প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

আই শ্রী সোনাল মাতার জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ

Posted On: 13 JAN 2024 12:00PM by PIB Kolkata

 নতুন দিল্লি ১৩ জানুয়ারী ২০২৪


বর্তমান আধ্যাত্মিক নেত্রী(গাদ্দিপতি) পূজ্য কাঞ্চন মা, এবং প্রশাসক পূজ্য গিরিশ আপা! আজ পৌষের পবিত্র মাস। আমরা আই শ্রী সোনাল মাতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। সোনাল মাতার আশীর্বাদের ছত্রছায়ার পবিত্র এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হওয়া নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যের বিষয়। সমগ্র চরণ সম্প্রদায়, প্রশাসক এবং সোনাল মাতার ভক্তদের অভিনন্দন। চরণ সম্প্রদায়ের ধারায় শ্রদ্ধা এবং শক্তির এক পবিত্র পীঠস্থান হল মাধাদা ধাম। শ্রী মাতার পদতলে নিজেকে সমর্পণ করে আমি তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। 
পরিবারের সদস্যবৃন্দ,
তিনদিনের এই জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে শ্রী সোনাল মাতার স্মৃতি আমাদের ঘিরে রয়েছে। সোনাল মাতা ভগবানের দূত হিসেবে আবির্ভূত হয়ে প্রমাণ করেছেন যে, ভারত ভূমি কখনই অবতার আত্মাবিহীন নয়। বিশেষ করে গুজরাটের সৌরাষ্ট্র পবিত্র ঋষি এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের জন্মস্থল। যাঁরা সমগ্র মানবতার উদ্ভাস ঘটিয়েছেন। পবিত্র গিরনার ভগবান দত্তাত্রেয় এবং অসংখ্য অন্য ঋষিদের পীঠস্থান। সৌরাষ্ট্রের সনাতন ধারায় শ্রী সোনাল মাতা ছিলেন আধুনিকতার এক মুর্ত প্রতীক। তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি, মানবতার শিক্ষা এবং কৃচ্ছ্রসাধন তাঁর ব্যক্তিত্বকে ঘিরে এক স্বর্গীয় বলয় রচনা করেছিল যা, জুনাগড় এবং মুন্দ্রার সোনালধামে আজও সমানভাবে অনুরনিত হয়ে চলেছে। 
ভাই ও বোনেরা,
সোনাল মাতা জনকল্যাণ, দেশসেবা এবং ধর্মের স্বার্থে তাঁর সমগ্র জীবন নিবেদন করে গেছেন। ভগৎ বাপু, বিনোবা ভাবে, রবিশঙ্কর মহারাজ, কানুভাই লাহিড়ি এবং কল্যাণ শেঠের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন। চরণ সম্প্রদায়ের পন্ডিতবর্গের মধ্যে তিনি এক বিশিষ্ট স্থান লাভ করেন। অনেক তরুণকে দিশাপথ দেখিয়ে তিনি তাঁদের জীবনের রূপান্তর ঘটিয়েছিলেন। শিক্ষা, নেশামুক্তি এবং সামাজিক উন্নয়ন কর্মে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে আছে। সোনাল মাতা কুপ্রথার পথ থেকে সমাজকে রক্ষা করে গেছেন। কচ্ছ্বের ভাবার গ্রামে তিনি এক বিরাট সংকল্প যাত্রার সূচনা করেছিলেন। প্রত্যেককে কঠোর পরিশ্রমী এবং স্বনির্ভর হয়ে ওঠার শিক্ষা দিয়ে গেছেন তিনি। গবাদি পশু রক্ষায় তিনি ছিলেন পথ প্রদর্শক। 
বন্ধুগণ,
আধ্যাত্মিক এবং সামাজিক কর্ম ছাড়াও সোনাল মাতা ছিলেন দেশের ঐক্য সংহতির রক্ষার পথে এক অভিভাবক স্বরূপ। ভারত বিভাজনের সময় জুনাগড় হস্তান্তরের চক্রান্তকালীন সোনাল মাতা দেবী চন্ডীর মতো রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। 
পরিবারের সদস্যবৃন্দ,
দেশ, চরণ সম্প্রদায় এবং সরস্বতীর উপাসকদের প্রতি আই শ্রী সোনার মাতার প্রভূত অবদান রয়েছে। আমাদের ধর্মগ্রন্থে চরণ সম্প্রদায়ের এক বিশেষ জায়গা রয়েছে। ভাগবত পুরানে বলা হয়, চরণ সম্প্রদায় হল শ্রী হরির প্রত্যক্ষ বংশধর। এই সম্প্রদায় দেবী সরস্বতীর আশীর্বাদধন্য। এই কারণেই পূজ্য থারন বাপু, পূজ্য ঈশার দাসজী, পিঙ্গল শ্রী বাপু, পূজ্য কাব বাপু, মেরুভা বাপু, শঙ্করদান বাপু, শম্ভুদানজী, ভজনিক নারায়ণ স্বামী, হেমুভাই গাদভি, পদ্মশ্রী কবি দাদ এবং পদ্মশ্রী ভিক্ষুদান গাদভির মতো বহু পন্ডিত চরণ সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে গেছেন। দেশাত্মবোধ সঙ্গীত বা আধ্যাত্মিক শিক্ষায় শত শত বছর ধরে চরণ সাহিত্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। শ্রী সোনাল মাতার শক্তিশালী ভাষণ এক্ষেত্রে এক দৃষ্টান্তস্বরূপ। প্রথাগত পদ্ধতি মেনে তিনি কখনও শিক্ষালাভ করেননি। তা সত্বেও সংস্কৃত ভাষা এবং ধর্মগ্রন্থে সোনাল মাতা ছিলেন এক অপরিসীম জ্ঞানভান্ডার। শক্তিশালী ভাষণের মধ্যে দিয়ে রামায়ণের কাহিনী তিনি যেভাবে বর্ণনা করতেন, যাঁদের তা শোনার অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাঁরা কখনও ভুলবেন না। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরে প্রানপ্রতিষ্ঠার সময় সোনাল মাতার আত্মা যে কতটা আত্মতৃপ্ত হয়েছিল, তা আমরা সকলেই অনুমান করতে পারি। আজ আমি আপনাদের সকলকে অনুরোধ করব ২২ জানুয়ারি প্রতি গৃহে রাম জ্যোতি প্রজ্জ্বলন করুন। গতকাল থেকে মন্দিরে মন্দিরে আমরা বিশেষ স্বচ্ছ্তা অভিযান শুরু করেছি। আমাদের প্রত্যেককে এইলক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে। আমার স্থির বিশ্বাস এইসব কাজে শ্রী সোনাল মাতা আনন্দ বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। 
বন্ধুগণ,
আজ ভারত উন্নয়ন এবং স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। এই লক্ষ্য অর্জনে শ্রী সোনাল মাতা আমাদের অনুপ্রেরণাস্বরূপ। চরণ সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। চরণ সম্প্রদায়ের দিশাপথে সোনাল মাতা ৫১ টি নির্দেশ দিয়ে গেছেন। চরণ সম্প্রদায় সেগুলি কখনও ভুলবেন না এবং সমাজকে জাগ্রত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাবে। আমাকে বলা হয়েছে যে, সামাজিক ঐক্যকে শক্তিশালী করতে মাধাদা ধামে সদাব্রতে নিরন্তর যজ্ঞ হয়ে চলেছে। আমিও ওই প্রয়াসকে সমর্থন জানাই। আমি স্থির নিশ্চিত মাধাদা ধাম আগামীদিনে সমাজ গড়ার পথে শক্তিদান করে যাবে। শ্রী সোনাল মাতার জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে সকলকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। 
আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!
প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি হিন্দিতে।


PG/AB/CS


(Release ID: 2015385) Visitor Counter : 67