সড়কপরিবহণওমহাসড়কমন্ত্রক
বর্ষশেষ পর্যালোচনা ২০২২: সড়ক, পরিবহণ ও যোগাযোগ মন্ত্রক
২.৮ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়েছে
আরটিও না গিয়ে পরিষেবা পেতে অনলাইন নম্বরের সংখ্যা ১৮ থেকে বাড়িয়ে ৫৮ করা হয়েছে
সবুজ জ্বালানীকে উৎসাহ দিতে এবং বৈদ্যুতিন যানবাহনের নিরাপত্তা বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপ গৃহীত
জাতীয় সড়কের পাশে তৈরি হয়েছে অমৃত সরোবর
পরিকাঠামো প্রকল্পের জন্য প্রথম সিওরিটি বন্ড ইন্স্যুরেন্সের সূচনা
সড়ক যোগাযোগ সহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যালোচনায় বেঙ্গালুরুতে মন্থন সম্মেলন
प्रविष्टि तिथि:
04 JAN 2023 12:09PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০৪ জানুয়ারি, ২০২৩
কেন্দ্রীয় সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৫৭ হাজার ২০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন। সড়ক পরিবহণ ও যোগাযোগ মন্ত্রী শ্রী নীতিন গড়করি ২ লক্ষ ৩০ হাজার ৮০২ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন। সারা দেশে ২৭টি গ্রিনফিল্ড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। পর্বতমালার আওতায় রোপওয়ে প্রকল্পে বিশেষ চাহিদা লক্ষ্য করা গেছে। আরটিও না গিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে অনলাইন পরিষেবা নম্বরের সংখ্যা ১৮ থেকে বাড়িয়ে ৫৮ করা হয়েছে। BS-VI যানবাহনে সিএনজি এবং এলপিজি কীট রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সবুজ জ্বালানীতে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বৈদ্যুতিন যানবাহনে নিরাপত্তা বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃতদের ক্ষতিপূরণ বাড়িয়ে ২ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সড়ক যোগাযোগ সহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যালোচনার জন্য বেঙ্গালুরুতে মন্থন সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ভারতে প্রায় ৬৩.৭৩ লক্ষ কিলোমিটার সড়কপথ রয়েছে, যা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম। এর মধ্যে জাতীয় সড়ক ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬৩৪ কিলোমিটার। রাজ্য সড়ক ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৯০৮ কিলোমিটার এবং অন্যান্য সড়ক ৫৯ লক্ষ ২ হাজার ৫৩৯ কিলোমিটার।
জাতীয় সড়ক অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গত আট বছরে ভারতে জাতীয় সড়কের পরিকাঠামো উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে দেশের মোট জাতীয় সড়কের দৈর্ঘ্য ছিল ৯৭ হাজার ৮৩০ কিলোমিটার। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত তা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬৩৪ কিলোমিটার।
দেশে পণ্য ও যানবাহন চলাচলের গতি বাড়াতে ভারতমালা পরিযোজনার সূচনা হয়েছে। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে প্রথম দফায় এই ভারতমালা পরিযোজনার সূচনা হয়। করিডরের মানোন্নয়ন করাই ছিল এর মূল লক্ষ্য। সীমান্ত ও আন্তর্জাতিক সড়ক এবং উপকূল ও বন্দর এলাকার পাশাপাশি এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সড়কের যোগা্যোগ স্থাপন করাই এই যোজনার মূল লক্ষ্য ছিল।
মন্ত্রক কোভিড-১৯ অতিমারীর কথা মাথায় রেখে সড়ক নির্মাণকারী ঠিকাদার ও এ সংক্রান্ত অন্যান্য কর্মীদের স্বস্তি দিতে কাজ সম্পন্ন করার নির্দিষ্ট সময়সীমা কিছুটা বাড়িয়ে ৩১ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত করেছে। মন্ত্রক ইতিমধ্যেই সিকিউরিটি বাবদ জমা দেওয়া অর্থের পরিমাণও কিছু কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজাদি কা অমৃত মহোৎসব – এর কথা মাথায় রেখে অমৃত সরোবর অভিযানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় পুষ্করিণীগুলির পুনরুজ্জীবন ঘটানো হচ্ছে। এখান থেকে খনন করে পাওয়া মাটি ও অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজে। পরিকাঠামো প্রকল্পের জন্য সড়ক পরিবহণ ও যোগাযোগ মন্ত্রী শ্রী নীতিন গড়করি সিওরিটি বন্ড ইন্স্যুরেন্সের সূচনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল দিল্লি - অমৃতসর – কাটরা পথে তিনটি সড়ক নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। উদ্বোধন করেন বাণীহাল – কাজীগুন্দ সুড়ঙ্গের। এছাড়াও, মে ও জুন মাসে তিনি চেন্নাই, বেঙ্গালুরু সহ বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু সড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন। ১২ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত ৩২ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন তিনি। ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী আগরতলা বাইপাসের সম্প্রসারণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
সড়ক পরিবহণ ও যোগাযোগ মন্ত্রী শ্রী গড়করি ২০২২ সালে একাধিক সড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশের ২৬ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮২১ কিলোমিটার দীর্ঘ জাতীয় সড়ক প্রকল্প রয়েছে। শ্রী গড়করি গঙ্গা নদীর উপর ১৪.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল তথা সড়ক সেতু উদ্বোধন করেন ১১ ফেব্রুয়ারি। কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মুম্বাই, ছত্তিশগড়, হায়দরাবাদ, রাজস্থান, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন স্থানে একগুচ্ছ সড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন।
৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর দেশে সড়ক যোগাযোগের সুযোগ এবং এ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় পর্যালোচনার জন্য মন্থন এক্সপো সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন। বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার অভিনীত সড়ক নিরাপত্তার উপর একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের সিনেমাও দেখানো হয়।
সড়ক পরিবহণ ও যোগাযোগ মন্ত্রক দেশে বিশেষ প্রচারাভিযান কর্মসূচিতেও অংশ নেয়। এর মধ্যে টোল প্লাজাগুলিতে স্বচ্ছতা অভিযান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
পর্বতমালা প্রকল্পের আওতায় নিরাপদে ও দ্রুততার সঙ্গে পার্বত্য এলাকায় চলাচলের জন্য রোপওয়ে ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গৌরীকুন্ড থেকে কেদারনাথ এবং গোবিন্দঘাট থেকে হেমকুন্ড সাহিব পর্যন্ত দুটি নতুন রোপওয়ে প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। হিমাচল প্রদেশে রোপওয়ে তৈরির জন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও যোগাযোগ মন্ত্রী শ্রী গড়করি। মধ্যপ্রদেশেও ১৪টি নির্বাচিত স্থানে রোপওয়ে তৈরির জন্য সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এছাড়াও, দেশে চালক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলির মান্যতা সংক্রান্ত আইনে সংশোধন আনা হয়েছে। ভারতে ব্যক্তিগতভাবে বিদেশি যানবাহন চলাচলের জন্যও আইনি প্রক্রিয়া সংশোধন করা হয়েছে। এছাড়াও, যানবাহন চলাচল সংশোধনী আইন, ২০১৯ – এর ৪৪ নম্বর ধারাটি কার্যকর করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এতে বাধ্যতামূলকভাবে হেলমেট ব্যবহারের কথাও বলা হয়েছে। মন্ত্রক সারা ভারত পর্যটক যানবাহন চলাচল সংক্রান্ত আইন সংশোধনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সড়ক নিরাপত্তার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। গাড়ি চালানোর সময় সিট বেল্ট বাধ্যতামূলক। মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য ভারত সরকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করেছে। পথ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বিস্তারিত তদন্তের সংস্থান রাখা হয়েছে।
দেশে বর্তমানে ১২টি প্রধান বন্দর রয়েছে। এগুলির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ২ হাজার ৭৭৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
১৬ মার্চ হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল বৈদ্যুতিন গাড়ির উদ্বোধন করা হয়। এর ফলে, ভারতে সবুজ হাইড্রোজেন-ভিত্তিক যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে উৎসাহ বাড়লো।
২০২২ সালে একগুচ্ছ রেকর্ড তৈরি হয়েছে সড়ক পরিবহণ ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে। এসেছে নানা সম্মান। মহারাষ্ট্র মেট্রো দল এবং এনএইচএআই নাগপুরে ডবলডেকার ফ্লাইওভার ও মেট্রো রেল চলাচলের পথ নির্মাণ করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।
PG/PM/SB
(रिलीज़ आईडी: 1888618)
आगंतुक पटल : 305