কর্মী, জন-অভিযোগএবংপেনশনমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং আইএএস এবং অন্য সর্বভারতীয় পরিষেবা ক্ষেত্রে আধিকারিকদের সেন্ট্রাল ডেপুটেশনে পাঠাতে রাজ্য সরকারগুলিকে অনুরোধ করেছেন

Posted On: 04 JUL 2023 3:05PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি,  ৪ জুলাই, ২০২৩

 

কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, কর্মী, জনঅভিযোগ, পেশন, আনবিক শক্তি এবং মহাকাশ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং আইএএস এবং অন্য সর্বভারতীয় পরিষেবা ক্ষেত্রে আধিকারিকদের সেন্ট্রাল ডেপুটেশনে পাঠাতে রাজ্য সরকারগুলিকে অনুরোধ করেছেন। এক্ষেত্রে তিনি সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর আদর্শ ও ভাবধারাকে অনুসরণ করার আর্জি জানিয়েছেন।

কর্মী, সাধারণ প্রশাসন এবং প্রশাসনিক সংস্কারের দায়িত্বে থাকা রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রধান সচিবদের বার্ষিক সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন যে এটা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উভয়েরই দায়িত্ব এই সার্ভিসের সর্বভারতীয় চরিত্র বজায় রাখা। আইএএস এবং সর্বভারতীয় পরিষেবা ক্ষেত্রে আধিকারিকদের কাজের স্বার্থেই তাঁদের কেন্দ্রীয় স্তরে অভিজ্ঞতা অর্জন প্রয়োজন এবং তা তাঁদের ভবিষ্যৎ পদোন্নতির স্বার্থেই হওয়া দরকার। 

মুসৌরির এলবিএসএনএএ-র অধিকর্তাকে তিনি এজন্য তরুণ অফিসারদের কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় স্তরে কাজ করার ক্ষেত্রে উৎসাহ দিতে বলেন। তাঁদের সঠিক দিশা নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ করেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আইএএস অফিসাররা কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ের স্বার্থেই কাজ করেন।

ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আধিকারিকরা নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে নতুন ধারণার প্রয়োগগত অভিজ্ঞতার নানা সুযোগ পাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, জনমুখী এবং দরিদ্র বান্ধব অনেক উদ্ভাবনী প্রকল্প যেমন - স্বচ্ছ ভারত, জ্যাম ট্রিনিটি, জলজীবন, পিএম কিষাণ ২০১৪ সালের পর থেকে চালু হয়েছে, যেগুলির আর্থসামাজিক প্রভাব অপরিসীম। তিনি বলেন, প্রযুক্তির অধিকতর প্রয়োগের ফলে প্রশাসনের স্বচ্ছতা এসেছে। যার দ্বারা স্বজন-পোষণ ও কায়েমি স্বার্থ দূর করা গেছে। 

মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর অঙ্গ হল সেন্ট্রাল ডেপুটেশন। এক্ষেত্রে তিনি রাজ্য সরকারগুলিকে কেন্দ্রের সঙ্গে সুসমন্বয় বজায় রাখতে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, সর্বভারতীয় পরিষেবা ক্ষেত্রে আধিকারিকরা রাজ্য এবং কেন্দ্র স্তরের উভয় ক্ষেত্রেই সরকারের এক গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারফেস। 

ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন, সর্বভারতীয় পরিষেবার ক্ষেত্রে ক্যাডার ব্যবস্থাপনায় সুনির্দিষ্ট কাঠামো রয়েছে এবং আদর্শ ও ভাবধারার ক্ষেত্রে তা অনুসরণ করা উচিত। এর অন্যতম চরিত্র হল সর্বভারতীয় পরিষেবা ক্ষেত্রে আধিকারিকদের কেন্দ্রে ডেপুটেশনে পাঠানো। 

ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সর্বভারতীয় পরিষেবা ক্ষেত্রে আধিকারিকদের কেন্দ্র এবং রাজ্য স্তরে কর্মক্ষেত্রে তাঁরা যাতে উন্নত দক্ষতা বজায় রাখতে পারেন সেদিকে তাকিয়ে প্রাচীন ধ্যান ধারণা সরিয়ে রেখে এই সর্বভারতীয় পরিষেবা ক্ষেত্রে আধিকারিকদের সার্ভিস রেকর্ডের ব্যাপক পর্যালোচনা করেছে এবং তা করা হয়েছে এআইএস (ডিসিআরবি) আইন ১৯৫৮-র ১৬(৩) ধারা অনুযায়ী। মন্ত্রী এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারগুলিকেও কর্মী ও প্রশিক্ষণ দপ্তরের ইন্টিমেশন মোতাবেক রাজ্য সরকারগুলিকে কাজের ক্ষেত্রে অবশিষ্ট পর্যালোচনা দ্রুত সম্পাদন করতে অনুরোধ করেছেন। 

মিশন কর্মযোগী প্রসঙ্গে ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন, দক্ষ সরকারি অফিসার হয়ে উঠতে গেলে একজনকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয় এবং কেন্দ্রীয় সরকার এই জাতীয় উপযুক্ত প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করেছে। রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় সরকার অনুরূপ মডিউল তৈরি করেছে। এর পূর্ণ সুবিধা নিতে তিনি তাঁদের অনুরোধ করেন। 

মন্ত্রী বলেন, সর্বভারতীয় পরিষেবার ক্ষেত্রে আধিকারিকরা ভারতীয় প্রশাসনের মেরুদন্ড স্বরূপ। দক্ষ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের জন্য রাজ্য সরকারগুলিকেও অনুরূপ দায়বদ্ধতা বজায় রাখা দরকার। যাতে করে সরকারি নীতি এবং কর্মসূচির সফল রূপায়নের ক্ষেত্রে তাঁরা ফলপ্রদ ভূমিকা পালন করতে পারেন। এজন্য এই দপ্তর এবং অন্য অংশীদারদের নিয়মিত মত বিনিময় একটি মঞ্চ গড়ে ওঠা দরকার বলেও তিনি জানান। 

ভারত সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলি দেশের সব থেকে বেশি কর্মী নিয়োগ করে থাকে। প্রত্যেক নাগরিকের কাছে সরকারি চাকরি একটা স্বপ্নের মত। জনগণ সরকারি চাকরির দিকে তাকিয়ে থাকেন, কারণ কেবলমাত্র নানা সুবিধা, ভাল বেতন এবং চাকরি ক্ষেত্রে নিরাপত্তা রয়েছে বলেই নয়, বরং নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে হয়, এটাও একটা বড় কারণ। 

ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন, “আমি আপনাদের আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই সমস্ত শূন্য পদ পূরণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। আমি চাইবো রাজ্য সরকারগুলিও অনুরূপ উদ্যোগ নিক। সরকারি চাকরি পাওয়া প্রত্যেক চাকরি প্রার্থীর কাছে একটি স্বপ্নের মত হলেও চাকরির ক্ষেত্রে সততা এবং নিষ্ঠা বজায় রাখা এবং জনসাধারণের প্রত্যাশা পূরণ অনুরূপ গুরুত্বপূর্ণ বিশেষত আজকের এই সময়ে দাঁড়িয়ে”। 

ডঃ জিতেন্দ্র সিং কর্মী ও প্রশিক্ষণ দপ্তরের সচিবকে ধন্যবাদ জানান এই জাতীয় আলোচনাচক্রের আয়োজনের জন্য এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই দপ্তর নিয়মিত এই আলোচনা সংস্থান রাখবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন। 


CG/AB/AS/



(Release ID: 1937311) Visitor Counter : 84