জাহাজচলাচলমন্ত্রক
প্রধান বন্দরগুলিতে আটকে থাকা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পগুলি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশিকা
Posted On:
11 MAY 2022 4:19PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১১ মে, ২০২২
প্রেক্ষাপট
গত দশকে, ভারত সরকার দেশের প্রধান বন্দরগুলিতে বেসরকারি বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। সেই অনুযায়ী ডিজাইন, বিল্ট, ফিন্যান্স, অপারেট অ্যান্ড ট্রান্সফার (ডিপিএফওটি) ভিত্তিতে বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ১৯৯৭ সালে এই ধরনের প্রথম প্রকল্পের সফল রূপায়ণের পর থেকে, এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। বন্দরগুলিতে বেসরকারি বিনিয়োগ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দক্ষতা উন্নয়নের ফলে এই ক্ষেত্রের সমূহ বিকাশ হয়েছে। বর্তমানে ২৭ হাজার কোটি টাকার ৩৪টি প্রকল্প চালু রয়েছে এবং ১৪ হাজার কোটি টাকার ২৫টি প্রকল্প রূপায়ণের বিভিন্ন পর্যায়ে আছে। চালু প্রকল্পগুলির ফলে প্রধান প্রধান বন্দরে প্রায় ৩৫০ এমটিপিএ ক্ষমতা বেড়েছে।
সম্পদ নগদায়নের আওতায় ২০২৫ সালের মধ্যে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ৩১টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ২৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার আরও ৫০টি প্রকল্প সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ১৪টি প্রকল্প ২০২২-২৩ সালে রূপায়িত হবে।
প্রধান বন্দরগুলিতে বেসরকারি বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে এবং প্রকল্প রূপায়ণের কাজ ত্বরান্বিত করতে মন্ত্রক বিভিন্ন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে।
নির্দেশিকা
চলতি বছরের ১০ই মে বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রক, বিভিন্ন প্রধান বন্দরে আটকে থাকা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পগুলির রূপায়ণের লক্ষ্যে চূড়ান্ত নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নির্দেশিকা তৈরি হয়েছে –
১) যে প্রকল্পগুলি নির্মাণের পর্যায়ে আটকে রয়েছে
২) যে প্রকল্পগুলি প্রাক-সিওডি এবং সিওডি-র পরবর্তী পর্যায়ে আটকে রয়েছে সেগুলির জন্য।
সমাধানের পদ্ধতি
১) নির্মাণের পর্যায়ে আটকে থাকা প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে ছাড় প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ ছাড় প্রাপক বা ছাড় প্রাপকের ঋণদাতাকে পূর্ণ ও চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য নিম্নলিখিতগুলির মধ্যে যেটি কম, সেই অর্থ প্রদান করবে।
ক) ছাড় প্রাপক যতটা কাজ করেছে তার মূল্য; অথবা
খ) ছাড়ের চুক্তি অনুযায়ী বকেয়া ঋণের ৯০ শতাংশ; অথবা
গ) আদর্শ ছাড় চুক্তির সংস্থান অনুযায়ী দু পক্ষের সম্মতিতে লিখিত টাকার অঙ্ক।
২) প্রাক-সিওডি এবং সিওডি পরবর্তী পর্যায়ে যেসব প্রকল্প আটকে রয়েছে সেখানে ঋণ দাতারা তাদের অর্থ উদ্ধারের জন্য এনসিএলটি-র দ্বারস্থ হয়ে থাকলে দেউলিয়া আইন অথবা কোম্পানী আইন অনুসারে সেগুলির নিষ্পত্তি হবে।
নতুন নির্দেশিকার সুবিধা
এই নির্দেশিকার লক্ষ্য হল আটকে থাকা প্রকল্পগুলির পুনরুজ্জীবনের পথ প্রশস্ত করা। এর ফলে, মধ্যস্থতার আওতায় থাকা বিষয়গুলির নিষ্পত্তিও সহজ হবে। বন্দরের সম্পদ পুনরায় বিডিংয়ের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। এর সুবাদে বিনিয়োগকারী/ ছাড়দাতাদের আস্থা ফিরে আসবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে।
এই উপলক্ষে বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল বলেন, “এই নির্দেশিকাগুলি বিভিন্ন বিষয়ের দ্রুত নিষ্পত্তিতে সাহায্য করবে এবং আটকে থাকা প্রকল্পগুলির প্রভূত সম্ভাবনার পুনরুজ্জীবন ঘটাবে। এর জেরে বাণিজ্য বাড়বে, আরও বেশি কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে”।
CG/SD/SKD/
(Release ID: 1824627)
Visitor Counter : 215