পেট্রোলিয়ামওপ্রাকৃতিকগ্যাসমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

উজ্জ্বলা যোজনার সম্প্রসারণে মন্ত্রিসভার অনুমোদন

পিএমইউওয়াই প্রকল্পে সুবিধাভোগীর সংখ্যা বেড়ে হবে ১০.৩৫ কোটি

Posted On: 13 SEP 2023 6:05PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ 

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় ২০২৩-২৪ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ৩ বছরের মধ্যে অতিরিক্ত ৭৫ লক্ষ এলপিজি সংযোগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর ফলে এই প্রকল্পে সুবিধাভোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১০.৩৫ কোটিতে। 


২০১৬’তে ৬১.৯ শতাংশ সুবিধাভোগীকে এর আওতায় আনা হয়েছিল। বর্তমানে প্রায় সব সুবিধাভোগীর কাছে এই প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে গিয়েছে। 

বর্তমানে উজ্জ্বলা সুবিধাভোগীদের প্রথমবার রিফিলিং এবং ওভেন বিনামূল্যে দেওয়া হয়ে থাকে। এখন বছরে ১২ বার ১৪.২ কিলোগ্রামের সিলিন্ডারের রিফিলিং-এ প্রতি বার ২০০ টাকা করে ভর্তুকি দেওয়া হবে। পিএমইউওয়াই প্রকল্প অব্যাহত না রাখলে, গরিব পরিবারগুলি এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। 


স্বচ্ছ গ্যাসে রান্নার মাধ্যমে মহিলাদের জীবনযাত্রার সহজীকরণ 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র মতে, গোটা বিশ্বে প্রায় ২.৪ বিলিয়ন (যা বিশ্বের মোট জনসমষ্টির এক-তৃতীয়াংশ) মানুষ  কেরোসিন তেল, বায়োমাস (কাঠ, প্রাণীর বিষ্ঠা ও ফসল বর্জ্য) এবং কয়লাকে জ্বালানির সাহায্যে খোলা জায়গায় রান্না করে থাকেন। এর ফলে পরিবেশ দূষিত হয় এবং ২০২০ সালে ৩.২ মিলিয়ন মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল, যার মধ্যে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৩৭ হাজার। 

স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে অতীতে ভারতের গ্রামাঞ্চলে জ্বালানি কাঠ, কয়লা এবং প্রাণীর বিষ্ঠাকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হত। এর ফলে না জেনেই তাঁরা নানারকমের অসুস্থতার শিকার হতেন।  নিউমোনিয়া, ফুসফুসের ক্যান্সার,  হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বহু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। 

পিএমইউওয়াই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের আর্থিক ও সামাজিক ক্ষমতায়ন ঘটানো হয়েছে। সহজে ব্যবহার করার উপযুক্ত হওয়ায় মহিলাদের এখন আর কঠোর পরিশ্রম করে রান্নার জন্য জ্বালানি কাঠ, বা অন্যান্য উপকরণ সংগ্রহ করতে হয় না। 

সেইসঙ্গে উজ্জ্বলা প্রকল্প মহিলাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছে, কারণ, এখন আর তাঁদের নির্জন ও অসুরক্ষিত জায়গায় গিয়ে জ্বালানি কাঠ বা জ্বালানি সংগ্রহ করতে হয় না। 

এলপিজি সম্প্রসারণ প্রকল্প 

১.পহল (প্রত্যক্ষ হস্তান্তরিত ল্যাব): এলপিজি সিলিন্ডারে ভর্তুকি দেওয়ার পরিবর্তে বাজার দরে তা বিক্রি করা হয় এবং ভর্তুকি সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে ভূতুড়ে অ্যাকাউন্ট এবং বাণিজ্যিক কাজে গ্যাস সিলিন্ডারের অবৈধ ব্যবহার কমেছে। 

২. এটি ছেড়ে দিন: জোর করে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার বদলে মানুষকে স্বতস্ফূর্তভাবে ভর্তুকি ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষ স্বেচ্ছায় ভর্তুকি ছেড়ে দেওয়ার ফলে প্রকৃত প্রাপকের কাছে ভর্তুকি দিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া সম্ভব হয়েছে। 

৩. ২০২০ সালে কোভিড অতিমারীর কারণে লকডাউনের সময় প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার অধীনে বিনামূল্যে রিফিলিং প্রকল্প রূপায়ণ করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১৪.১৭ কোটি এলপিজি সুবিধাভোগীর জন্য ৯৬৭০.৪১ কোটি আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। 

৪. ২০১৮-১৯এ পিএমইউওয়াই সুবিধাভোগীর মাথাপিছু গ্যাস ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৩.০১, যা ২০২২-২৩ বর্ষে বেড়ে হয়েছে ৩.৭১। বর্তমানে ২০২২-২৩) ৩৫ কোটির বেশি সুবিধাভোগী বছরে এলপিজি রিফিলিং-এর সুযোগ পাচ্ছেন। 


AC/MP/SB


(Release ID: 1957257) Visitor Counter : 135