প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

প্রধানমন্ত্রী তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লীতে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন

তিনি তিরুচিরাপল্লী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবনটির উদ্বোধন করেন

তামিলনাড়ুতে রেল, সড়ক, তেল, গ্যাস এবং জাহাজ শিল্পের একগুচ্ছ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন

কলপক্কমে আইজিসিএআরএ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত ডেমোনস্ট্রেশন ফাস্ট রিঅ্যাক্টার ফুয়েল রিপ্রসেসিং প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

কামরাজার বন্দরে পণ্য পরিবহণের জন্য জেনারেল কার্গোর দ্বিতীয় বার্থের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

তিনি থিরু বিজয়কান্ত এবং ডঃ এম এস স্বামীনাথনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন

সাম্প্রতিককালে প্রবল বর্ষণে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের নিকটজনের প্রতি প্রধানমন্ত্রী সমবেদনা প্রকাশ করেছেন

“তিরুচিরাপল্লীতে বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবন সহ যোগাযোগের অন্যান্য প্রকল্পগুলি উদ্বোধনের ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে”

“আগামী ২৫ বছর ভারতকে অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত করতে হবে”

“তামিলনাড়ুর প্রাণবন্ত সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের জন্য ভারত গর্বিত”

“তামিলনাড়ু থেকে সাংস্কৃতিক ভাবে যে অনুপ্রেরণা আমরা পেয়ে

Posted On: 02 JAN 2024 1:52PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১ জানুয়ারি, ২০২৪

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লীতে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন। এই রাজ্যের রেল, সড়ক, তেল, গ্যাস এবং জাহাজ শিল্পের সংগে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলি তিনি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন।  

এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সকলকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং একটি সমৃদ্ধ বছরের প্রার্থনা করেছেন। ২০২৪ সালে তাঁর প্রথম জনসমাবেশ তামিলনাড়ুতে হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি সড়ক, রেল, বিমানবন্দর, জ্বালানী এবং পেট্রোলিয়াম পাইপলাইনের প্রকল্পগুলির জন্য রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, এর ফলে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।  

তামিলনাড়ুতে প্রবল বর্ষণে বহু মানুষের প্রাণহানী হয়েছে এবং ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে প্রচুর।  এর ফলে গত ৩ সপ্তাহ ধরে রাজ্যে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মৃত ব্যক্তিদের পরিবার পরিজনদের সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারকে আমরা সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতা করছি।” 

সদ্য প্রয়াত থিরু বিজয়কান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তিনি শুধু চলচ্চিত্র জগতেরই ‘ক্যাপ্টেন’ ছিলেন না, তিনি রাজনীতিরও ‘ক্যাপ্টেন’ ছিলেন। তাঁর কাজ ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি মানুষের হৃদয় জয় করেছেন। তবে, জাতীয় স্বার্থকে সবসময়েই তিনি অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছেন”। ডঃ এম এস স্বামীনাথনের দেশের খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।  

আগামী ২৫ বছর স্বাধীনতার অমৃতকালের সময়টি ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, এই সময়ের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্র হয়ে উঠতে হবে। বিকশিত ভারত হয়ে উঠতে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উভয় ক্ষেত্রেই দেশকে এগিয়ে যেতে হবে। দেশের সমৃদ্ধি ও সংস্কৃতির প্রতিফলন হিসেবে তামিলনাডুর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রাচীন ভাষা তামিলের আঁতুড়ঘর তামিলনাডু। এই রাজ্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের রত্ন ভান্ডার”। সমৃদ্ধ সাহিত্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সন্ত থিরুভাল্লুভার এবং সুব্রহ্মণ্য ভারতীর কথা উল্লেখ করেন। যখনই তিনি এই রাজ্য সফর করেছেন, তখনই রাজ্যের বিশিষ্ট বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তির দিকপালদের কথা স্মরণ করেছেন। সি ভি রমনের মতো রাজ্যের বিশিষ্ট বিজ্ঞানীদের থেকে তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন।  

তিরুচিরাপল্লীর সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী পল্লভ, চোল, পান্ডিয়া এবং নায়ক যুগের কথা স্মরণ করেন। শ্রী মোদী জানান, তাঁর বিদেশ ভ্রমণের সময় তিনি তামিল সংস্কৃতির কথা বারবার তুলে ধরেন। “তামিলনাডু থেকে সাংস্কৃতিকভাবে যে অনুপ্রেরণা আমরা পেয়ে থাকি, তা দেশের উন্নয়নের কাজে লাগাতে হবে”। নতুন সংসদ ভবনে পবিত্র সেঙ্গল স্থাপনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ জুড়ে তামিল সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ গড়ে তুলতে কাশী – তামিল এবং কাশী – সৌরাষ্ট্র সঙ্গমম আয়োজনের মত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে তাঁর সরকার পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দিয়েছে। রেল, সড়ক, বিমানবন্দর, দরিদ্রদের জন্য বাড়ি এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিপুল বিনিয়োগ হয়েছে। ভারত ৫টি প্রধান অর্থনৈতিক শক্তির তালিকায় স্থান করে নিয়ে বিশ্বের কাছে আশার আলো হয়ে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভারতে বিপুল বিনিয়োগ এসেছে। তামিলনাডু এবং রাজ্যের জনসাধারণ এর প্রত্যক্ষ সুবিধা ভোগ করছে। এই রাজ্য ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির প্রধান ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার হয়ে উঠেছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজ্যগুলির উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন প্রতিফলিত হয়। গত বছর তামিলনাডুতে ৪০ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৪০০ বারেরও বেশি সফর করেছেন। “তামিলনাডুর উন্নয়নের সঙ্গেই ভারতেরও উন্নয়ন হবে”। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে এবং মানুষের জীবনযাত্রা আরও সহজ হবে। আজ যে প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করা হ’ল, সেগুলির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিরুচিরাপল্লী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবনের কারণে এখানে যাত্রী ওঠা-নামার ক্ষমতা তিনগুণ বৃদ্ধি পেল। পাশাপাশি পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য সহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে। নতুন এই টার্মিনাল ভবনের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পর্যটন ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হবে। এই বিমানবন্দরের সঙ্গে জাতীয় সড়কের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য একটি উড়ালপুল নির্মাণ হবে। ত্রিচি বিমানবন্দরের মাধ্যমে সারা বিশ্বের কাছে তামিল সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হবে। 

৫টি নতুন রেল প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, এগুলির সাহায্যে শিল্পায়ন এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে সুবিধা হবে। নতুন সড়ক প্রকল্পগুলি শ্রীরঙ্গম, চিদাম্বরম, রামেশ্বরম এবং ভেলোরের মতো ধর্মীয় স্থান ও পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। 

কেন্দ্রীয় সরকার গত ১০ বছরে বন্দর-ভিত্তিক উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। উপকূল অঞ্চলের বিভিন্ন প্রকল্প মৎস্যজীবীদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, মৎস্যজীবীদের জন্য পৃথক একটি মন্ত্রক গড়ে তোলা হয়েছে এবং এই মন্ত্রকের জন্য বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও, মৎস্যজীবীরা কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পাচ্ছেন। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য যে নৌকা ব্যবহৃত হয়, সেগুলির আধুনিকীকরণের জন্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। সরকার পিএম মৎস্যসম্পদ যোজনার সূচনা করেছে।  

সাগরমালা যোজনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, বন্দরগুলির সঙ্গে উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। বিভিন্ন বন্দরের পণ্য ওঠা-নামার ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। জাহাজগুলিও দ্রুত বন্দর ছেড়ে বের হতে পারছে। কামরাজার বন্দরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বন্দরের ক্ষমতা দ্বিগুণ করা হয়েছে। আজ এখানে পণ্য ওঠা-নামার জন্য দ্বিতীয় বার্থের উদ্বোধন করায় তামিলনাডুতে আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যের সুবিধা হবে। গাড়ি শিল্পও এর ফলে উপকৃত হবে। তাঁর ভাষণে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রিঅ্যাক্টর এবং গ্যাস পাইপলাইন স্থাপনের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, এর ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। 

প্রধানমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় সরকার তামিলনাডুর জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে। ২০১৪ সালের আগে এক দশক জুড়ে রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রীয় সরকার ৩০ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে। ২০১৪ সালের পরবর্তী ১০ বছরে সেই অর্থ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১২০ লক্ষ কোটি টাকা। ২০১৪’র পূর্ববর্তী ১০ বছরে তামিলনাডু কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে যে অর্থ পেয়েছে, তা পরবর্তী ১০ বছরে ২.৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্যে জাতীয় সড়ক নির্মাণে তিনগুণ এবং রেলপথ নির্মাণে ২.৫ গুণ বেশি অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। বর্তমানে এই রাজ্যের মানুষ বিনামূল্যে রেশন, চিকিৎসা পরিষেবা, পাকাবাড়ি, শৌচালয় এবং নলবাহিত পানীয় জলের সংযোগ পাচ্ছেন।  

পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী, বিকশিত ভারতের লক্ষ্য অর্জনে ‘সবকা প্রয়াস’ অর্থাৎ সকলের উদ্যোগের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। তামিলনাডুর জনসাধারণ এবং যুবসম্প্রদায়ের দক্ষতার প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, “তামিলনাডুর যুবসম্প্রদায়ের মধ্যে আমি আশার নতুন আলো দেখতে পাচ্ছি। এই আশাই বিকশিত ভারতের শক্তি হয়ে উঠবে”।  

অনুষ্ঠানে তামিলনাডুর রাজ্যপাল শ্রী আর এম রবি, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী এম কে স্ট্যালিন, কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী শ্রী এল মুরুগান সহ বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন। 
প্রেক্ষাপটঃ- 
তিরুচিরাপল্লির জনসভায় প্রধানমন্ত্রী আজ তিরুচিরাপল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবনের উদ্বোধন করেছেন। ১,১০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যে নির্মিত দ্বিস্তরীয় নতুন আন্তর্জাতিক টার্মিনাল ভবনটিতে বছরে ৪৪ লক্ষের বেশি যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন এবং ব্যস্ত সময়ে ৩,৫০০ যাত্রীর পরিষেবা মেটাতে সক্ষম হবে এই বিমানবন্দর। নতুন ভবনে অত্যাধুনিক সুবিধা এবং যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা রয়েছে। 
প্রধানমন্ত্রী একাধিক রেল প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে - সালেম-ম্যাগনেসাইট জংশন-ওমালুর-মেত্তুর ড্যাম শাখায় ৪১.৪ কিলোমিটার রেলপথের দ্বিতীয় লাইন বসানোর প্রকল্প; মাদুরাই-তুতিকোরিন ১০৭ কিলোমিটার রেলপথের দ্বিতীয় লাইন বসানোর প্রকল্প; এবং তিনটি রেলপথের বৈদ্যুতিকীকরণ প্রকল্প। এগুলি হল, তিরুচিরাপল্লি-মনমাদুরাই-বিরুধুনগর; বিরুধুনগর-তেনকাশী জংশন; সেনগোট্টাই-তেনকাশী জংশন-তিরুনেলভেলি-তিরুচেন্দুর। এই রেল প্রকল্পগুলি যাত্রী এবং পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত করতে সাহায্য করবে এবং তামিলনাড়ুর অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানে সহায়ক হবে। 
প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে পাঁচটি সড়ক প্রকল্প উৎসর্গ করেছেন। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে - ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের ত্রিচি-কাল্লাগাম শাখার ৩৯ কিলোমিটার অংশের সম্প্রসারণ; ঐ একই জাতীয় সড়কের কাল্লাগাম-মীনসুরুত্তি শাখার ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথের সম্প্রসারণ; ৭৮৫ নম্বর জাতীয় সড়কের চেত্তিকুলাম-নাথাম অংশের ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ পথের সম্প্রসারণ; ৫৩৬ নম্বর জাতীয় সড়কের কারাইকুড়ি-রামানাথপুরম শাখায় ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথের ধার বাঁধানো এবং ১৭৯এ জাতীয় সড়কের সালেম-তিরুপাথুর-বানিয়ামবাদী রোড শাখায় ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ পথের সম্প্রসারণ। এই সড়ক প্রকল্পগুলি এই অঞ্চলের মানুষের দ্রুত যাতায়াতে সহায়ক হবে এবং ত্রিচি, শ্রীরঙ্গম, চিদম্বরম, রামেশ্বরম, ধনুষ্কোডি, উথিরাকোসামাঙ্গাই, দেবীপট্টিনাম, এড়ওয়াড়ি, মাদুরাই সহ অন্যান্য শিল্পাঞ্চল এবং বাণিজ্যিক অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ উন্নত করবে।  
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাসও করেছেন। এর মধ্যে আছে - ৩৩২এ জাতীয় সড়কের মোগাইইউ-র থেকে মারাকান্নাম পথে ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ অংশের সম্প্রসারণ। এই রাস্তাটি তামিলনাড়ুর পূর্ব উপকূলের বন্দরগুলিকে যুক্ত করবে। সেইসঙ্গে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় থাকা মামল্লপুরমে সড়ক যোগাযোগ এবং কলপক্কম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গেও যোগাযোগ উন্নত করবে।      
প্রধানমন্ত্রী কামরাজ বন্দরের জেনারেল কার্গো দ্বিতীয় বার্থকে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। এতে দেশের বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে হবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান।  
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ৯ হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্যের গুরুত্বপূর্ণ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন এবং শিলান্যাস করেছেন। জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করা হয়েছে যে দুটি প্রকল্প সেগুলি হল – ইন্ডিয়ান অয়েলের ৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের ৬৯৭ কিলোমিটার দীর্ঘ পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন। 
এছাড়া, যে প্রকল্পগুলির শিলান্যাস করা হয়েছে তার মধ্যে আছে - কোচি-কোট্টানাদ-ব্যাঙ্গালোর-ম্যাঙ্গালোর গ্যাস পাইপলাইনের কৃষ্ণগিরি থেকে কোয়েম্বাটুর অংশের ৩২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের নির্মাণ এবং চেন্নাইয়ের ভাল্লুরে প্রস্তাবিত তৃণমূল স্তরের টার্মিনালের জন্য পিওএল পাইপলাইনের অভিন্ন করিডর। তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রের এই প্রকল্পগুলি এই অঞ্চলের শিল্পগত, অভ্যন্তরীণ এবং বাণিজ্যিক প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশ্যে একটি পদক্ষেপ। এতে এই অঞ্চলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। 
প্রধানমন্ত্রী কলপক্কমে ইন্দিরা গান্ধী সেন্টার ফর অ্যাটমিক রিসার্চ-এ ডেমন্সট্রেশন ফাস্ট রিঅ্যাক্টর ফুয়েল রিপ্রসেসিং প্লান্ট (ডিএফআরপি) জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। ৪০০ কোটি টাকায় নির্মিত হয়েছে ডিএফআরপি। এর নকশাটি অনন্য, যা বিশ্বে একেবারেই অভিনব এবং এটি দ্রুত চুল্লি থেকে নির্গত কার্বাইড এবং অক্সাইড জ্বালানি দুটিকেই পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করতে সক্ষম। এই নকশাটি পুরোপুরি ভারতীয় বিজ্ঞানীরা তৈরি করেন। বাণিজ্যিকভাবে আরও বড় ফাস্ট রিঅ্যাক্টর ফুয়েল রিপ্রসেসিং প্লান্ট তৈরি করার লক্ষ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। 
অন্য প্রকল্পগুলির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী তিরুচিরাপল্লিতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনলজি (এনআইটি)-তে ‘অ্যামেথিস্ট’ নামে ৫০০ শয্যার একটি ছাত্রাবাসের উদ্বোধন করেন। 


PG/CB/AS



(Release ID: 1992675) Visitor Counter : 88