নারীওশিশুবিকাশমন্ত্রক
মহিলা ও শিশু কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুঞ্জপাড়া মহেন্দ্রভাই ভুবনেশ্বরে মন্ত্রকের পূর্বাঞ্চলীয় সম্মেলনে পৌরোহিত্য করেছেন
বিভিন্ন প্রজন্মের পুষ্টি সংক্রান্ত উন্নয়নের লক্ষ্যে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া দরকার : ডাঃ মুঞ্জপাড়া মহেন্দ্রভাই
সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে একটি সুস্থ সবল সমাজ গড়ার সময় এসেছে : ডাঃ মুঞ্জপাড়া
পাঁচটি রাজ্যের প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ আলোচনায় যোগ দেন
Posted On:
13 APR 2022 4:43PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১৩ এপ্রিল, ২০২২
দ্রুত পরিবর্তনশীল এই বিশ্বে সুষম পুষ্টি, লিঙ্গসাম্য, সঠিক শিক্ষা এবং নারী ও শিশুদের নিরাপত্তার অধিকার সুনিশ্চিত করার মাধ্যমে মানবিক ও সামাজিক মূলধনের ভিত্তি গড়ে তোলা দরকার বলে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুঞ্জপাড়া মহেন্দ্রভাই মন্তব্য করেছেন। তিনি আজ ভূবনেশ্বরে মন্ত্রকের পূর্বাঞ্চলীয় সম্মেলনে পৌরোহিত্য করেন। এই সম্মেলনে পূর্বাঞ্চলের পাঁচটি রাজ্যের প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ যোগ দেয়। ডাঃ মহেন্দ্রভাই বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৯ শতাংশই হল নারী ও শিশু। এদের কল্যাণ কিভাবে নিশ্চিত করা যায়, সরকার প্রতিনিয়ত সেই ভাবনা চিন্তা করছে। এই ভাবনা থেকেই সরকার তিনটি মিশন চালু করেছে - নারী ও শিশুদের পুষ্টিগত চাহিদা পূরণের জন্য মিশন পোষণ ২.০, মহিলাদের নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়নের জন্য মিশন শক্তি এবং শিশু কল্যাণের জন্য মিশন বাৎসল্য।
ডাঃ মুঞ্জপাড়া বলেন, মহিলা ও শিশুদের পুষ্টির উন্নতির জন্য সব প্রজন্মকে নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। পোষণ ২.০ –তে পুষ্টি সচেতনতা, ভালো খাদ্যাভ্যাস, সার্বিক সুস্থতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণ ও দায়বদ্ধতার মাধ্যমে আচরণগত পরিবর্তন আনা। গত পাঁচ বছরে আমরা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মধ্যে ১১.৯৪ লক্ষ বিকাশমাপক যন্ত্র এবং ১১ লক্ষ ৩ হাজার স্মার্ট ফোন বিতরণ করেছি। অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের সনাক্তকরণ এবং চিকিৎসা সুনিশ্চিত করতে চালু করা হয়েছে পোষণ ট্র্যাকার।” অন্য দুটি মিশনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মিশন বাৎসল্যের লক্ষ্য হল বর্তমান আইনী পরিকাঠামো এবং জরুরি পরিষেবা প্রদান পদ্ধতিকে আরও শক্তিশালী করে শিশুদের পরিচর্যা সুনিশ্চিত করা। মহিলা নেতৃত্বাধীন উন্নয়নের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে মিশন শক্তি চালু করা হয়েছে।”
কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর এখন সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একটি সুস্থ সবল সমাজ গড়ে তোলার সময় এসেছে। রাজ্যগুলি যেহেতু এই সংক্রান্ত প্রকল্পগুলি রূপায়ণের দায়িত্বে থাকবে, তাই তাদের সচেতন করার লক্ষ্যে এই আঞ্চলিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সম্মেলনে ওড়িশার নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শ্রীমতী টুকুনি সাহু এবং পশ্চিমবঙ্গের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা নারী ও শিশুদের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে তাঁদের রাজ্যের গৃহীত বিভিন্ন ব্যবস্থার কথা তুলে ধরেন। তিনটি নতুন মিশনের যথাযথ রূপায়ণে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন তাঁরা।
কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব শ্রী ইন্দেবর পান্ডে তিনটি নতুন মিশনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যগুলি বিশদভাবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সুস্থিত উন্নয়ন লক্ষ্যের আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে বেশ কিছু লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে। এই তিনটি মিশন সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্যই চালু করা হয়েছে। রাজ্যগুলি এই তিনটি মিশনের সক্রিয় অংশীদার হবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।
ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড়, বিহার ও ঝাড়খণ্ড – এই পাঁচটি রাজ্যের প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ সম্মেলনে নারী ও শিশুদের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন নিয়ে মতবিনিময় করেন।
CG/SD/AS/
(Release ID: 1816709)
Visitor Counter : 435