প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতে পৌঁছলে নাগরিকরা সাদর সম্বর্ধনা জানান

“তেরঙ্গা প্রতিটি সমস্যা মোকাবিলা করার শক্তি জোগায়”

“ভারত তার কৃতিত্ব এবং সাফল্যের ভিত্তিতে এক নতুন ছাপ ফেলেছে ও বিশ্ব তা লক্ষ্য করেছে”

“গ্রিস ইউরোপের ভারতের প্রবেশদ্বার হয়ে উঠবে এবং শক্তিশালী ভারত - ইইউ সম্পর্কের জন্য এক দৃঢ় মাধ্যম হবে”

“একুশ শতক হল প্রযুক্তিচালিত এবং আমাদের ২০৪৭-এর মধ্যে বিকশিত ভারতের লক্ষ্য অর্জনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পথ অনুসরণ করতে হবে”

“চন্দ্রযান মিশনের সাফল্যের ফলে যে উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে তা শক্তিতে রূপান্তরিত করা দরকার”

“জি২০ সম্মেলন চলাকালীন দিল্লিবাসীর অসুবিধার জন্য আমি আগে থেকে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি নিশ্চিত যে দিল্লির মানুষ জি২০ শীর্ষ সম্মেলন সফল করে তোলার মাধ্যমে আমাদের বিজ্ঞানীদের কৃতিত্বকে নতুন শক্তি যোগাবে”

Posted On: 26 AUG 2023 1:46PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২৬ অগাস্ট, ২০২৩

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লিতে পৌঁছলে সাদর অভ্যর্থনা জানানো হয়। চন্দ্রযান-৩ চাঁদে সফলভাবে অবতরণের পর ইসরোর বিজ্ঞানীদের সঙ্গে মত বিনিময় শেষে প্রধানমন্ত্রী আজ বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লিতে ফিরে আসেন। চারদিনের দক্ষিণ আফ্রিকা ও গ্রিস সফরের পর তিনি সরাসরি বেঙ্গালুরুতে যান। শ্রী জেপি নাড্ডা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। সফল সফর ও ভারতীয় বিজ্ঞানীদের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান তিনি। 

উষ্ণ নাগরিক অভ্যর্থনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রযান-৩ –এর সাফল্যে জনগণের উৎসাহের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী ইসরো দলের সঙ্গে কথোপকথন সম্পর্কে জানান। তিনি বলেন, “চন্দ্রযান-৩ –এর ল্যান্ডার চাঁদের যে স্থানে অবতরণ করেছে, সেটি ‘শিব শক্তি’ নামে পরিচিত হবে।” তিনি বিশদে ব্যাখ্যা করেন যে, শিব বলতে শুভ কিছুকে বোঝায় এবং শক্তি নারী শক্তির উদাহরণ। শিব শক্তি হল হিমালয় থেকে কন্যাকুমারীর সংযোগ। একইভাবে প্রধানমন্ত্রী জানান যে, ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ যেখানে অবতরণ করেছিল এখন থেকে সেই স্থান ‘তেরঙ্গা’ নামে ডাকা হবে। তিনি বলেন, সে সময়েও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কিন্তু হয়তো তখন এর সঙ্গে হৃদয়ের সংযোগ ছিল না। প্রধানমন্ত্রী জানান, চন্দ্রযান-২ যেখানে অবতরণ করেছিল, তার নামকরণের জন্য বেশ কয়েকটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। তিনি বলেন, “তেরঙ্গা প্রতিটি সমস্যা মোকাবিলা করার শক্তি জোগায়।” ২৩ অগাস্ট জাতীয় মহাকাশ দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। বিদেশ সফরে থাকাকালীন এই সাফল্যের জন্য বিশ্ব নেতৃত্ব ভারতকে যে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা দিয়েছে তাও সকলের কাছে পৌঁছে দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত তার কৃতিত্ব এবং সাফল্যের ভিত্তিতে এক নতুন ছাপ ফেলেছে ও বিশ্ব তা লক্ষ্য করেছে। 

৪০ বছর পর কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই প্রথম গ্রিস সফরের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, গ্রিসে ভারতের জন্য ভালোবাসা এবং সম্মান উল্লেখযোগ্য। তিনি বলেন, গ্রিস ইউরোপের ভারতের প্রবেশদ্বার হয়ে উঠবে এবং শক্তিশালী ভারত - ইইউ সম্পর্কের জন্য এক দৃঢ় মাধ্যম হবে। 

প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞান ক্ষেত্রে তরুণদের আরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মহাকাশ বিজ্ঞানকে কিভাবে সুশাসন এবং সাধারণ নাগরিকদের জীবনযাত্রায় স্বাচ্ছন্দের জন্য ব্যবহার করা যায়, তা দেখতে হবে। পরিষেবা দান, স্বচ্ছতা ও নিখুঁতভাবে কাজ সম্পন্ন করতে মহাকাশ বিজ্ঞানকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় তার উপায় অনুসন্ধানে সরকারি বিভাগগুলিকে যুক্ত করার সিদ্ধান্তের কথা পুনরায় তুলে ধরেন তিনি। এর জন্য আগামী দিনে হ্যাকাথনের আয়োজন করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

শ্রী মোদী বলেন, একুশ শতক হল প্রযুক্তিচালিত। তিনি জানান, “আমাদের ২০৪৭-এর মধ্যে বিকশিত ভারতের লক্ষ্য অর্জনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পথ অনুসরণ করতে হবে।” নতুন প্রজন্মের মধ্যে বৈজ্ঞানিক ভাবধারা জাগিয়ে তোলার জন্য চন্দ্রযানের সাফল্যে যে উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে তা শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে। এর জন্য পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে MyGov-এ একটি ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যথেষ্ট সংস্থান রয়েছে বলেও তিনি জানান। 

আসন্ন জি২০ সম্মেলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ এমন এক অনুষ্ঠান যেখানে সমগ্র দেশ এর আয়োজক। কিন্তু সর্বাধিক দায়িত্ব দিল্লির উপর দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “দিল্লির সৌভাগ্য যে দেশের পতাকাকে মর্যাদার সঙ্গে উঁচু করে রাখার সুযোগ পেয়েছে।” শ্রী মোদী বলেন, দিল্লিতে ‘অতিথি দেব ভব’-এর ঐতিহ্য অনুসরণ করতে হবে। কারণ এটি ভারতের আতিথেয়তা দেখানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “৫-১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেখানে একাধিক কর্মকাণ্ড হবে। দিল্লিবাসীর অসুবিধার জন্য আমি আগে থেকে ক্ষমাপ্রার্থী। এক পরিবারের মতোই জি২০-র অতিথিবর্গ আমাদের অতিথি। আমাদের সম্মিলিত প্রয়াসে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন সাফল্যলাভ করবে।” 

চাঁদকে পৃথিবীর ভাই মনে করার ভারতীয় চিরাচরিত ঐতিহ্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাখি বন্ধনের শুভেচ্ছা জানান। তিনি আশাপ্রকাশ করেন যে, উৎসবের আনন্দে ভরা উদ্দীপনা বিশ্বকে আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে। তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লির মানুষ জি২০ শীর্ষ সম্মেলন সফল করে তোলার মাধ্যমে আমাদের বিজ্ঞানীদের কৃতিত্বকে নতুন শক্তি যোগাবে।

AC/SS/SKD


(Release ID: 1954059) Visitor Counter : 101