত হওয়ার পর প্রথম ১০০ দিনে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এবং সাফল্য সম্পর্কে দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহ্বানের সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য প্রদান
Posted On:
19 SEP 2024 4:59PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহ্বান আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে তৃতীয় সরকার গঠিত হওয়ার পর প্রথম ১০০ দিনে মন্ত্রকের গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত এবং সাফল্য তুলে ধরেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব ডঃ দেবেশ চতুর্বেদী, কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা দপ্তরের সচিব এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চের মহানির্দেশক ডঃ হিমাংশু পাঠক সহ মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রী চৌহ্বান জানান, ভারতের অর্থনীতির মেরুদন্ড হিসেবে কৃষিকে বিবেচনা করা হয়। কৃষকরা দেশের কৃষি ব্যবস্থার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। ১৪০ কোটি দেশবাসীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে জানিয়েছিলেন, কৃষি এবং কৃষকদের কল্যাণে তিনি আগের থেকে তিন গুণ বেশি সময় ধরে কাজ করেন। তাই, শুধু প্রধানমন্ত্রীই নন, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের প্রত্যেকে কঠোর পরিশ্রম করেন। নতুন সরকার গঠিত হওয়ার প্রথম ১০০ দিনে কৃষকদের কল্যাণে এবং কৃষি ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে তাঁরা ৬ দফা কৌশল গ্রহণ করেছেন।
প্রথমত - কিভাবে প্রতি হেক্টর জমিতে ফসলের উৎপাদন বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে মন্ত্রক কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি ৬৫ ধরনের শস্যের ১০৯টি প্রজাতির বীজ কৃষকদের হাতে তুলে দিয়েছেন। এই বীজগুলি যে কোন পরিবেশে বেড়ে ওঠে। কৃষকরা এই বীজ ব্যবহার করে অধীক ফসল পাবেন। এছাড়াও বিভিন্ন কীট-পতঙ্গের হাত থেকে গাছগুলি রক্ষা পাবে।
দ্বিতীয়ত – কৃষিকাজের ব্যয় হ্রাস করা আর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এক্ষেত্রে কৃষকদের কাছে সস্তায় সার সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। এক ব্যাগ ইউরিয়া সারের বাজার মূল্য যেখানে ২৩৬৬ টাকা, সেখানে কৃষকদের কাছে তা ২৬৬ টাকায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও এক ব্যাগ ডিএপি সার কৃষকরা ১৩৫০ টাকা পাচ্ছেন, যার বাজার দর ২৪৩৩ টাকা। এই ১০০ দিনে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হল ডিজিটাল কৃষি মিশন। বর্তমানে কৃষকদের কাছে কৃষি সংক্রান্ত তথ্য সরাসরি পৌঁছে দিতে আধুনিক কিষাণ চৌপাল গড়ে তোলা হচ্ছে। আগামী অক্টোবর মাসে যা কার্যকর হবে। মন্ত্রী বিগত ১০০ দিনে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলি সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানান, পিএম কিষাণ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৯ কোটি ২৬ লক্ষ কৃষকের অ্যাকাউন্টে ২১ হাজার কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। এই প্রকল্পে আরও ২৫ লক্ষ কৃষক যুক্ত হয়েছেন। মন্ত্রক কৃত্রিম মেধাসম্পন্ন কিষাণ ই-মিত্র প্রকল্পের সূচনা করেছে। এই প্রকল্পে পিএম কিষাণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ছাড়াও কিষাণ ক্রেডিট কার্ড এবং পিএম ফসল বীমা সংক্রান্ত নানান খবর কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
আমদানি-রপ্তানি নীতির ক্ষেত্রে সম্প্রতি যে নীতি ঘোষিত হয়েছে তার ফলে পেঁয়াজের ক্ষেত্রে রপ্তানি মূল্য টন পিছু ৫৫০ মার্কিন ডলার ধার্য করা হয়েছে। এক্ষেত্রে রপ্তানি শুল্ক ৪০ শতাংশ নির্ধারিত হয়েছে। বাসমতি চাল আন্তর্জাতিক বাজারে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই চাল যাতে আরও বেশি করে রপ্তানি করা যায়, তার জন্য সরকার বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হয়েছে। বর্তমানে বাসমতি চালের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য টন প্রতি ৯৫০ মার্কিন ডলার ধার্য করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ভোজ্য তেল রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রচলিত বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। আবার দেশের অভ্যন্তরেও এর যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। ভোজ্য তেল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠার জন্য সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পাম তেল এবং সোয়া তেলের দাম কম থাকার ফলে দেশে উৎপাদিত তেলের বাজার খুব ভাল ছিল না। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাম তেল, সোয়া তেল এবং সূর্যমুখী তেলের আমদানি শুল্ক ৫.৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ২৭.৫ শতাংশ করা হবে। রিফাইন্ড ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে এই শুল্কের পরিমাণ ১৩.৭৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৩৫.৭৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে, দেশে উৎপাদিত বাদাম তেল এবং সরষের তেলের দাম বৃদ্ধি পাবে বলে আশাকরা যায়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী অন্নদাতা আয় সংরক্ষণ অভিযান (পিএম-আশা)-এর প্রকল্পগুলি অব্যাহত রাখার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ভালো দাম পাওয়া নিশ্চিত করতে এবং উপভোক্তারা যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর দামের ওঠা-নামার সমস্যার সম্মুখীন না হন, তারজন্য এই প্রকল্পগুলি সহায়ক হবে।
২০২৫-২৬ সময়কাল পর্যন্ত পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আওতায় এই প্রকল্পগুলির জন্য ব্যয় হবে ৩৫,০০০ কোটি টাকা। মূল্য সহায়ক প্রকল্প এবং মূল্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল এই প্রকল্পের আওতায় গড়ে তোলা হবে। এছাড়াও প্রাইস ডেফিসিট পেমেন্ট স্কিম এবং মার্কেট ইনটারভেনশন স্কিমের মাধ্যমে কৃষকরা যাতে তাঁদের উৎপাদিত ফসলের যথাযথ দাম পান, তা নিশ্চিত করা হবে। অন্যদিকে উপভোক্তারা যাতে ব্যয়সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী কিনতে পারেন, সেটিও এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে নিশ্চিত হবে।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ডালশস্য, তৈলবীজ এবং নারকোলের শাঁসের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে জাতীয় উৎপাদনের নিরিখে ২৫ শতাংশ ফসল সংগ্রহ করা হবে। তবে অড়হর, মুসুর এবং বিউলির ডালের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ১০০ শতাংশই থাকবে।
সরকার কৃষকদের থেকে এগুলি সংগ্রহ করার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ৪৫,০০০ কোটি টাকা ধার্য করেছে। এরফলে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর, কৃষকদের থেকে আরও অধিক পরিমাণে ডালশস্য তৈলবীজ এবং নারকোলের শাঁস সংগ্রহ করতে পারবে। নাফেড-এ ই সমৃদ্ধি পোর্টাল এবং এনসিসিএফ-এর ই-সংযুক্তি পোর্টালে যেসব কৃষক নাম নথিভুক্ত করেছে, তাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলি শস্য সংগ্রহ করার ফলে বাজারে প্রয়োজনীয় শস্যের যোগান সম্ভব হবে। এরফলে উপভোক্তারাও কৃষি পণ্যের দাম ওঠা-নামার সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
বাজারে ডালশস্যের যোগান উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তর থেকে নিশ্চিত করার ফলে অসাধু ব্যবসায়ীদের কৃত্রিমভাবে ঘাটতি তৈরির সুযোগ থাকবে না। মূল্যের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল থেকে টমেটো এবং ভারত ডাল, ভারত আটা ও ভারত চাল সরবরাহ করার মধ্য দিয়ে উপভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে। সরকার মার্কেট ইনটারভেনশন স্কিমের মাধ্যমে উদ্যান পালনজাত ফসলগুলির দাম কৃষকরা যাতে যথাযথভাবে পান তা নিশ্চিত করবে। টমেটো, পেঁয়াজ এবং আলুর মতো ফসলের ক্ষেত্রে নাফেড ও এনসিসিএফ-এর সাহায্যে উৎপাদনকারী রাজ্য এবং যেখানে সংশ্লিষ্ট ফসলের চাহিদা বেশি, সেই অঞ্চলের মধ্যে সরবরাহ ব্যবস্থা বজায় রাখা হবে।
ডিজিটাল কৃষি মিশনে ২,৮১৭ টাকা টাকা ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এর মূল দুটি স্তম্ভ হল কৃষি স্ট্যাক এবং কৃষি সিদ্ধান্ত সহায়ক ব্যবস্থা। কৃষি স্ট্যাকে কৃষকদের নিবন্ধীকরণ, গ্রামীণ জমি ম্যাপের নথিভুক্তিকরণ এবং ফসল উৎপাদন নিবন্ধীকৃত করা হবে। এছাড়াও জাতীয় স্তরে একটি কৃষি ব্যবস্থাপনার সূচনা করা হয়েছে, যেখানে দূরসঞ্চার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শস্য, জমি, আবহাওয়া, জলসম্পদ সহ কৃষিকাজের বিভিন্ন উপাদান সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে। পাশাপাশি ডিজিটাল জেনারেল ক্রপ এস্টিমেশন সার্ভের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সমীক্ষায় বিজ্ঞানসম্মত ভাবে ফসল তোলা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হবে। যার ফলে, কৃষকরা কৃষিকাজ সম্পর্কিত বিভিন্ন পরিকল্পনা ছাড়াও সেচের চাহিদা, কীটনাশক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নানা সিদ্ধান্ত আগে থেকেই নিতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রক গ্রামাঞ্চলের মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য লাখপতি দিদি-র কর্মসূচির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে কৃষিসখী কর্মসূচির সূচনা করেছে। এই কর্মসূচির আওতায় কৃষিসখীদের প্রশিক্ষিত করা হবে। তাঁরা কৃষিকাজে নানা ধরনের সহায়তা করবে।
কৃষি কাজে বর্তমানে যে পরিকাঠামো রয়েছে তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। কৃষকদের চাহিদা বিবেচনা করে আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজের আওতায় কৃষি পরিকাঠামো তহবিল গড়ে তোলা হয়েছে। এই তহবিলে ২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ১ লক্ষ কোটি টাকার সংস্থান থাকছে, যা ২০৩২-৩৩ অর্থবর্ষ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এপর্যন্ত এই তহবিলের আওতায় ৭৬,৪০০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর জন্য ৪৮,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই এই প্রকল্পের অর্থ ব্যয় করে ৫০০ লক্ষ মেট্রিক টন শস্য মজুত রাখার পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।
কৃষিপণ্য উৎপাদন সংগঠন গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। সংগঠনগুলিকে বীজ, সার, কীটনাশক সহ বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ করা হয়। কৃষকরা ব্যয়সাশ্রয়ী মূল্যে এগুলি বিভিন্ন সংগঠনের থেকে সংগ্রহ করেন। এপর্যন্ত ৭৭৫৭টি সংগঠন ওপেন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল কমার্স ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হয়েছে। ফলস্বরূপ ওই সব সংগঠনের সদস্যরা তাঁদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য সরাসরি দেশের যেকোন প্রান্তে উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারছেন।
উদ্যানপালনের ক্ষেত্রে কৃষকরা যাতে উন্নতমানের ফল উৎপাদন করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে তাঁদের উন্নত বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। এই বীজ ব্যবহার করে কৃষকরা যে ফলের বাগান তৈরি করছেন, সেখানে নানা ধরনের ব্যকটেরিয়া এবং ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিহত করা যাচ্ছে। সরকার ক্লিন প্ল্যান্ট প্রোগ্রামের আওতায় ১,৭৬৭ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্পের সূচনা করেছে। এই প্রকল্পে দেশজুড়ে ৭৫টি বৃহৎ নার্সারি তৈরী করা হবে। এই নার্সারি থেকে উদ্যানপালকরা উন্নতমানের বীজ পাবেন।
কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর ফসলের ওপর কীটপতঙ্গের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে নজরদারির জন্য জাতীয় স্তরে ন্যাশনাল পেস্ট সার্ভাইলেন্স সিস্টেম-এর সূচনা করেছে। কৃষকরা মোবাইল অ্যাপ এবং ওয়েব পোর্টালের সাহায্যে কীটপতঙ্গের আক্রমণ থেকে তাঁদের ফসল কিভাবে রক্ষা করবেন, সেবিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য পাচ্ছেন। এপর্যন্ত ১৬ হাজার কৃষক এই অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন। অ্যাপের সাহায্যে ২২,৩৫৯টি সমীক্ষা করা হয়েছে।
দেশজুড়ে বিভিন্ন দুর্যোগের ফলে কৃষকদের নানা সময়ে যে আর্থিক ক্ষতি হয়, সেই পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনার সূচনা করা হয়েছে। বিগত ১০০ দিনে এই প্রকল্পের আওতায় খরিফ মরশুমে বিপুল সংখ্যক কৃষককে নিয়ে আসা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগের ফলে গত খরিফ মরশুমের তুলনায় এই বছরের খরিফ মরশুমে ৩৫ লক্ষের বেশি কৃষক অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এর পাশাপাশি ‘কৃষি চৌপাল’ কর্মসূচির সূচনা করা হবে। এই কর্মসূচির আওতায় বেতার এবং দূরদর্শনের মাধ্যমে কৃষকদের কৃষিকাজে ব্যবহারযোগ্য নতুন নতুন প্রযুক্তির সম্পর্কে অবগত করা হবে। দপ্তর কৃষকদের বিভিন্ন অভাব-অভিযোগের নিষ্পত্তির জন্য ফার্মার্স গ্রিভান্স রিড্রেসেল সিস্টেমের সূচনা করেছে। মন্ত্রকের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ৩৩ কোটি ২২ লক্ষ টন ফসল উৎপাদিত হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২৬ লক্ষ টন বেশি। ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বর্তমান খরিফ মরশুমে আগের বছরের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি জমিতে চাষ হচ্ছে। এবছর ১৬ লক্ষ হেক্টর অতিরিক্ত জমিতে ধান চাষ হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী চৌহ্বান আরও জানান, বিগত ১০০ দিনে কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা দপ্তর এবং ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেশকিছু সাফল্য অর্জন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৬১ ধরনের ফসলের ১০৯টি বিশেষ প্রজাতি কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা। এই ফসলের মধ্যে ২৭টি উদ্যানপালন সংক্রান্ত।
‘সাথী’ পোর্টালে বীজ উৎপাদক কেন্দ্রগুলিকে যুক্ত করার ফলে কৃষকরা সহজেই উন্নতমানের বীজ পাচ্ছেন। জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সমস্যার মোকাবিলায় ব্লক স্তরে বিভিন্ন কৌশল নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ২৮টি রাজ্য এবং ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১৪০টি ব্লকে কৃষকরা নানা সুবিধা পাচ্ছেন। কৃত্রিম মেধাভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপ এবং সরঞ্জাম ব্যবহারের ফলে কৃষকরা আগামীদিনে বিভিন্ন সমস্যার সহজেই সমাধান করতে পারবেন। ‘বিকাশ’ অ্যাপ, আরএডাব্লুই বা গ্রামাঞ্চলের সচেতনতা বৃদ্ধি মূলক কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষি বিজ্ঞানের বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহিত করে তোলা হচ্ছে। বিভিন্ন কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে গত ১০০ দিনে কুশল যুব কর্মসূচির আওতায় ৬৫ হাজার কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এঁদের মধ্যে ৩২,৪৬৫ জন মহিলা। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজে উৎসাহিত করতে ২৪৭৬টি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এই কর্মসূচিতে ১ লক্ষ ১ হাজার ৬৩৩ জন কৃষক প্রশিক্ষণ নেন।
PG/CB/AS
(Release ID: 2056843)
Visitor Counter : 37